১৮৪
ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ
এরা ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য, অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য, মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য তারা এখান থেকে সেইগুলি তালাশ করে এবং এগুলি তারা তা’বীল করে। নাউযুবিল্লাহ! যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন-
وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلاَّ اللَّهُ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাড়া কেউ এটার তা’বীল জানে না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ
যারা এই ইলমে অভিজ্ঞ,
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ উনার দিকে ফিরে সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করতেন। সুবহানাল্লাহ! ইহুদীরা এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নানা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে থাকলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা বলাবলি করতে লাগলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাবী করে থাকেন যে, তিনি আলাদা একটি সম্মানিত ও পবিত্র শরীয়ত বাকি অংশ পড়ুন...
এ কথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে আসমানী ইলমই সমস্ত ইলমের মূল। আসমানী ইলম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমেই প্রকাশিত-প্রসারিত হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে ইমামুস্ সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন পৃষ্ঠপোষক। উনারই মাধ্যমে ইলমের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা প্রসারিত হয়েছে।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস্ সালাম তিনি পবিত্র ক্বদরিয়া তরীক্বা উনার অন্যতম কা-ারী। আবার পবিত্র নকশবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বাও উনারই মুবারক উসীলায় শক্তিশালী হয়েছে। বলা হয়, সাইয়্যিদুনা হ বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পঞ্চদশ হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, ক্বইউমুজ জামান, ইমামুল আইম্মাহ্, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুরীদের জন্য স্থান-কালের পার্থক্য অনুযায়ী স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে। সেই সাথে উনার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত আহলে সুন বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাসে রোযা রাখার ফযীলত:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
إن في الجنة نهرًا يقال له رجب ماؤه أشد بياضًا من اللَّبن وأحلى من العسل مَن صام يومًا من رجب سقاه الله من ذلك النهر
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- নিশ্চয়ই জান্নাতে একটি পবিত্র নহর বা নদী আছে। যাকে ‘রজব’ বলা হয়। ঐ নদীর পানি দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি। যে ব্যক্তি সম্মানিত ও পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাসে একদিন রোযা রাখবে, তাকে ঐ নহর থেকে পানি পান করানো হবে।” সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
১৮৩
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিচ্ছেন-
مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ
এর মধ্যে আয়াতে মুহকামাত, সরাসরি আদেশ-নির্দেশ মুবারক রয়ে গেছে।
هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ
যে আদেশ-নির্দেশ মুবারকগুলো সরাসরি স্পষ্ট, সেগুলো হচ্ছে কিতাব উনার মূল। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মূল, উম্মুল কিতাব।
وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ
আর দ্বিতীয়ত জানিয়ে দিচ্ছেন, আরেকটা রয়ে গেছে, সেটা হচ্ছে মুশাবাহাহ। এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সাপেক্ষ। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ কয়েক প্রকার। যদি প্রথম বলা হয়, হুরূফে মুকাত্বয়াত। যেমন
الم
এ ধরণের।
والله أعلم ورسو বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالثَةِ الصَّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ اِذَا اَخَذَ اَهْلَهُ الْوَعْكُ أَمَرَ بِالْحَسَاءِ قَالَتْ وَكَانَ يَقُوْلُ إِنَّهٗ لَيَرْتُوْ فُؤَادَ الْحَزِيْنِ وَيَسْرُوْ عَنْ فُؤَادِ السَّقِيْمِ كَمَا تَسْرُوْ إِحْدَاكُنَّ الْوَسَخَ عَنْ وَجْهِهَا بِالْمَاءِ.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
১৮২
مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَقَدْ كَفَرَ
যে পবিত্র কুরআন শরীফ সম্পর্কে তার মন মতো ব্যাখ্যা করলো সে কুফরী করলো। নাউযুবিল্লাহ!
مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِغَيْرِ عِلْمٍ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ.
আর যে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মনগড়া ব্যাখ্যা করলো সে যেন তার স্থান দুনিয়ায় থাকতেই জাহান্নাম নির্ধারণ করে নেয়। নাউযুবিল্লাহ!
عَنْ حَضْرَتْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالىَ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم্র مَنْ قَالَ فِى الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَأَصَابَ فَقَدْ أَخْطَأَ গ্ধ.
হযরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। বাকি অংশ পড়ুন...
একবার ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার অতি প্রিয় ও মূল্যবান লৌহ বর্ম হারিয়ে গেল। এরপর একদিন তিনি দেখলেন কুফার বাজারে এক ইহুদী সেই বর্মটি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে। কাছে গিয়ে তিনি বর্মটি ভালোভাবে পরখ করে বললেন, ‘বর্মটি আমার। এটি আমার উটের পিঠ থেকে অমুক রাতে অমুক স্থানে পড়ে গিয়েছিল।’ ইহুদী বললো, ‘জ্বী না, আমিরুল মুমিনীন! এটি আমার বর্ম এবং আমার হাতেই রয়েছে।’ ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম বললেন, ‘এটি অবশ্যই আমার বর্ম কারণ এটি আমি বিক্রিও করিনি বা কাউক বাকি অংশ পড়ুন...
অতঃপর এই বিষয়টি জানিয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট চিঠি লিখলেন। উক্ত চিঠির জবাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি চিঠি লিখে পাঠালেন যে, আপনি তার হাত কাটবেন না। বরং আপনি নামাযের স্থানটি (একটু পেছনে) সরিয়ে নেন। আর ‘বাইতুল মাল’ সামনের দিকে ক্বিবলা বরাবর নির্ধারণ করুন। কেননা, নামায আদায়ের স্থানে (সাধারণতঃ) মুছল্লীগণ সবসময় অবস্থান করবেন (তখন বাইতুল মাল সামনে থাকায় কোনো ক্ষতি হবে না)। অতঃপর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’ঊদ রদ্বিয় বাকি অংশ পড়ুন...
সাবধান! কোটি কোটি মানুষ আসে যায়: দৈনিক- জন্ম ৩.৬ লক্ষ, মৃত্যু ১.৫১৬ লক্ষ, ঘন্টায়- জন্ম ১৫ হাজার; মৃত্যু ৬.৩১ হাজার। কারো জন্যে দুনিয়ার কোন কাজ থেমে থাকবেনা। কাজেই, এখন থেকেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
সংকীর্ণতা অবস্থায় খরচ করলে প্রশস্ততা আসে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لِيُنفِقْ ذُوْ سَعَةٍ مِّنْ سَعَتِهِ ۖ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا اٰتَاهُ اللهُ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا مَا اٰتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُّسْرًا
অর্থ: বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি তার রিযিকের ব্যাপারে সংকীর্ণতা অনুভব বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: পীর ছাহেবকে ক্বিবলা বলা জায়িয নেই। কারণ মুসলমানদের একমাত্র ক্বিবলা হচ্ছে কা’বা শরীফ।
দ্বীন ইসলামের ফতওয়া: শরীয়তে পাঁচ প্রকার ক্বিবলা রয়েছে, (১) সকল ক্বিবলার বিলীনকারী ক্বিবলা হচ্ছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি। (২) সকল কায়িনাতের ক্বিবলা হচ্ছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তাই উনাকে ক্বিবলা ও কা’বা বলা হয়। (৩) নামাযের ক্বিবলা হচ্ছে, কা’বা শরীফ। (৪) দোয়া বা মুনাজাতের ক্বিবলা হচ্ছে, আসমান। তাই মুনাজাতের সময় হাতের তালু আসমানের দিকে রাখতে হয়। (৫) ক্বলবের ক্বিবলা হচ্ছেন, বাকি অংশ পড়ুন...












