(১৯৯)
আপনি যে বলেন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে, কি বলেন? যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, কি বলেছেন? ইয়া হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
يَا حَبِيْبِى صَـلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا وَاَنْتَ وَمَا سِوَاكَ خَلَقْتُ لِاَجْلِكَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমি এবং আপনি এছাড়া যা কিছু আছে তা আপনার জন্য সৃষ্টি করেছি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আর আপনি যে জাওয়াব দিয়েছেন। কি জবাব দিয়েছেন?
قَالَ رَسُ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাক্বওয়া ও পরহেযগারী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অতঃপর হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অগ্রসর হয়ে খলীফার হাত ধরে বললেন, জনাব! কেমন আছেন? আপনার শরীর-স্বাস্থ্য ভালো তো? আপনার ছেলে-মেয়েরা কেমন আছে? খলীফা হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আলাপের ধরন দেখে মনে করলেন যে, নিশ্চয়ই উনার মস্তিষ্ক বিকৃতি হয়েছে। কাজেই, উনাকে কাজীর পদে নিয়োগ দেয়া সমীচীন হবে না।
অতঃপর হযরত শরীহকে ডেকে আনা হলো। তিনি খলীফাকে বললেন, খলীফা! আমি একজন পাগল। আমার মাথা অতিশয় দুর্বল। আমার পক্ষে এ দায়িত্বপূর্ণ কাজ করা বাকি অংশ পড়ুন...
ঙ) হালাল রিযিকের সু-বন্দোবস্ত হয়: যেহেতু যাকাত প্রদানের মাধ্যমে ধন-সম্পদে বরকত ও পবিত্রতা হাছিল হয়। তাই এই ধন-সম্পদে কোন ধরনের হারাম মিশ্রিত হওয়ার সুযোগ থাকে না। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু কাউকে সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কষ্ট দেন না তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهٗ فَلْيُنفِقْ مِـمَّآ اٰتَاهُ اللهُ ۚ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا اِلَّا مَآ اٰتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُّسْرًا ◌
অর্থ : “যার উপরে রিযিকের সংর্কীণতা এসেছে, তার উচিত মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে যা দিয়েছেন, তা থেকে সাধ্যমত ব্যয় করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে যা বাকি অংশ পড়ুন...
(১৯৮ পর্ব)(পূর্ব প্রকাশিতের পর) যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তো বলে দিচ্ছেন দুনিয়া যদি আপনারা চান, দুনিয়ার সৌন্দর্য্য শান-শওকত এগুলি, ঠিক আছে তাহলে আপনারা বলুন যা চাবেন সেটাই দেয়া হবে, কোন অভাব নেই। যেখানে যেতে চান সেখানে যেতে দেওয়া হবে। এখানে বলে দিলেন, আসলে আপনারা সেটা চান না। পরকাল চান, যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে চান, যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চান। কাজেই আপনাদের মতো যারা মুহসিনাহ উনাদের জন্য যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
উনাদের আব্বা-আম্মা উনাদের বুযুর্গী
ওলীআল্লাহগণ উনাদের সন্তান ওলীআল্লাহ হয়ে থাকেন এটাই স্বাভাবিক। উনাদের সন্তান-সন্ততির জন্য এটা সহজও বটে। বিপরীত হওয়াটা একেবারে নগণ্য। আর যা নগণ্য তা ধর্তব্য নয়।
মুজাদ্দিদে যামান, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, আওলাদে রসূল, মুহিউদ্দীন, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত আব্বা-আম্মা ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ ওলীআল্লাহ। যে তাক্বওয়া বা পরহেযগারিতা সবকিছুর মূল। উনারা সেই তাক্বওয়া বা পরহেযগারিতার যে চরম পরাকাষ্ঠা মুসলিম উম্মাহকে দেখিয়েছেন তা আগত-অন বাকি অংশ পড়ুন...
(১৯৭)
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
إِن كُنتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً
ঠিক আছে আপনারা যদি দুনিয়া চান, দুনিয়ার সৌন্দর্য্য চান, শান-শওকত, বিলাসিতা চান তাহলে আপনাদেরকে সেটা দেয়া হবে। দিয়ে আপনারা যেখানে যেতে চান তার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন। মানুষ কিন্তু মূর্খ। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কিন্তু কেউ সাধারণ মানুষ ছিলেন না। দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনারা সাধারণ না। প্রত্যেকেই রঈস, আমীর উমরাদের সন্তান উনারা। সু বাকি অংশ পড়ুন...
কেননা নিঃসন্দেহে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার আঙ্গিনা, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কুরতুবী শরীফ ১২/২৬৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ১৩/৭৩৪, শরহুল বুখারী শরীফ ১/৪১৪ ইত্যাদি)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার থেকে যেই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট তা হচ্ছে- যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজা বাকি অংশ পড়ুন...
স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম নির্দেশক্রমে ঢাকার রাজারবাগ শরীফে মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সুন্নতী জামে মসজিদ ও তৎসংশ্লিষ্ট মাদরাসায় তখন থেকেই অনেক আশিকীন, মুহিব্বীন, যাকিরীন, মুরীদীন ও ত্বলিবুল ইলমগণ উনারা অধ্যয়ন, যিকির-ফিকির, ইবাদত-বন্দেগী, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ মুতাবিক ইলম মুবারক চর্চা ও গবেষণা করে আসছেন।
উল্লেখ্য যে, পবিত্রতম সুন্নতী জামে মসজিদ ও তৎসংশ্লিষ্ট মুহম্মদিয়া জামিয়া বাকি অংশ পড়ুন...
পার্থিব ধন-সম্পদ কিংবা দুনিয়াবী পদমর্যাদা প্রভৃতির জন্য আশা-আকাঙ্খা করা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দ্বীনি ইল্ম অর্জন, জিহাদে অংশগ্রহণ ইত্যাদি নেক কাজের আকাঙ্খা নিন্দনীয় নয়; বরং প্রশংসনীয়। অতএব বলা যায়, আশা-আকাঙ্খার ভাল-মন্দ উভয় দিক রয়েছে। অত্র প্রবন্ধে কেবল মন্দ বা অবৈধ আকাঙ্খা সম্পর্কে আলোকপাত করা হচ্ছে; যা প্রকৃতপক্ষে কাফির-মুশরিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত।
যেমন- এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
ذَرْهُمْ يَاْك বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ مَنْ اَحَقُّ بِـحُسْنِ صَحَابَتِىْ قَالَ اُمُّكَ قَالَ ثُـمَّ مَنْ قَالَ اُمُّكَ قَالَ ثُـمَّ مَنْ قَالَ اُمُّكَ قَالَ ثُـمَّ مَنَ قَالَ اَبُوْكَ. (متفق عليه)
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, একদা একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসলেন এবং বললেন- ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সৎ ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
৪নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عَنْ حَضْرَتْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ وَاللَّهُ يُـحِبُّ إِغَاثَةَ اللَّهْفَانِ.
অর্থ : “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রত্যেক মুসলমান (নর-নারীর) জন্যে সম্মানিত ইল্ম অর্জন করা ফরয। আর মহান মহান আল্লাহ পাক অভাবগ্রস্থ/বিপদগ্রস্থ লোকদের ফরিয়াদ শ্রবণকারী বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৫
ইলা’ হচ্ছে চার মাসের, তিনি একমাস থাকলেন। পবিত্র মুহররমুল হারাম মাস উনার চাঁদ উঠার সাথে সাথে তিনি আলাদা হলেন, অবস্থান মুবারক নিলেন। যখন পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার চাঁদ উদীত হলো তিনি আবার তাশরীফ মুবারক আনলেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হুজরা শরীফে। প্রথম সেখানে সাক্ষাত মুবারক হলেন হযরত উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলেছিলেন একমাস আলাদা থাকবেন, আজকেতো ২৯ দিন হলো। ২৯ দিন পা বাকি অংশ পড়ুন...












