সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস্ সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
, ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ:
হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার একাকীত্ব ও দুঃখ-বেদনার কথা চিন্তা করে উনার সাথে শাদী মুবারকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আত্মত্যাগ ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার একাকীত্ব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুভূতি মুবারককে তীব্রভাবে নাড়া দিতে থাকেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার প্রস্তাব সম্পর্কে তিনি অবহিত হন। অতঃপর খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার নিজ নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উনার প্রস্তাব প্রদান করেন। এই নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উনার প্রস্তাব শুনে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম কতগুলি আরজি পেশ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরজুসমূহ জানতে চান। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, (১) আমার কয়েকজন সন্তান রয়েছেন (২) আমি একজন বয়স্কা মহিলা (৩) আমার কোন অভিভাবক নেই। এসব আরজি পেশ করে তিনি বলেন যে, এই কারণসমূহ আপনার যথার্থ খেদমতের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয় কিনা। এর জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার সন্তানদের দায়িত্ব খালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর। আপনার অভিভাবকদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে এ কাজে রাজী হবে না। আর আপনি বয়স্কা তা ঠিক, তবে আপনার চেয়ে আমার বয়স মুবারক বেশী।
অতঃপর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার পুত্র হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, আপনি যান, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উনার ব্যবস্থা করুন। (তাবাকাত, সিয়ারু আলামিন নুবালা, ইছাবা)
হিজরী ৪র্থ সনে পবিত্র ২৪ মাহে শাওওয়াল শরীফ এই মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিছালী শান মুবারকের পরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম যে দুঃখ-বেদনার শিকার হয়েছিলেন, এভাবে তা দূর হয়। খালিক, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার দুঃখকে অনন্তকালের জন্য আনন্দে রূপান্তর করে দেন।
বর্ণিত আছে যে, একবার সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার জওয মুকাররম, হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলেছিলেন, আমি শুনেছি, যদি কোন মহিলার আহাল মৃত্যুর পর জান্নাতে যায়, আর তার আহলিয়া দ্বিতীয় বিবাহ না করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক সে আহলিয়াকেও উনার আহালের সাথে জান্নাতে স্থান দান করবেন। এই অবস্থা পুরুষদের জন্যও যদি হয়, তাহলে আসুন আমরা অঙ্গীকার করি, আপনি আমার পরে আর কোন শাদী করবেন না, আর আমিও আপনার পরে আর কোন শাদী করব না। হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আপনি কি আমার কথা মানবেন? সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম বললেন, আপনার কথা মানা ছাড়া আমার আনন্দ আর কোথায়? হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, আমি যদি আপনার আগে ইন্তিকাল করি, আপনি আবার শাদী করবেন। তারপর হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এভাবে দোয়া করলেন, আয় আল্লাহ পাক! আমার পরে আমার আহলিয়া উনাকে আমার চেয়েও উত্তম আহাল হাদিয়া করুন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম বলেন, যখন হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করলেন, তখন আমি মনে মনে বলতাম, হযরত আবু সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে উত্তম আহাল আর কে হতে পারেন? এর কিছুদিন পরেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। (তাবাকাত, সিয়ারু আলামিন নুবালা)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উপলক্ষে ঐতিহাসিকগণ একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, যেদিন তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলে বাইত শরীফে তাশরীফ আনয়ন করেন, সেদিনই তিনি নিজ হাতে খাবার তৈরী করেন। এই নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ উনার কয়েক মাস পূর্বেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম তিনি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তাই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ¦মিসাহ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম উনারই পবিত্র হুযরা শরীফে তাশরীফ আনয়ন করেন। পাক-শাক ও গৃহস্থালীর জিনিসপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম একটি কলস থেকে কিছু যব বের করেন এবং অন্য একটি পাত্র থেকে কিছু চর্বি বের করে একটি হাঁড়িতে চড়িয়ে দেন। তারপর যবগুলি যাঁতায় পিষে চর্বিতে মিশিয়ে এক প্রকার খাবার তৈরী করেন। তাই ছিল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনাদের ১ম দিনের পবিত্র খাদ্য মুবারক। (তাবাকাত, কানযুল উম্মাল)
হিজরী ৫ম সনে পবিত্র মদীনা শরীফের বিশ্বাসঘাতক ইহুদী গোত্র বনু কুরাইজার অবরোধের এক পর্যায়ে তাদের সাথে আলোচনার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু লুবাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে পাঠান। তাদের সাথে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি হাতের ইঙ্গিতে তাদেরকে একথা বুঝিয়ে দেন যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে। কিন্তু তিনি এটাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গোপন ভবিষ্যদ্বানী প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে (এই ভবিষ্যদ্বানী হচ্ছে ইহুদীরা দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করতে রাজী হবে না, ফলে বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে বিচারক হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার তাওরাত শরীফের আইন অনুযায়ী বিচারে তাদেরকে হত্যা করা হবে) মনে করে নিজে নিজে ভীষণ অনুতপ্ত হন। তারপর তিনি মসজিদের একটি খুঁটিতে নিজেকে বেঁধে ফেলেন। অনেকদিন পর্যন্ত তিনি নিজেকে এই অবস্থায় রাখেন। অতঃপর উনার তওবা কবুল হয়। সেদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র হুযরা শরীফে অবস্থান মুবারক করছিলেন। সকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত নূরুল মুত্বমাইন্নাহ মুবারক অর্থাৎ ঘুম থেকে জেগে মুচকি হাসি মুবারক প্রকাশ করছিলেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি তা দেখে বললেন, মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সর্বদা হাসিতে রাখুন। এ সময় হাসির কারণ কি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আবু লুবাবা উনার তওবা কবুল হয়েছে। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম এই খোশ-খবরটি শোনাবার অনুমতি চাইলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যাঁ, ইচ্ছা করলে আপনি শোনাতে পারেন। অনুমতি পেয়ে তিনি পবিত্র হুজরা শরীফের দরজায় দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে বললেন, হে আবু লুবাবা! আপনাকে মুবারকবাদ! আপনার তওবা কবুল হয়েছে। এ আওয়াজ মানুষের কানে যেতেই পবিত্র মদীনা শরীফবাসী যেন খুশি প্রকাশ করেন। (সীরতে ইবনে হিশাম)
এই ঘটনা ছিল পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার পূর্বে। সেই বছরই পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হয়।
হিজরী ৬১ সনে সংঘটিত কারবালার মর্মান্তিক ঘটনায় হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাহাদাত মুবারক উনার খবরে তিনি এতই চিন্তিত ও মর্মাহত হন যে, তিনি মুর্চ্ছিতা হয়ে পড়েছিলেন। (মসনদে আহমদ)
হিজরী ৬৩ সনে অনুষ্ঠিত হাররার হৃদয়-বিদারক ঘটনাও তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। এ সময় উমাইয়া শাসকগণের নির্দেশে মদীনা শরীফে অভিযান চালিয়ে অনেক আলেম উলামাকে নৃশংসভাবে শহীদ করা হয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ!
-আল্লামা সাঈদ আহমদ গজনভী
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সঙ্গে কখনই মুহব্বত করা ও সাদৃশ্য রাখা যাবে না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৪)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)