পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হাত ধরে বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইয়াওমুস সাবত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আহাদ পর্বত সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল ইছনাইন গাছ সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়গুলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল আরবিয়া আলো সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল খ্বমীস সব ধরনের প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, ইয়াওমুল জুমু‘আ আছরের পর হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে বাকি অংশ পড়ুন...
যারা অনুগত বান্দা, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ বান্দা। অনুগত কাকে বলে? এ প্রসঙ্গে আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়।
সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যখন খলীফা হয়েছেন, উনার মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন- হযরত হোর ইবনে কায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি। হযরত হোর ইবনে কায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন খুব বড় আলেম। উনার এক চাচা ওয়াইন ইবনে হেসেন, যিনি এসেছেন উনার ভাতিজা হোর ইবনে কায়েসের কাছে। এসে বললেন, হে হোর ইবনে কায়েস! তুমি এক কাজ করো, আমাকে তোমাদের যিনি খল বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
নাম মুবারক: হযরত আমির রহমতুল্লাহি আলাইহি, পিতার নাম: আবদুল্লাহ বিন আবদিল ক্বায়েস (পিতার নাম বাদ দিয়ে হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি এই উপনামে তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন), বনু তামীম গোত্রের আল-আনবার শাখার লোক, বছরার অধিবাসী। শীর্ষ স্থানীয় ওলীআল্লাহ, যাহিদ, প্রথম শ্রেণীর তাবেয়ীদের অন্যতম। তিনি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের ছোহবত মুবারক পেয়েছেন এবং উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। উনার নিকট থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হ বাকি অংশ পড়ুন...
১১৪ নং পবিত্র হাদীছ শরীফ-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَالْقُرْآنَ وَعَلِّمُوا النَّاسَ فَإِنِّيْ مَقْبُوضٌ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ফারায়েজ ও পবিত্র কুরআন শরীফ শিক্ষা করো এবং মানুষকে শিক্ষা দাও। নিশ্চয়ই আমি বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবো। ” (তিরমীযী, কানযুল উম্মাল শরীফ/২ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, এক বুযূর্গ ব্যক্তি একটা স্বপ্ন দেখলেন, ক্বিয়ামত কায়িম হয়ে গেছে, এখন মানুষের হিসাব নিকাশ হবে। হাউজে কাওছার উনার পানি পান করতে হবে। ঐ বুযূর্গ ব্যক্তি তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন এবং উনার খুব পিপাসা লাগলো। তিনি চিন্তা করলেন তাহলে হাউজে কাওছার যে রয়েছে সেখান থেকে কিছু পানি পান করা যেতে পারে, তিনি সেই হাউজে কাওছারের কাছে গেলেন। সেখানে যেয়ে দেখতে পেলেন সিবতু রসূল আর রবি’, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম এবং সিবতু রসূল আল খমিস, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনারা হাউজে কাওছার উনার পানির বাকি অংশ পড়ুন...
জিহাদে অংশগ্রহণ:
দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে অবস্থানকালীন উনার সঙ্গে পরবর্তী সকল জিহাদে তিনি অংশগ্রহণ করে বিশেষ বীরত্বের পরিচয় দেন। ধনুর্বিদ্যায় তিনি ছিলেন একজন পারদর্শী ব্যক্তি। খাইবারের জিহাদে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং চল্লিশ ওয়াসাক গনীমত হিসাবে খাদ্যশস্য লাভ করেন। (সীরাতে ইবনে হিশাম)
হযরত আবদুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বিদায় হজ্জেও নূরে মুজাসসাম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ফযীলত ও মর্যাদা:
আফসুস! তাদের জন্য যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সমালোচনা করে, দোষারোপ করে। অথচ উম্মতদেরকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের জন্য দুয়া করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই উম্মতগণের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের জন্য বেশী বেশী করে দুয়া করা। যেমন, “ছহীফায়ে কামিলা” নামক কিতাবে আরো উল্লেখ আছে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্ত বাকি অংশ পড়ুন...












