“আত তাক্বউইমুশ শামসী”একটি নতুন সৌর সন (৩)
, ২৩ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

তাহলে যে বছর শামসী সন গণনা করা হবে, তত বছর পূর্বে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক সংঘটিত হয়েছিল।
তাহলে খুব সহজেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণ হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সময় চন্দ্র মাস গণনা হলেও আরবগণ নাসী (মাসকে আগ পিছ) করতো। আবার হিজরী সন শুরু হয় উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার প্রস্তাবে সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হিজরত মুবারকের বছর থেকে হিজরী সন গণনা শুরু করেন। যদিও হিজরত মুবারক সংঘটিত হয়েছিল সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মধ্যে; কিন্তু হিজরী সন গণনা শুরু হয় পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস থেকে।
যাই হোক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক উনার বৎসর নির্দিষ্টভাবে জানা আছে বলে সেখান থেকে শামসী সন শুরু করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আমরা জানি, হিজরী ১১ সন থেকে শামসী ০ (শূন্য) সন শুরু। তাহলে পার্থক্য হচ্ছে ১১ বছরের। কিন্তু বর্তমানে হিজরী সন চলছে ১৪৪৫ আর শামসী সন চলছে ১৩৯১। পার্থক্য হচ্ছে ৫৪ বছর।
এর কারণ হচ্ছে হিজরী সন গণনা হয় চাঁদের আবর্তনের সাথে আর সৌর সন গণনা হয় সূর্যের আবর্তনের সাথে।
আর হিজরী সনের সঙ্গে সৌর সনের পার্থক্য প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ দিন। সুতরাং শুরু থেকে এই পর্যন্ত এই ৫৪ বছরের পার্থক্য এসে দাঁড়িয়েছে।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিষয়টি এমন; প্রথমে নিজে আমল করতে হয় পরে তা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হয়।
সুতরাং আমরা যদি সবাই নিজে শামসী সন ব্যবহার শুরু করি, তবে তা একদিন ছড়িয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর যত মানুষকে জানানো হবে ততই এর ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পৃথিবীর সকল কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, নেটওয়ার্কে গ্রেগরিয়ান ক্যলেন্ডার দেয়া আছে।
শামসী পদ্ধতি, পুরনো পদ্ধতিকে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার) অপসারণ করা নির্ভর করবে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে একতা এবং খিলাফত ব্যবস্থার উপর।
এক সময় মুসলমানগণ বিশ্ব শাসন করেছে তখন উনাদের আইন প্রতিষ্ঠিত ছিল। পরে কাফির বেনিয়া ব্রিটিশরা তাদের সময়কালে তাদের আইন চাপিয়েছে।
এখন সাম্রাজ্যবাদীদের আইন চাপানো আছে মুসলিম বিশ্বসহ সকল দেশে। কিন্তু এদের এখন ভগ্ন দশা। আবারো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম জেগে উঠবে আর সম্মানিত ইসলাম অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে এই বিশ্ব। ইনশাআল্লাহ!
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি কাফিরদের তৈরি ফলে এর অনুসরণের ফলে শুধু কাফিরদের স্মরণ হয়; যা মুসলমানদের জন্য সম্পূর্ণ হারাম। এ ছাড়াও এর অনুসরণে কল্যাণ নেই বরং অকল্যাণ রয়েছে। কিন্তু আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরণে কাফিরদের অনুসরণ হয় না বরং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের স্মরণ হয়। ফলে মুসলমানরা রহমত, বরকত, সাকীনা লাভ করবে।
মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব:
কাফিররা সব ক্ষেত্রে মুসলমানদের অনুসরণ করবে। কারণ এদের সৃষ্টি করা হয়েছে মুসলমানদের খিদমতের জন্য। এই শামসী তাক্বউইম তৈরির ফলে এর ব্যাপক প্রচার-প্রসার হলে ধীরে ধীরে কাফিররা এর অনুসরণ করবে এবং মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব ও আভিজাত্য বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ!
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জির ব্যবহার বন্ধ করলে মুসলমানরা কাফিরদের অনুসরণ এবং বদ তাছির থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন এবং কাফিররা তাদের বর্ষপঞ্জির ত্রুটিগুলো অনুধাবন করবে এবং হীনম্মন্যতায় ভুগবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদের এই আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরণ-অনুকরণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৬৪)
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গরুর গোস্ত শি‘আরুল ইসলাম (১১)
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
অসংখ্য হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত- প্রাণীর ছবি হারাম
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৩০)
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কদমবুছী করা খাছ সুন্নত মুবারক
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সংক্ষেপে মো./সাঃ/দঃ/ S.M ইত্যাদি লেখার বিষয়ে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত কি বলে?
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানদের বিজ্ঞানে অবদানসমূহ চুরি করে অমুসলিমদের বিজ্ঞানী সাজা নিউটনের চৌর্যবৃত্তির স্বরূপ উন্মোচন: পদার্থবিজ্ঞানের ৩টি গতিসূত্র, ভরবেগ ও জড়তার ধারণা সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইবনে সীনা ও অন্যান্য মুসলিম বিজ্ঞানীগণ, যেগুলো নিউটন নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছিলো
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বকালে সবার জন্য উসওয়াতুন হাসানাহ্
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তা’যীমার্থে ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)