২৩০ পর্ব:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়ে গেছে, মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে কেউ যদি হাজরে আসওয়াদ আর রুকনে ইয়ামানির মধ্যে সারা বছর পরে থাকে সিজদা দিয়ে, সে জাহান্নামী। নাউযুবিল্লাহ! ফায়সালাটা কি হলো?
تَائِبَاتٍ
তওবাকারী। তওবার চুড়ান্ত মাক্বামের মালিক উনারা। উনাদের নিছবত মুবারক হাছিল করতে পারলে আস্তে আস্তে সে তওবাকারী হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনাদের মুহব্বত, নিছবত, কুরবত মুবারক না হাছিল করা পর্যন্ত কোন দিন সে তওবাকারী হতে পারবে না। তার তওব বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বদীম। তিনি নতুন কোন কিছু শুরু করেন না। তবে কখনো কখনো উনার কোন কোন বিশেষ শান মুবারক প্রকাশ পায়। অনুরূপভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও কোন কোন বিশেষ শান মুবারক কখনো কখনো প্রকাশ পায়। আর এই বিশেষ শান মুবারক প্রকাশের আখাছছুল খাছ পাত্র মুবারক হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!
মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
সম্মানিত যাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না
হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, বিরাট পর্বতমালা যার অস্তিত্ব শত শত মাইল দূর হতে দেখা যায়। কিন্তু ঈমান অত্যন্ত সূক্ষ্ম, যার অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। কিভাবে যে একজন ঈমানদার ব্যক্তি বেঈমান হয়ে যায় তা বোঝা কঠিন। যার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে কাদিয়ানীরা। তারা সব মানে কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘খ¦তামুন নাবিয়্যীন’ অর্থাৎ শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে না। নাঊযুবিল্লাহ! ১ টি শব্দ ‘খ¦তাম’ যার অর্থ ‘শেষ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে
মু’মিন-মুসলমানের করণীয় বিষয়াবলী
মহিমান্বিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ অন্যতম। এ পবিত্র মাস উনার মধ্যে ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি। এ মাস উনার মধ্যে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী করে তাক্বওয়া হাছিলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেজামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে ইবাদতের ফযীলত বাকি অংশ পড়ুন...
২২৯ পর্ব:
لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ
আমাদের সাথে কারো কোন তুলনা চলবে না। তাহলে এখানে তুলনা আসে কেন। কেন কাফিরেরা যা বললো সংশয়, ফিতনা করলো, কেন এ কথা আসলো এখানে। এরাতো অনেক অপবাদ দিয়ে থাকে যেমন তা’খীরের বিষয়টা। উনারা দুনিয়ার সম্পদ তলব করেছেন? নাউযুবিল্লাহ! একজন নেককার পুরুষ হোক মহিলা হোক আল্লাহ ওয়ালী হয়ে থাকলে সে কিন্তু দুনিয়া তালাশ করে না। তাহলে উনারা কি করে তালাশ করলেন। নাউযুবিল্লাহ! সাধারণ আক্বল-বুদ্ধিও থাকা উচিত ছিল মানুষের। তাহলে এই লোকগুলি কি করবে। এই যে সারাদিন এতো লাঞ্ছনা গঞ্জনা কেন? এই জন্যেতো। বেয়াদবীর জন্যে লাঞ্ছনা গঞ্জনা, বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
সারা বিশ্বে একদিনে রোযা ও ঈদ পালন করার দাবীদাররা বিভ্রান্ত :সউদী আরবের আকাশে চাঁদ না দেখে যেমনি সম্মানিত হজ্জের সময় নির্ধারণ করা জায়িয নয়, তেমনি নিজস্ব উদয়স্থলে চাঁদ না দেখে সম্মানিত রোযা, ঈদ, অন্যান্য আমল পালন করাও জায়িয নয়। পৃথিবীর দুটি স্থানের সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১২-১৪ ঘণ্টারও বেশি। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ও ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।
পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যা হলে অন্য স্থানে সকাল। আর আমরা জানি, সম্মানিত শরীয়ত উনার দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সুতরাং কোন স্থানের সন্ধ্যা বাকি অংশ পড়ুন...
২২৮ পর্ব:
এজন্য যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,
يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء
আপনারা এমন মহাসম্মানিত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম যে, আপনারা কোন মহিলা, কোন পুরুষ, করো মতো নন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই যে পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক। এরপর বলা হয়েছে,
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের থেকে সমস্ত অপবিত্রতা বের করে দিয়ে, আপনাদেরকে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থ: “আপনারা স্মরণ করুন, নছীহত মুবারক করুন, আপনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে যা তিলাওয়াত মুবারক করা হয়েছে বা নাযিল মুবারক করা হয়েছে, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ আপনারা স্মরণ করুন এবং উনাদের মাধ্যমে নছীহত মুবারক করুন। নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্ম খবর রাখনেওয়ালা। অর্থাৎ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে
পবিত্র ছলাত বা নামায উনার ফযীলত ও গুরুত্ব
ক্বাযা নামায উনার বর্ণনা
সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী প্রত্যেক ফরয ও ওয়াজিব নামায উনার জন্য সময় নির্দিষ্ট আছে। সেই নির্দিষ্ট সময়ে নামায আদায় না করে পরে সেই নামায আদায় করাকে ক্বাযা নামায বলা হয়। বিশেষ কোন কারণ ব্যতীত ফরয বা ওয়াজিব নামায নির্দিষ্ট সময়ে আদায় না করা কবীরা গুণাহ।
অতএব, ইচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে বা নিদ্রা যাওয়ার কারণে যদি কোন ফরয বা ওয়াজিব নামায ছুটে যায় তবে স্মরণ হওয়া মাত্রই বা সময় পাওয়া মাত্রই তা আদায় করে নিতে হবে এবং যথাসময় আদা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
চাঁদ নিয়ে ইহুদী-মুশরিকদের গভীর চক্রান্ত
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِىءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ ۖ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সময়কে (মাসকে) আগ-পিছ করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে দেয়।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
নাসী বলা হয় চাঁদ অনুযায়ী মাস গণনা না করে তারিখ আগ-পিছ করাকে। যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্ট কুফরী বলা হয়েছে। শুধু কুফরীই নয়, বরং তা কুফরীর বৃদ্ধিসাধন করে। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা, চাঁদ যে দিন দৃশ্যমান হলো সেদিন থেকে তারিখ গণনা না করে যদি তার পর থেকে বা পূর্ব থেকে গ বাকি অংশ পড়ুন...
২২৭ পর্ব:
তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে যারা চূ-চেরা করল তাদের কি ফায়সালা হবে? এখন তাহলে যারা তাফসীর করলো, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যা করলো, যারা ছাওয়ানেহ উমরী লিখলো তারা কি বুঝতে পারলো। এটা তাহলে ফিকির করতে হবে।
এখন এটা ফিকির করতে হবে। যারা পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর, শরাহ লিখলো উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করলো আর উনাদের ছাওয়ানেহ উমরী মুবারক লিখলো যে উনারা চুলা-চুলি করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! মারামারি করেছেন, হিংসা বিদ্বেষ করেছেন, মিথ্যা কথা বলেছেন। না বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল অনন্তকালব্যাপী জারি এবং উনার কার্যক্রম :
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّنْ رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِي الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْـمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ ◌ قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ ◌
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, ফযল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...












