‘কুফর’ শব্দের আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হচ্ছে অস্বীকার করা। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা অস্বীকার করাই হচ্ছে কুফর বা কুফরী। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিদায়েতসহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ নিয়ে এসেছেন। যেমন- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
هُوَ الَّذِيْ اَرْسَلَ رَسُوْلَهُ بِالْـهُ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস উনার বিভিন্ন নামকরণ এবং তার তাৎপর্য:
সম্মানিত ও পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার আরেকটি নাম মুবারক হচ্ছেন ‘আছম’ অর্থাৎ বধির।
আরো বর্ণিত আছে-
قِيْلَ اِنَّ رَجَبَ بَعْدَ مَا يَمْضِىْ يَصَّعَّدُ اِلَى السَّمَاءِ فَيَقُوْلُ اللهُ تَعَالٰى يَاشَهْرِىْ هَلْ يُحِبُّوْنَكَ وَيُعَظِّمُوْنَكَ؟ فَيَسْكُتُ وَلَايَتَكَلَّمُ حَتّٰى يَسْئَلَ ثَانِيًا ثَالِثًا ثُمّ َيَقُوْلُ اِلٰهِىْ اَنْتَ سَتَّارُ الْعُيُوْبِ أَمَرْتَ خَلْقَكَ بِاَنْ يَّسْتُرُوْا عُيُوْبَ غَيْرِهِمْ وَسَمَّانِىْ رَسُوْلُكَ اَصَمَّ اَنَا سَمِعْتُ طَاعَتَهُمْ وَلَمْ اَسْمَعْ مَعْصِيَتَهُمْ
অর্থ: “বলা হয়, পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস যখন শেষ হয়ে যায় ত বাকি অংশ পড়ুন...
১৭৭
যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَا رَبِّ اَنْتَ وَمَا اَنَا وَمَا سِوَاكَ تَرَكْتُ لِاَجْلِكْ.
মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে বারী ইলাহী! একমাত্র আপনি আমিও না। আমিতো আপনার প্রতি ফানা-বাঁকা। আপনার জন্য আমি সব তরক করে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে বিষয়টা এখানে ফিকির করতে হবে, এটা ফিকির না করলে বুঝা সম্ভব না। এটা সূক্ষ্ম বিষয়। পবিত্র কুরআন শরীফ ইহা কল্প লোকের গল্প কাহিনী না। এখানে ফ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল খিলাফত মুবারক লাভ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থ: “আপনারা স্মরণ করুন, নছীহত মুবারক করুন, আপনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে যা তিলাওয়াত মুবারক করা হয়েছে বা নাযিল মুবারক করা হয়েছে, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ আপনারা স্ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাস উনার বিভিন্ন নামকরণ এবং তাৎপর্য:
সম্মানিত ও পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার আরেকটি নাম মুবারক হচ্ছেন ‘আছম’ অর্থাৎ বধির।
কিতাবে বর্ণিত আছে-
وَاسْــمُهٗ اَيْضًا اَلْاَصَمُّ لِاَنَّ الْـحُـرُوْبَ تُرْفَعُ فِيْهِ فَلَايَسْمَعُ فِيْهِ لِلسِّلَاحِ قَعْقَعَةٌ
অর্থ: “সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল হারাম’ শরীফ মাস উনার আরেক নাম হচ্ছে ‘আছম’ বা বধির। কেননা এ মাসে যুদ্ধ-জিহাদ বন্ধ থাকে, তাই তরবারীর ঝন-ঝনানী আর শুনা যায় না।” (নুযহাতুল মাজালিস-১/১৪৫)
আরো বর্ণিত আছে,
وَفِى النِّهَايَةِ وَشَهْرُ اللهِ الْاَصَمُّ رَجَبُ اِذْ لَايَسْمَعُ فِيْهِ صَوْتُ السِّلَاحِ لِكَوْنِ বাকি অংশ পড়ুন...
১৭৬
কাজেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করা কাট্টা কুফরী। এখন এখানে এ বিষয়টা কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ কোন
أَسَاطِيرُ الأَوَّلِينَ
কল্প লোকের গল্প কাহিনী না। নাউযুবিল্লাহ! এটা হচ্ছে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত সম্মানিত কিতাব। এই কিতাবের মধ্যে মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছিরত মুবারক, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছিরত মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে, যাতে মানুষ উনাদেরকে অ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝেই রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।” সুবহানাল্লাহ!
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি আমার পবিত্র সুন্নত উনাকে মুহব্বত করলো প্রকৃতপক্ষে সে যেন আমাকেই মুহব্বত করলো। আর যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো সে আমার সাথেই পবিত্র জান্নাত উনার মধ্যে অবস্থান করবে।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
ঘ) যাকাত আদায় না করে মূল মালের সাথে মিশ্রিত করলে মাল-সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمـُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةَ عَلَيْهَا السَّلَامَ قَالَتْ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَا خَالَطَتِ الزَّكٰوةُ مَالًا قَطُّ اِلَّا اَهْلَكَتْهُ رَوَاهُ الشَّافِعِىُّ وَالْبُخَارِىُّ فِىْ تَارِيْـخِهٖ وَالْـحُمَيْدِىُّ وَزَادَ قَالَ يَكُوْنُ قَدْ وَجَبَ عَلَيْكَ صَدَقَةً فَلَا تُـخْرِجُهَا فَيُهْلِكُ الْـحَرَامُ الْـحَلَالَ.
অর্থ: “হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে তায়াল্লুক-নিছবত মুবারক:মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যার যত গভীর তায়াল্লুক-নিছবত বা সম্পর্ক মুবারক তিনি তত বেশি মর্যাদা-মর্তবা, বুযুর্গী ও সম্মানের অধিকারী। ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে ছিলেন উনার গভীর ও বেমেছাল তায়াল্লুক-নিছবত মুবারক।
তাযকিরাতুল আউলিয়া ১/২০৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, একদিন মুজাদ্দিদে মি বাকি অংশ পড়ুন...
১৬৬
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন এদের অপরিচ্ছন্ন জাওয়াব, এদের অপরিচ্ছন্ন বক্তব্য যে, আপনারাতো ভুল-ত্রুটি করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এখন যদি আরো বিরোধিতা করেন তাহলে কিন্তু আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! অথচ বলা হচ্ছে, মানুষ আপনাদের সম্পর্কে যা বুঝেছে তা ভুল বুঝেছে। আপনারাতো তাওবা করে এসেছেন, আপনাদের অন্তর মুবারকতো রুজু হয়ে রয়ে গেছেন। আপনারাতো খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। এটা তারা ভুল বুঝার কারণে চূ-চেরা কিল ও কাল করে যাচ্ছ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র নামায ভঙ্গের কারণসমূহ
১. নামায উনার মধ্যে স্বেচ্ছায় বা ভুলবশতঃ কিংবা নিদ্রাবস্থায় কোনো কথা বললে।
২. ইচ্ছাপূর্বক সালাম দিলে (ভুলে নয়)।
৩. স্বেচ্ছায় বা ভুলে সালামের জবাব দিলে।
৪. বিনা ওজরে গলা খাকারি দিলে। তবে আওয়াজকে পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে অথবা ইমামের ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যে বা সে নিজে নামায উনার মধ্যে আছে, তা অবগত করানোর উদ্দেশ্যে গলা খাকরালে নামায ফাসিদ হবে না।
৫. নামায উনার মধ্যে যেকোনো কারণে (পীড়িত ব্যক্তির অসহ্যের কারণ ব্যতীত) আহ! উহ! ইস! ইত্যাদি বললে অথবা উচ্চস্বরে কাঁদলে নামায ভঙ্গ হবে। অবশ্য জান্নাত, জাহান্নামের বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ اِمَامَ الْاَوَّلِ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَـيْهِ السَّلَامُ يَـقُوْلُ خَرَجَ عَلَـيْـنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَالَ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْ خُلَفَائِـىْ قَالَ قُـلْـنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ خُلَـفَاؤُكَ قَالَ اَلَّذِيْنَ يَاْتُـوْنَ مِنْ بَـعْدِىْ يَـرْوُوْنَ اَحَادِيْـثِـىْ وَسُنَّتِـىْ وَيُـعَلِّمُوْنَـهَا النَّاسَ
অর্থ: “হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযর বাকি অংশ পড়ুন...












