অন্যান্য ঘটনা:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কোন জিহাদে লোকদেরকে সঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করতেন, তিনি তাদের সাথে শর্ত করে নিতেন। তিনি তাদের খিদমত করবেন, তিনিই নামাযের আযান দিবেন এবং উনার সামর্থ্য অনুসারে তিনিই তাদের জন্য খরচ করবেন, এসবে সঙ্গীদের কেউ কোন আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
হযরত ছাবা বিন আবী আবদা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনার গোত্রের একজন সত্যবাদী লোক উনাকে বলেছেন, আমি হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: আক্বীক্বার পশুর গোশতের কি হুকুম?
জাওয়াব: অনেকে বলে থাকে, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হয়, তার গোশত পিতা-মাতা খেতে পারবে না। মূলত তাদের একথা শরীয়ত সম্মত নয়। সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হলো, পবিত্র আক্বীকা উনার পশুর গোশতের হুকুম পবিত্র কুরবানী উনার পশুর গোশতের হুকুমের মতো। কাজেই, সন্তানের নামে যে পশু আক্বীকা দেয়া হবে তার গোশত পিতা-মাতাসহ সকলেই খেতে পারবে। এটাই শরীয়তসম্মত মাসয়ালা বা ফতওয়া। (সমূহ ফিক্বাহর কিতাব)
সুওয়াল: পবিত্র কুরবানীর পশুর দ্বারা কোন প্রকার ফায়দা লাভ করা যাবে কিনা?
জাওয়াব: সাধারণত পবিত্র কুরবানী উ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে নির্দেশ মুবারক করেন-
تَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ.
অর্থ: “তোমরা নেক কাজে ও পরহেযগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদ কাজে ও শত্রুতার মধ্যে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না। আর এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। ” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০২)
বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মাঝে কথোপকথন:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট মুরীদ ও ছাত্র, যিনি আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খমিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَيْلٌ لِأُمَّتِي مِنْ عُلَمَاءِ السُّوْءِ اَلَّذِيْنَ يَتَّخِذُوْنَ هٰذَا الْعِلْمَ تِجَارَةً يَبِيْعُوْنَ مِنْ اُمَرَاءِ زَمَانِهِمْ لَا اَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَهُمْ.
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার উম্মতের ওই সব উলামায়ে সূ’দের জন্য আফসুস বা তাদের জন্য জাহান্নাম, যারা ইলিমকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে তাদের যামানার আমীর-উমরাদের কাছে বিক্রি করে থাকে দুনিয়া হাছিলের জন্য। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের ব্যবসায় বরকত দিবেন না।” নাউযুবিল্লাহ!
পর্দা ফরযে আইন হওয় বাকি অংশ পড়ুন...
বছরা থেকে সিরিয়ায় স্থানান্তর:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, প্রাদেশিক গভর্ণর যিয়াদের নিকট হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে কিছু লোক অভিযোগ করে যে, আমাদের এখানে এক ব্যক্তি রয়েছে, যাঁর সম্মুখে যখন বলা হয়, হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি কি আপনার অপেক্ষা উত্তম নন? তখন সেই ব্যক্তি চুপ করে থাকেন, এই কথার কোন উত্তর করেন না। আর সেই ব্যক্তি স্ত্রীলোক গ্রহণ করেন না অর্থাৎ বিবাহ করেন না। প্রাদেশিক গভর্ণর এই বিষয়টি তৎকালীন খলীফা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট লিখিতভাবে জ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবতে আযীমাহ শরীফ:
ইতোমধ্যে খ্বালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে পবিত্র কুরআন পাক উনার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফের বিষয়ে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চিন্তা করছিলেন, কারণ হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উনার বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব: পবিত্র কুরবানীকৃত পশুর গোশত বণ্টন প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
يَسْتَحِبُّ التَّصَرُّفُ ثُلُثٌ لِنَفْسِه ثُلُثٌ هَدِيَّةٌ ثُلُثٌ لِلْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِيْنَ وَاِنْ كَانَتْ وَصِيَّةٌ يَتَصَدَّقُ بِـجَمِيْعِهَا.
অর্থ : “পবিত্র কুরবানী উনার গোশত বণ্টন করার মুস্তাহাব নিয়ম হচ্ছে- এক তৃতীয়াংশ নিজের জন্য রাখবে, এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য হাদিয়া স্বরূপ দিবে আর এক তৃতীয়াংশ গরীব-মিসকীনের জন্য দান স্বরূপ দিবে। আর যদি কুরবানীকৃত পশুটি ওছিয়তকৃত হয়ে থাকে তাহলে সম্পূর্ণটাই গরীব-মিসকীনকে দান করে দিতে হবে। ” (ফিক্বাহর কিতাবসমূহ)
অর্থাৎ কুরবানী বাকি অংশ পড়ুন...
কাফির মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ঘোষণা করে দেন যাতে মুসলমানরা সাবধান, সতর্ক হতে পারে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيْرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّوْنَكُمْ مِّنْ بَعْدِ إِيـْمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ أَنْفُسِهِمْ
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে আকাঙ্খা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হও। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯) বাকি অংশ পড়ুন...
একবার সুলতান মাহমুদ বিশিষ্ট গনিত বিশারদ আল বিরুনীসহ তার এক বাগানবাড়িতে হাটছিলেন। সুলতান মাহমুদ জানতেন যে আল বিরুনী অংক শাস্ত্রে উনার অসাধারণ এবং অকল্পনীয় ক্ষমতাবলে অনেক কিছু বলে দিতে পারেন। তাই তাকে অপ্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে তিনি এমন এক বিষয়ের কথা বলতে বললেন, যা সাধারণ দৃষ্টিতে অংকের মাধ্যমে সম্ভব নয়। তিনি আল বিরুনীকে বললেন যে, তিনি আজ উক্ত বাগান বাড়ীর কোন দরজা দিয়ে বের হবেন তা অংক কষে কাগজে লিপিবদ্ধ করতে। আল বেরুনী যথারীতি অংক কষে কাগজে লিপিবদ্ধ করলেন। সুলতান মাহমুদ অতঃপর বললেন, আমি আজ কোন দরজা দিয়েই বের হবো না। তিনি উত্তর দ বাকি অংশ পড়ুন...












