২১৮ পর্ব:
এখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ جَاهِدِ الْكُفَّارَ وَالْمُنَافِقِينَ
কাফির মুনাফিক্বদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন। এই বেয়াদবগুলি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করে নিজেরা কাফির ও জাহান্নামী হচ্ছে, মুসলমানদেরকেও বিভ্রান্ত করতেছে। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই এদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠিন জিহাদ ঘোষণা করুন, দৃঢ় হউন। অর্থাৎ উম্মতদেরকে বলেন এদের বিরুদ্ধে যেন শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এদের জায় ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম, এটা নিকৃষ্ট একটা জায় ঠিকানা। এরা জাহান্নামের কিট। এদের কোন ইজ্জত- স বাকি অংশ পড়ুন...
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেছেন,
أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلّى الله عليه وسلم يَقُولُ: ্রلَنْ يَحْنُوَ عَلَيْكُمْ بَعْدِي إِلَّا الصَّالِحُونَগ্ধ
সাবধান হয়ে যাও! নিশ্চয়ই আমি শুনেছি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন। কি করেছেন?
لَنْ يَحْنُوَ عَلَيْكُمْ بَعْدِي إِلَّا الصَّالِحُونَ
আমার পরে যারা নেককার, আল্লাহ ওয়ালা, আল্লাহ ওয়ালী উনারাই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী
ইলমে তাছাওউফ হাছিল
অতঃপর ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরয করলেন, হে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মীস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহিলাদের মীরাস কত অংশ? তিনি বললেন, মহিলার অংশ পুরুষের অর্ধেক। এ উত্তর শুনে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন-
هذا قول جدك ولو حولت دين جدك لكان ينبغى فى القياس ان يكون للرجل سهم وللمرأة سهمان لأن المرأة اضعف من الرجل
অর্থ: এটা আপনার সম্মানিত নানাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাকি অংশ পড়ুন...
খাতসমূহের মধ্যে যাদেরকে যাকাত দেয়া অধিক উত্তম :
সম্মানিত যাকাত প্রদানের আট প্রকার খাতের মধ্যে তিন প্রকার খাতে সম্মানিত যাকাত দেয়া উত্তম। যেমন,
১। নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন : নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন যদি তাদের আক্বীদা, আমল বিশুদ্ধ থাকে। তা খেয়ে পরে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করে। এর ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিকে সম্মানিত যাকাত দিলে তা আদায় হবে না। যদিও নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজন হোক না কেন।
২। গরীব প্রতিবেশী : এ ক্ষেত্রেও উক্ত ১নং শর্তের অনুরূপ।
৩। গরীব ত্বলিবুল ইলম : যারা দ্বীনি ইলম্ অন্বেষণ করে। তাদেরকে সম্মানিত যাকাত দ বাকি অংশ পড়ুন...
২১৬ পর্ব:
وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ
আর যারা উনার সাথে ঈমানদার রয়েছেন উনাদেরকেও সম্মানিত করা হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তোমাদেরকেও সম্মানিত করা হবে।
نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
কিভাবে সম্মানিত করা হয়েছে? যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক বলে দিচ্ছেন, খালিছ তওবা করো। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গি (হাক্বীক্বী উম্মত) হয়ে যাও। তাহলে ঈমানদার তোমাদেরকে সম্মানি বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তারা মুরতাদদের শাস্তি প্রদানে ব্লাসফেমী আইন চেয়ে থাকে। এই আইন জারীর জণ্যে তারা পূর্বে আন্দোলন করেছে, এখনো করছে।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ব্লাসফেমী আইন ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত আইন। এই আইন চাওয়ার অর্থই হলো, ইসলামকে নাক্বিছ বা অপূর্ণ মনে করা। অথচ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। মুরতাদের শাস্তির বিধানসহ সকল বিষয়েরই ফায়ছালা ইসলামে রয়েছে। সুতরাং মুসলমানদের জন্যে ব্লাসফেমী আইন চাওয়া এবং তা কার্যকর করার জন্য আন্দোলন করা হারাম ও কুফরী।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
শিক্ষা জীবন:
সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুসলিম সমাজের নিয়মানুসারে শৈশবকালে সর্বপ্রথম কুরআন শরীফ পাঠ আরম্ভের মাধ্যমেই শিক্ষা জীবন শুরু হয়। অতি শৈশবেই প্রথম কুরআন শরীফ পাঠ শিক্ষা করার পর জিলান নগরীর এক মক্তবে উনাকে ইলিম হাছিলের জন্য ভর্তি করে দেয়া হয়। অবশ্য তিনি এই মক্তবে ভর্তি হওয়ার পুর্ব থেকে ঘরে বসে উনার মাতার মুবারক মুখে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত শুনে এর অনেকাংশই কণ্ঠস্থ করে ফেলেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম
উনার সাথী
আগ্রা বাকি অংশ পড়ুন...
২১৫ পর্ব:
কিন্তু পরবর্তী সময় যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন তোদের শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। শুধু বেত্রাঘাত করলেই চলবে না শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদন্ড, এর থেকে রেহাই নেই। পরবর্তীতে পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। এটা আমরা সামনে আলোচনা করবো। এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,
ঈমানদারদেরকে, সাবধান হয়ে যাও! জাহান্নামের কথা তোমরা শুনেছো?
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا
হে ঈমানদারেরা! তোমরা যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার বাকি অংশ পড়ুন...
যানবাহনে পবিত্র ছলাত বা নামায পড়ার তারতীব বা নিয়ম
কোন যানবাহনে যেমন লঞ্চ, স্টীমার কিংবা গাড়ীতে নামায পড়া অবস্থায় ক্বিবলা ঘুরে গেলে নামাযী ব্যক্তিকে নামাযরত অবস্থায়ই ক্বিবলা উনার দিকে ঘুরে নামায শেষ করতে হবে। অন্যথায় নামায হবে না। আর যদি এমন অবস্থা হয় যে, ক্বিবলা উনার দিকে ফিরা সম্ভব না হয়, তখন নামায ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ক্বিবলা উনার দিকে মুখ করে নিয়ত বেঁধে নামায আদায় করতে হবে।
জেনে রাখা জরুরী যে, লঞ্চ-স্টীমার বা রেলগাড়ী ইত্যাদিতে সফররত অবস্থায় যখন নামায পড়তে যাবে, তার পূর্বে উক্ত যানবাহন কত সময় একই দিকে চলবে তা জানতে হবে। যখন একই দ বাকি অংশ পড়ুন...
শেষ কথা :ইতোমধ্যেই আলোচিত হয়েছে, হিজরী ৭ম শতকের মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হিজরী ৮ম শতকের মুজাদ্দিদ, মাহবুব-এ ইলাহী হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনাদের সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত কোনো মুরীদ বা এই সিলসিলার হক্বপন্থী কোনো আউলিয়ায়ে কিরাম কখনো বাদ্যযন্ত্রসহ সামা শরীফ শোনেননি, কাওয়ালী করেননি। আমরা এও আলোচনা করেছি হযরত আমীর খসরু রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খেয়ালের জনক নন, তবলা এবং সিতারের উদ্ভাবকও নন। এছাড়াও সঙ্গীত শিল্পী মিয়া তানসেন তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার বিশ বাকি অংশ পড়ুন...
২১৪ পর্ব:
জাহান্নামে তোমাদেরকে পৌঁছে দেয়াই হবে। এবং উনারা কখনও যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যা আদেশ মুবারক করেন তার খিলাফ করেন না। যা আদেশ মুবারক করেন তাই উনারা পালন করে থাকেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম! এতোক্ষণ বলা হলো ঈমানদারকে। এরপর কাফিরদেকে বলা হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ كَفَرُوا لا تَعْتَذِرُوا الْيَوْمَ إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ كَفَرُوا لا تَعْتَذِرُوا الْيَوْم
হে কাফির! তোরা জেনে রাখ আজ তোদের কোন ওজর গ্রহণ কর বাকি অংশ পড়ুন...
ঝগড়া-বিবাদ খুবই ন্যাক্কারজনক ও খারাপ কাজ। নিজের হক্ব ও অধিকার রক্ষা ও লাভের জন্য ন্যায় পন্থায় বিবাদ করা দুরস্ত থাকলেও বিবাদ পরিহার করে চলা সর্বাবস্থায়ই উত্তম। ঝগড়া-বিবাদ করলে কথায় কথায় অশ্লীল, গালিগালাজ ও কটুবাক্য এসে যায় এবং মনের ভিতরে ঘৃণা বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়। যার কারণে ভয়াবহ পরিণামেরও সম্মুখীন হতে হয়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْتَتَلُوا فَاَصْلِحُوْا بَيْنَهُمَا ۖ فَاِنْ بَغَتْ اِحْدَاهُـمَا عَلَى الْاُخْرٰى فَقَاتِلُوا الَّتِيْ تَبْغِيْ حَتّٰى تَفِيْءَ اِلٰى اَمْرِ اللهِ ۚ فَاِنْ فَاءَتْ فَاَصْلِح বাকি অংশ পড়ুন...












