ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বীরত্ব মুবারক (১)
, ১৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১০ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সে মনে করেছিলো- এমন কে আছেন যিনি তার সাথে মল্লযুদ্ধ করতে যাবেন। তার সামনে যিনিই মল্লযুদ্ধ করতে যাবেন তিনিই নির্ঘাত মৃত্যুমুখে পতিত হবেন। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তার দাম্ভিকতা এবং অহঙ্কারের সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজী মুবারক পেশ করে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অনুমতি মুবারক দান করুন, আমি এই কাট্টা কাফিরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই।’
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- ‘সে কিন্তু আমর ইবনে আব্দ। অর্থাৎ সে সাধারণ কোনো যোদ্ধা নয়; বরং সে হচ্ছে সারা পৃথিবীর সমস্ত কাফিরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা।’
এরপর আমর ইবনে আব্দ দ্বিতীয় বারের মতো আবার দাম্ভিকতা এবং অহঙ্কারের সাথে চিৎকার দিয়ে বললো, ‘আমার মোকাবিলা করার মতো কী কোনো লোক নেই? আপনাদের সেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক কোথায়? যা আপনারা ধারণা করেন যে, আপনাদের কেউ শহীদ হলে তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ যাবেন। আপনাদের কেউ কি আমার মোকাবিলায় আসবেন না? আপনারা কি সম্মানিত জান্নাত মুবারক চান না?’ না‘ঊযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পুনরায় আরজী মুবারক পেশ করে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অনুমতি মুবারক দান করুন, আমি এই কাট্টা কাফিরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই।’
তখনও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- ‘সে কিন্তু আমর ইবনে আব্দ। অর্থাৎ সে সাধারণ কোনো যোদ্ধা নয়; বরং সে হচ্ছে সারা পৃথিবীর সমস্ত কাফিরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা।’
অতঃপর সেই কাট্টা কাফির আমর ইবনে আব্দ তৃতীয়বার আরো বেশি অহঙ্কার এবং দাম্ভিকতার সাথে হাঁক-ডাক দিয়ে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উত্তেজিত করতে লাগলো।
তার অহঙ্কার এবং দাম্ভিকতাপূর্ণ কবিতা শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পুনরায় আরজী মুবারক পেশ করে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অনুমতি মুবারক দান করুন, আমি এই কাট্টা কাফিরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই।’
তৃতীয়বারও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- ‘সে কিন্তু আমর ইবনে আব্দ। অর্থাৎ সে সাধারণ কোনো যোদ্ধা নয়; বরং সে হচ্ছে সারা পৃথিবীর সমস্ত কাফিরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা।’
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের উপর পরিপূর্ণ অটল-অবিচল থেকে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘হোক না সে আমর ইবনে আব্দ অর্থাৎ হোক না সে সারা পৃথিবীর সমস্ত কাফিরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় যোদ্ধা! তাতে কি? ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! দয়া করে আমাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অনুমতি মুবারক দান করুন, আমি এই কাট্টা কাফিরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই।’
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অনুমতি মুবারক দান করেন এবং উনার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ মুবারক করেন-
اللهم إنك أخذت مني حضرت عبيدة بن الحارث رضى الله تعالى عنه يوم بدر وحضرت حمزة بن عبد المطلب عليه السلام يوم أحد وهذا أخي حضرت علي بن أبي طالب عليه السلام رب لا تذرني فردا وأنت خير الوارثين
অর্থ: “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমার থেকে বদরের (সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার) দিন হযরত উবায়দাহ্ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে গ্রহণ করেছেন এবং উহুদের (সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার) দিন সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম) উনাকে গ্রহণ করেছেন। আর ইনি হচ্ছেন আমার মহাসম্মানিত (চাচাতো) ভাই ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম। আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আমাকে একা ছেড়ে দিবেন না। আপনি হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী।” সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (২)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












