সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত উম্মে হাবীবা বিনতে আবি সুফিয়ান আলাইহাস সালাম। তিনি কুরাইশ গোত্রের উমাইয়া শাখার অন্তর্ভূক্ত। হযরত হাবীবাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার মেয়ের নাম, সেজন্য হযরত উম্মে হাবীবা আলাইহাস সালাম এই কুনিয়াত মুবারকেই তিনি প্রসিদ্ধ হয়েছেন। উনার প্রকৃত নাম মুবারক ছিল হযরত রামলা আলাইহাস সালাম। উনার পিতা হযরত আবু সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বে কুরাঈশ নেতা ছিলেন।
হযরত উম বাকি অংশ পড়ুন...
তরবারির ঝনঝন আওয়াজে, তীর বর্শার সাজে সজ্জিত হয়ে অশ্বের উপর আরোহন করে সমস্ত কাফির সৈন্যদের সম্মুখ দিয়ে খন্দক্ব ডিঙ্গিয়ে গিয়ে দাম্ভিকতা এবং অহঙ্কারের সাথে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আমর ইবনে আব্দ বললো, ‘আপনাদের মধ্যে কোনো মল্লযোদ্ধা আছেন কি?’
সে মনে করেছিলো- এমন কে আছেন যিনি তার সাথে মল্লযুদ্ধ করতে যাবেন। তার সামনে যিনিই মল্লযুদ্ধ করতে যাবেন তিনিই নির্ঘাত মৃত্যুমুখে পতিত হবেন। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তার দাম্ভিকতা এবং অহঙ্কারের সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা পবিত্র শবে বরাত শরীফ প্রমাণিত। রেজালবিদ উনারা সনদ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। বিশ্ব বিখ্যাত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব “ছহীহ ইবনে হিব্বানে” ছহীহ সনদসহ বর্ণনা এসেছে,
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَافَى الْعَابِدُ بِصَيْدَا ، وَابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ ، وَابْنِ ثَوْبَانَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ مَكْحُولٍ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : يَطْلُعُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ م বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শবে বরাত শরীফ প্রসঙ্গে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে। এত ব্যাপক সংখ্যক বর্ণনার ফলে লা’মাযহাবীদের গুরুরাও পবিত্র হাদীছ শরীফগুলোকে ছহীহ মেনে নিয়েছে। তারপরও কিছু কুয়োর ব্যাঙ সালাফী, লা’মাযহাবীরা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উছূল সম্পর্কে অজ্ঞ হওয়ার কারণে ছহীহ হাদীছ শরীফসমূহের বিরোধিতা করে থাকে। পবিত্র শবে বরাত শরীফ সম্পর্কে একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিরোধিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব উল্লেখ করা হলো-
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عن حضرت ابى موسى الاشعرى رضى الله تعالى عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله تعالى ليطلع فى ليلة النصف من شعبان বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শবে বরাত হচ্ছে- সম্মানিত ইসলামের বিশেষ রাত্রিসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি বিশেষ রাত্র মুবারক। যা শা’বান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে হয়ে থাকে। “ পবিত্র শবে বরাত” এর অর্থ হচ্ছে, “মুক্তির রাত্র” বা “নাযাতের রাত্র”।
‘শব’ ফার্সী শব্দ। যার অর্থ হচ্ছে, “রাত্র”। আর “বরাত” আরবী শব্দ যা উর্দূ, ফার্সী ইত্যাদি সব ভাষাতেই ব্যবহার হয়ে থাকে। যার অর্থ “মুক্তি ও নাযাত” ইত্যাদি।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্য থেকে শবে বরাতের প্রমাণ :
স্মর্তব্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে “শবে বরাতকে” “লাইলাতুম মুবারাকাহ বা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমানে সালাফী ওহাবীরা বলে, পবিত্র শবে বরাতে বা লাইলাতুল বরাতে রোযা রাখার কোন দলীল নেই, এ দিন নির্দিষ্ট করে রাখা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অথচ ছিহাহ সিত্তার অন্যতম ছহীহ কিতাব “মুসলিম শরীফে” এই দিনে রোযা রোযা রাখার স্পষ্ট দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، - رضى الله عنهما - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لآخَرَ " أَصُمْتَ مِنْ سَرَرِ شَعْبَانَ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ
অর্থ: হযরত ইমরান ইবনু হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে, সাইয়্যদুল মুরসালী বাকি অংশ পড়ুন...
২০৮ পর্ব:
অসংখ্য অগণিত নিয়ামত মুবারকের মধ্যে বিশেষ নিয়ামত মুবারক হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনাদের মধ্যে বিশেষ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখন মহাসম্মানিত কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ, পূর্ববর্তী তিন খানা কিতাব, একশ’ খানা ছহীফাহ এবং মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে যা কিছু বর্ণিত রয়েছেন তার থেকে উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী- সম্মান লক্ষ কোটিগুন বেশি রয়েছেন বাকি অংশ পড়ুন...
২০৭ পর্ব :
সেটা কিন্তু বলা হচ্ছে, ইমামুছ সাদিস মিন আহলি বাইতে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রকাশ করেছেন,
نـَحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ/ اَلُ بَيْتٍ
আমরা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত।
وَنَـحْنُ اَلْوَسِيْلَةُ اِلَى اللهِ
আমরা হচ্ছি একমাত্র যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য একমাত্র উছীলা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
لَا وَسِيْلَة اِلَى اللهِ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِّنْ مَّالٍ
অর্থ: দানে সম্পদ কমেনা। (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اَلصَّدَقَةُ تَرَدُّ الْبَلَاءُ
অর্থ: “দান-ছদকা বালা-মুছীবত দূর করে।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মৃত্যুর জন্যে সদা প্রস্তুতি নিতে হবে। হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম তিনি চলে আসলে আর প্রস্তুতি নেয়ার সময় পাওয়া যাবেনা। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوَكُمْ بِالشَّرِّ وَالْـخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُوْنَ
অর্থাৎ- প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস বাকি অংশ পড়ুন...
পড়ালেখা শিখাচ্ছেন- সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। যেন বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, ভালো কোনো চাকরি বা ব্যবসার মাধ্যমে সচ্ছলভাবে থাকতে পারে এই আশায়। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে এটাই কি আপনার এবং আপনার সন্তানদের ভবিষ্যৎ? না, কখনোই নয়। বরং আমাদের আসল ভবিষ্যৎ হলো ‘পরকাল’। এই দুনিয়ার সচ্ছলতা, একটু সুখ সেটা কত বছরের জন্য? এরপর কি হবে, কোথায় যেতে হবে, কোথায় থাকতে হবে? মুসলিম হিসেবে তা আপনাকে যেমন অনুভব করতে হবে, তেমনি সেই অনুভূতি আপনার সন্তানদের মাঝেও সৃষ্টি করে দিতে হবে। সঠিক মত-পথ তথা ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক চললে জান্নাতের অবারিত বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরকারা বলে থাকে- পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ বিদয়াত। খইরুল কুরূনে কেউ পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন করেন নাই। কেউ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করেন নাই। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
অথচ ইতিহাস সাক্ষী- খাইরুল কুরূনে পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১২শ বছর আগে মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২ হিজরী) কর্তৃক পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আমল ও ইতিহাস নিয়ে রচিত কিতাব “আখবারুল বাকি অংশ পড়ুন...












