নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম ইরশাদ মুবারক করেন,
رَحِـمَكِ اللهُ يَا اُمِّىْ كُنْتِ اُمِّىْ بَعْدَ اُمِّىْ وتُشْبِعِيْـنِـىْ وَتَـعْرَيْنَ وتُكْسِيْـنِـىْ وَتَـمْنَعِيْـنَ نَـفْسَكِ طَيِّبًا وَتُطْعِمِيْـنِـىْ
অর্থ: “হে আমার মহাসম্মানিত মাতা! মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রতি সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষণ করুন। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার পরে আপনি ছিলেন আমার মহাসম্মানিত মাতা আলাইহাস সালাম। আপনি আমাকে পরিতৃপ্ত করতেন- আপনি না পরে আমাকে পরাতেন এবং ভালো কিছু নিজে না খেয়ে আমাকে খাওয়াতেন। (আল মু’জামুল কাবীর লিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ফিতনা-ফাসাদের যুগে যে একটি সুন্নত মুবারক উনাকে মাড়ির দাঁত দ্বারা শক্তভাবে আঁকড়িয়ে ধারণ করবে, সে একশত শহীদ উনাদের সওয়াব পাবে, কেমন শহীদ? বদর এবং উহুদের যুদ্ধে শরীক হওয়া শহীদ উনাদের ছওয়াব তথা মর্যাদা-মর্তবা পাবে। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, “পবিত্র সুন্নত” ফরয উনার নেকীকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয় এবং যেখানে পবিত্র সুন্নত মুবারক জারি হয় সেখানে বিদয়াত দূরীভূত হয়ে যায়, আর বিদয়াত মানেই আযাব-গযব লা’নত, অসন্তুষ্টি এবং পবিত্র সুন্নত মুবারক মানেই রহমত, বরকত, সাকীনা, লাভের কারণ। মূলত, এই পবিত বাকি অংশ পড়ুন...
ভূমিকা: মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهِ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَجْمَعُوْنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনাদের যিনি খলিক, যিনি মালিক, যিনি রব, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যিনি মহাসম্মানিত নছিহতকারী
وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُوْرِ
যিনি অন্তরের শেফা দানকারী, আরোগ্য দানকারী
وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ
যিনি মহাসম্মানিত হিদায়েত দানকারী এবং খাছ করে মু’মিনদের জন্য, ‘আমভাবে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার ইতায়াত বা অনুসরণ কর, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ কর এবং যাঁরা উলিল আমর রয়েছেন উনাদের ইতায়াত বা অনুসরণ করো।”
বান্দা-বান্দীরা সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে পাবে না, তাই উনাকে অনুসরণ করা বান্দাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আর উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও উম্মতরা এখন সরাসরি পাচ্ছে ন বাকি অংশ পড়ুন...
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَثَلُ الَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِىْ كُلِّ سُنْبُۢلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَّشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ ◌
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক পথ-এ যাঁরা ধন-সম্পদ ব্যয় করেন উনাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে পয়দা হয় ৭টি শীষ, প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)
মহা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাক্বওয়া ও পরহেযগারী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র শরীয়ত উনার বিধি-বিধান পালনে অত্যান্ত সতর্ক ছিলেন। রাজা-বাদশা, আমির-উমারাদের দরবারে যাওয়া, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা তিনি একেবারেই পছন্দ করতেন না। কেননা তাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে, তাদের দরবারে গেলে পবিত্র ইলম মুবারক উনার মর্যাদার হানী ঘটে। পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিধি-বিধান সঠিকভাবে পালন করা যায় না। ইমাম-মুজতাহিদ ও আওল বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৩
এরপর বলা হচ্ছে
قَانِتَاتٍ
অনেক ইবাদত গুজার, অনুগতা। ইবাদত গুজার, অনুগতা। অর্থাৎ সবসময় উনারা আনুগত্যতার মধ্যেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
قَانِتَاتٍ
এই মাক্বামের উনারা মালিক। অর্থাৎ মুসলমানিত্ব, মু’মিনাত্ব এবং ক্বানিত্বাত যেটা রয়েছে। ক্বনিতাতের যে মাক্বাম এই মাক্বামের উনারা পরিপূর্ণ মালিক হবেন এমন গুনসম্পন্না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এরপর বলা হয়েছে-
تَائِبَاتٍ
তওবাকারী। অর্থাৎ পরিপূর্ণ রুজু, এর মধ্যে কোন চূ-চেরা কিল ও কালের কোন সুযোগ নেই, তাওবার মাক বাকি অংশ পড়ুন...
দেখতে দেখতে উম্মুল খায়ের, আমাতুল জাব্বার, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার রেহেম শরীফ-এ আসার বয়স মুবারক দশ মাস পূর্ণ হলো। সেদিনটি ছিল ৪৭১ হিজরী সনের শা’বান মাসের ঊনত্রিশ তারিখ অপরাহ্ন। সহসা আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেল। মাহে শা’বানের ঊনত্রিশ তারিখে চাঁদ উঠার সম্ভাবনা ছিল; কিন্তু সন্ধ্যায় আকাশে গাঢ় মেঘে আচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবুও জিলান নগরীর হাজার হাজার লোক মাহে রমাদ্বান শরীফ-এর চাঁদ দেখার আশায় খোলা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু ঐ ঘনকালো মেঘ ভেদ করে চাঁদ দেখা কোনভাবেই সম্ভব বাকি অংশ পড়ুন...
১৯২
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেছেন,
إِن طَلَّقَكُنَّ أَن يُبْدِلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًا مِّنكُنَّ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনাদেরকে জুদা করে দিতেন। (এটা বলাটা আদবের খিলাফ) যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো উত্তম হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনার কাছে পৌঁছে দিতেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনারা কেমন হতেন?
مُسْلِمَاتٍ مُّؤْمِنَاتٍ قَانِتَاتٍ تَائِبَاتٍ عَابِدَاتٍ سَائِحَاتٍ
এখানে ছয়টা ছিফত মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। এই ছয়টা বাকি অংশ পড়ুন...
সিসি ক্যামেরা বা সিসিটিভি মসজিদে নামায আদায়ের আহকাম
সিসি ক্যামেরা বা সিসিটিভি মসজিদে মুছল্লীদের ছবি উঠানো হয় বা তোলা হয়। সম্মানিত শরীয়ত তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে মানুষ কিংবা কোন প্রাণীর ছবি তোলা বা উঠানো হারাম এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাঊযুবিল্লাহ!
কাজেই যেসব মসজিদে সিসি ক্যামেরা বা সিসিটিভির সাহায্যে মুছল্লীদের ছবি উঠানো হয় সেসব মসজিদে নামায পড়া তো পরের বিষয় বরং সেখানে যাওয়াই জায়িয নেই, কাট্টা হারাম।
অসুস্থ ব্যক্তির নামায উনার হুকুম
কোনো ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে বা রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কায় উযূ করতে না পারলে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আমীর খসরু রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনার সমগ্র জীবনের সাহিত্যকর্ম
হযরত আমীর খসরু রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সমগ্র জীবনের সাহিত্যকর্মকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়-
১. দিওয়ান রচনা : কবিতাসমগ্র যেমন তুহফাত-উস-সিগার, ওয়াসতুল হায়াত ইত্যাদি।
২. ঐতিহাসিক রচনা : যেমন মিফতা-উল-ফাতহ। বাদশাহ জালালুদ্দিন খিলজীর চারটি বিজয় অভিযানের উপর রচিত।
৩. গদ্য রচনা : আফজালুল ফায়িয হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি উনার কর্তৃক দেয়া তালিমের উপর রচিত।
৪. রোমান্টিক রচনা : হাশত-বেহেশত, শিরিন ওয়া খসরু, মজনু ওয়া লাইলী ইত্যাদি।
উনার রচিত কিতাব সংখ্যা অনেক। এখান বাকি অংশ পড়ুন...
১৯১
মুসলমান সব সময়ই প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মানুষ মনে করতেছিল যে মুসলমান উনারা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। এরপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ যখন বিজয় হলো তখন বিষয়টা আরো জাহির হলো। যখন কাফির মুশরিকদের চূ-চেরা করার কোন সুযোগ ছিল না তখন তিনি উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করলেন। এরপরেই বিষয়গুলি সংঘটিত হয়। এর মধ্যে অনেক এলোমেলো বক্তব্য রয়ে গেছে, চূ-চেরা কিল ও কাল রয়ে গেছে যা কুফরী শিরকীতে পরিপূর্ণ। নাউযুবিল্লাহ! এরপর হচ্ছে, আগে আমি একটা বর্ণনা করেছিলাম, এটা আরেকটি বর্ণনা। সেটা হচ্ছে পবিত্র সূরা তাহরীম বাকি অংশ পড়ুন...












