মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা ‘আদ দুখান’ শরীফ উনার ৩, ৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফে ‘শবে বরাত’কে ‘লাইলাতিম মুবারকাতিন’ (বরকতপূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই আমি উহা (পবিত্র কুরআন শরীফ) এক বরকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই পবিত্র রাত্রিতে সমস্ত হিকমত পূর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়ছালা করা হয়।”
এই পবিত্র রাত্রির আরো অনেক নাম মুবারক রয়েছে। যেমন-
(১) লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান অর্থাৎ অর্ধ শা’বানের রজনী।
(২) লাই বাকি অংশ পড়ুন...
২০২ পর্ব:
إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلاً مَّعْرُوفًا
আরো বলে দিচ্ছেন যে, আপনারা চরম মুত্তাক্বী। এতে কোন চূ-চেরা করার সুযোগ নেই। যাদের অন্তরে রোগ আছে এদের আপনারা কখনও যদি কথা বলেন তাহলে নরম কথা বলবেন না, শক্ত কথা বলবেন। আপনারা হচ্ছেন মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম। যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা চূ-চেরা কিল কাল করবে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! আপনারা তাদের সাথে সম্মানিত শরীয়তসম্মত কথা বলবেন। যার জন্য দেখা গেছে পরবর্তী সময় হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ان الدعاء يستجاب فى خمس ليال اول ليلة من رجب وليلة النصف من شعبان وليلة القدر المباركة وليلتا العيدين
অর্থ: “নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রি মুবারকে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। (১) রজব মাস উনার প্রথম রাত্রি মুবারকে, (২) পবিত্র বরাত উনার রাত্রি মুবারকে, (৩) পবিত্র ক্বদর উনার রাত্রি মুবারকে, (৪) পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার রাত্রি মুবারকে, (৫) পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার রাত্রি মুবারকে।” সুবহানাল্লাহ!
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বৎসরের পাঁচ রাত্রি মুবারকে বিশেষভাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি দোয়া কবুল করে থাকেন। পবিত্র লাইলাতুন নিছ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن حضرت ام المؤمين الثالثة الصديقة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب
অর্থ: “হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এক রাত্ বাকি অংশ পড়ুন...
৭নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن حضرت علي كرم الله وجهه عَلَيْهِ السَلَّامَ قَالَ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "العلم خزائن، ومفتاحها السؤال فاسألوا يرحمكم الله فإنه يؤجر فيه أربعة السائل، والمعلم، والمستمع، والسامع والمحب لهم" . "حل
অর্থ : “হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াযহাহু আলাইহিচ্ছালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ সম্মানিত ইল্ম হলো গুপ্ত ধনভান্ডার, আর উহা খোলার চাবি হলো প্রশ্ন করা। তোমরা প্রশ্ন কর, মহান আল্লাহ পাক তোমাদেরকে রহ্মত করব বাকি অংশ পড়ুন...
اٰ ءُوْا ءِىْ اٰ ءٖ اٗ
মাদ্দে আছলী যদি কখনও হামঝার সাথে হয় তার নাম মাদ্দে বদল। এক আলিফ টানতে হয়। যেমন-
اٰمَنَ اٰيَةً اٰمَنَّا لِاٰدَمَ اٰوٰى اٰنِيَةٍ اُوْفِ لِاِيْلٰفِ
اٖلٰفِهِمْ اٰخَرَ اٰيٰتٍ اٰلِـهَةٌ اُوْتِىَ اٰذَانٌ اٰذَانِـهِمْ اٰمَنُوْا
সবক্ব নং ১৪ : হুরূফে লীন উনার পরিচয় এবং উদাহরণ
লীন অর্থ নরম করা। লীন উনার হুরূফ ২টি। যথা و – ى
যবর উনার বাম পার্শ্বের জযম বা সাকিনওয়ালা و ওয়াও লীন উনার হরফ। যথা- بَوْ
যবর উনার পার্শ্বে জযম বা সাকিনওয়ালা ى ইয়া লীন উনার হরফ। যথা- بَـىْ
মাদ্দে লীন তাড়াতাড়ি পড়তে হয়। যেমন-
بَوْ بـَىْ تَوْ تَىْ ثَوْ ثَىْ جَوْ جَىْ حَوْ حَىْ
خَوْ خَىْ دَوْ دَىْ ذَوْ ذَىْ رَوْ رَىْ زَوْ زَىْ
سَوْ বাকি অংশ পড়ুন...
(২০১ পর্ব)
এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,
وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَا أَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيمًا
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আবার জাওয়াব দিয়ে দিলেন। উনাদের শান মুবারকের খিলাফ এই জিনিসটা বলা হচ্ছে কাফির মুশরিকদের প্রশ্নের কারণে। জাওয়াব দিচ্ছেন।
وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا
হ্যাঁ, আপনাদের মধ্যে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যারা অত্যন্ত অনুগতা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আল বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং হযরত ছাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই কাঠের প্লেটে করে খাবার মুবারক গ্রহণ করতেন।” সুবহানাল্লাহ! অর্থ্যাৎ খাবার খাওয়ার পাত্র হিসেবে কাঠের প্লেট ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
অবলুপ্ত হওয়া সুন্নতসমূহ পুনরায় জিন্দা করে জারি করার ব্যবস্থা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন রাজারবাগ শরীফ উনার সম্ম বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা করেছেন তাকেই খাছ সুন্নত মুবারক বলা হয়। নিকাহ বা বিবাহ হচ্ছে এমন একটি খাছ সুন্নত মুবারক। বিবাব না করে জীবন-যাপন করা উত্তম নয়। উপরন্তু বিবাহের মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ ও বরকত। নিকাহের দ্বারা এমন অনেক খাছ সুন্নত মুবারক পালন করা সহজ ও সম্ভব হয় যা অবিবাহিত লোকেরা জীবনে কখনো পালন করতে পারেন না। যার ফলে তারা সে সকল সুন্নত মুবারক পালন করা থেকে মাহরূম বা বঞ্চিত থাকেন।
আর সকলেই অবগত যে, সুন্নত মুবারক পালনের মধ্যেই রয়েছে রহমত, বরকত, সাকীনা। তাতে রয়েছে উন্নতির বাকি অংশ পড়ুন...
২০০ পর্ব:
এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো কয়েকখানা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন উনাদের খুছূছীয়াত মুবারক বর্ণনা করার জন্য। এরপরে নাযিল করেছেন পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ উনার বাকি পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারকগুলো। এখানে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
يَا نِسَاء النَّبِيِّ مَن يَأْتِ مِنكُنَّ بِفَاحِشَةٍ مُّبَيِّنَةٍ يُضَاعَفْ لَهَا الْعَذَابُ ضِعْفَيْنِ وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرًا
এখানে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের শান মুবারক বর্ণনা করার জন্য আবার বলে দিচ্ছেন,
يَا نِسَاء الن বাকি অংশ পড়ুন...
এ সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِـىِّ بْنِ اَبِـىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَدِّبُوْا اَوْلَادَكُمْ عَلـٰى ثَلَاثِ خِصَالٍ حُبِّ نَـبِـيِّكُمْ وَحُبِّ اَهْلِ بَيْتِهٖ وَقِرَاءَةِ الْقُرْاٰنِ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা তোমাদের আওলাদ তথা সন্তান-সন্ততি, নাতী-নাতনী, ছেলে-মেয়ে, অধীনস্থদেরকে তিনটি বিষয়ে যথাযথ (আদব) শিক্ষা প্রদান বাকি অংশ পড়ুন...












