খালী চোখে চাঁদ দেখে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ শুরু ও শেষ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ
বান্দার যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগী, কর্মপদ্ধতি তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সর্বপ্রকার সম্মানিত আমলসমূহ আরবী মাসের তারিখ ও সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে চাঁদের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ বিশেষ দিবস এবং আমলসমূহ বিভিন্ন মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন: সম্মানিত নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, ঈদ, আশূরা, লাইলাতুল ক্বদর, লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুর রগাইব, সর্বোপরি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে পারস্য বিজয়ের জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয়, তার সেনাপতি এবং দায়িত্বশীল হিসেবে মনোনীত হন দ্বীন ইসলাম উনার বীর সিপাহসালার হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
সে সময় পারস্যের শাসক ছিলো ইয়াজদ গের্দ এবং তার প্রধান সেনাপতি ছিল রুস্তম। হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুসলিম ফৌজ নিয়ে রওয়ানা হলেন এবং কাদেসিয়া নামক স্থানে অবস্থান নিলেন। সেখান থেকে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার দিক নির্ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের জন্যেই ফরয :তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাস উনার তুলনায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তদ্রপ মর্যাদাবান। যেসব ওসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত জান্নাতে দাখিল করেন- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাস উনার ইবাদত-বন্দিগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম ওসীলা।
পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার প্রথম দশদিন রহমতের, দ বাকি অংশ পড়ুন...
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই হচ্ছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক।”
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমরা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আল্ইাহাস সালাম উনার কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষা করো।” অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের জন্য অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। অনুরূপভাবে উনার আখাছ্ছুল খাছ নিসবত মুবারক প্রাপ্তির দরুন হযরত আহলু বা বাকি অংশ পড়ুন...
২২৫ পর্ব:
সেটাই বলা হচ্ছে, বলুন উনাদেরকে আপনারা এটা ঝুলিয়ে দেন।
ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ
এটা হচ্ছে উনাদেরকে চেনার জন্য। যারা স্বাধীন, যারা সম্ভ্রান্ত উনারা পর্দা করবেন। এটা হচ্ছে উনাদের আলামত, চিহ্ন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা শরীফ এবং গাইরে শরীফ। অর্থাৎ ভদ্র অভদ্র, মর্যাদা সম্পন্ন আর মর্যাদাহীন উনাদের মধ্যে পার্থক্য করে দেয়া হয়েছে। যারা সম্মানিতা মহিলা, শরীফ উনারা পর্দা করবেন এটাই বলা হচ্ছে।
ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
এটা হচ্ছে উনাদ বাকি অংশ পড়ুন...
২২৩ পর্ব:
وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ
যারা ইলমে অভিজ্ঞ। মিল্লাদুন্না ইলমা। ইলমে লাদুন্নীর ব্যাপারে বলেন,
يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ
তারা বলেন আমরা এর প্রতি ঈমান আনলাম। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সব বিষয় মানুষ জানে না। তাকে যতটুকু জানানো হয়েছে সে ততটুকু জানে।
كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا
সমস্ত ইলম যিনি রব তায়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এসে থাকেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
وَمَا يَذَّكَّرُ إِلاَّ أُوْلُواْ الألْبَابِ
জ্ঞানী ছাড়া কেউ এটা বুঝবে না। বিষয়গুলি যারা জ্ঞানী, মিল্লাদুন্না ইলমা, ও বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ اَبْوَابُ الْـجَنَّةِ وَغُلّقَتْ اَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِيْنُ.
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মাস আসে, তখন সম্মানিত জান্নাত উনার দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শৃঙ্খ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না :সম্মানিত যাকাত যেহেতু সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ৩য় ও মধ্যবর্তী স্তম্ভ এবং সম্মানিত যাকাত হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান উনার দলীল। তাই সম্মানিত যাকাত প্রদান করার ক্ষেত্রেও শরয়ী খুঁতমুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে প্রদান করতে হয়, নতুবা যাকাত আদায় হবে না। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন-
تَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوٰى ۖ وَلَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْـمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللهَ ۖ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ.
অর্থ: “তোমরা নেক কাজে ও পরহেযগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদ কাজে ও শত্রুতাতে পর বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: মুসলমানদের জন্য নারী বা মহিলার নেতৃত্ব মানা জায়িয। কেননা, রানী বিলকিস ও হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনারা নেতৃত্ব দিয়েছেন।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি নারীদের উপর পুরুষদের কর্তৃত্ব দিয়েছেন। আর হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, “যে কওমের নেত্রী হয় মহিলা বা নারী সে কওমের কোন কামিয়াবী নেই।” এক্ষেত্রে রানী বিলকিস আর হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাদের দৃষ্টান্ত আদৌ প্রযোজ্য নয় এবং তা এক্ষেত্রে পেশ করা জিহালত ও গোমরাহী বৈ কিছু নয়।
[এ সম্পর্কে বিস্তারি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ফযীলত সম্পর্কে বহু পবিত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। যেমন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ اِيـمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ اِيـمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه.
অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সম্মানিত ঈমান ও ইখলাছের সাথে পবিত্র রমাদ্বা বাকি অংশ পড়ুন...
২২২ পর্ব:
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
هُوَ الَّذِيَ أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার উপর কিতাব নাযিল করেছেন।
مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ
এর মধ্যে আয়াতে মুহকামাহ রয়েছেন, স্পষ্ট আদেশ-নির্দেশ মুবারক রয়েছে। এটা কিতাব উনার মূল।
وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ
তারপরে হচ্ছে মুশাবিহাহ। এই মুশাবিহার পবিত্র আয়াত শরীফ দুই রকম। এছাড়া হুরফে মুকাত্বায়াত আরেক রকম। বলা হচ্ছে,
فَأَمَّا الَّذِينَ في قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
“হারীসাহ” এতই আভিজাত্যপূর্ণ ও পছন্দনীয় খাবার যে, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে পবিত্র নিসবতে আযীমাহ মুবারক উনার সময় আয়োজিত ওয়ালিমা অনুষ্ঠানে ‘হারীসাহ’ রান্না করে মেহমানদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া এ সকল সুন্নত সমূহকে পুনরায় জিন্দা করে জারি করার উদ্দেশ্যে রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম আলাইহিস সালাম উ বাকি অংশ পড়ুন...












