ছদাক্বাতুল ফিতর শব্দের অর্থ
ছদাক্বাতুল ফিতর (صَدَقَةُ الْفِطْرِ) আরবী শব্দ। এখানে صدقة শব্দের অর্থ দান করা। আর الفطر শব্দের অর্থ ভঙ্গ করা। সুতরাং ছদাক্বাতুল ফিতরের সম্মিলিত অর্থ হল ভঙ্গ করার দান। যাকে যাকাতুল ফিতর বলেও উল্লেখ করা হয়।
পারিভাষিক অর্থে দীর্ঘ একমাস রোযার রাখার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন মালিকে নিছাবের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ২ জনের জন্যে এক ছা’ আটা বা তার মূল্য পরিমাণ যে সম্পদ গরীবকে প্রদান করা হয় তাকে ছদাক্বাতুল ফিতর বলে।
ছদাক্বাতুল ফিতর কে দিবেন
ছদাক্বাতুল ফিতর প্রদান করা ধনীদের জন্যে ওয়াজিব। দ্বিতীয় হিজরীর শা’বান মা বাকি অংশ পড়ুন...
এক প্রসঙ্গে আমি আলোচনা করতেছিলাম,
فَلَمَّا قَضَىٰ زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا لِكَيْ لَا يَكُونَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَرَجٌ
এখানে পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ মুবারক হচ্ছে সহজ সরল। হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাথে উনার যে নিসবতুল আযিম শরীফ সম্পন্ন হয়েছিল তিনি সেটা থেকে মুক্ত হয়ে গেলেন, জুদা হয়ে গেলেন। ফয়সালা করে নিলেন। এরপর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,
زَوَّجْنَاكَهَا
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক বাকি অংশ পড়ুন...
২
সম্মানিত যাকাত কখন আদায় করবেন
হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الـحوائج الاصلية) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর নিছাব পরিমাণ সম্পদ যদি নিজ মালিকানায় পূর্ণ ১ বছর থাকে তাহলে যাকাত আদায় করতে হবে।
হাওল (الْـحَوْلُ) : সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় মালিকে নিছাবের হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الـحوائج الاصلية) বা মৌলিক চাহিদার অতিরিক্ত মাল-সম্পদ বা অর্থ-সম্পদ পূর্ণ ১ বছর নিজ মালিকানায় থাকাকে হাওল (الْـحَوْلُ) বলে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ اُمِّ الْمـُؤْمِنِيْنَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامَ قَالَتْ لَيْسَ فِى مَالٍ زَكٰوةٌ حَتّٰى يَـحُوْلَ عَلَيْهِ الْـحَوْلُ.
অর্থ : “ হযরত উ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
১২
রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনসুলিন, স্যালাইন, ইনহেলার ইত্যাদি নিলে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হবে
কেউ কেউ রমযান মাস আসলেই পেপার-পত্রিকায় ও প্রচার মাধ্যমে প্রচার করে থাকে যে, “রোযারত অবস্থায় ইনজেকশন এমনকি স্যালাইন ইনজেকশন নিলেও রোযা ভঙ্গ হয়না।” নাঊযুবিল্লাহ!
মূলত তাদের এ বক্তব্য সম্পূর্ণই ভুল, জিহালতপূর্ণ এবং কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা, তারা তাদের উক্ত বক্তব্যের স্বপক্ষে নির্ভরযোগ্য একটি দলীলও পেশ করতে পারবেনা। পক্ষান্তরে রোযারত অবস্থায় যে কোন প্রকার ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ ফতওয়াটিই ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য। বাকি অংশ পড়ুন...
২৩২ পর্ব:
এ বিষয়গুলি উনাদের অনেক শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী ও সম্মান মুবারক তা মানুষ ফিকির করে না। মুখে আসলো বলে দিলো। নাউযুবিল্লাহ! যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ
নিশ্চয়ই যিনি মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনদের জান থেকে, প্রাণ থেকেও প্রিয়। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
* পবিত্র তারাবীহ নামায দশ সালামে বিশ রাকায়াত পড়া সুন্নত। পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকের জন্যেই এ পবিত্র নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
* বিশ রাকায়াত হতে এক রাকায়াতও যদি কম পড়ে, তাহলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা তরক করার কারণে ওয়াজিব তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে।
* পবিত্র তারাবীহ নামায জামায়াতে পড়া- তা খতম তারাবীহ হোক বা সূরা তারাবীহ হোক, উভয়টিই আলাদাভাবে সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া।
* খতম তারাবীহ পড়িয়ে বা পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে এবং অন্যান্য পবিত্র দ্বীনি কাজের বিনিময়ে উজরত (পারিশ্রমিক) গ্রহণ করা জায়িয।
* পবিত্র সাহরী ও পবিত্র ইফতার: পবিত্র সাহরীত বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র রোযা ফরয হওয়ার শর্তাবলী
পবিত্র রোযা ফরয হওয়ার জন্য নি¤œবর্ণিত শর্তগুলো থাকা আবশ্যক-
১. মুসলমান হওয়া।
২. বালিগ হওয়া।
৩. জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া।
৪. সুস্থ হওয়া।
৫. মুক্বীম হওয়া। অর্থাৎ মুসাফির না হওয়া। কেননা মুসাফিরের জন্য পবিত্র রোযা রাখার বাধ্যবাধকতা থাকেনা। তবে মুক্বীম হওয়ার পর অবশ্যই তা ক্বাযা আদায় করতে হবে।
যাদের উপর রোযা ফরয নয়
১. মুসাফিরের জন্য পবিত্র রোযা আদায় করা ফরয নয়। তবে আদায় করাই উত্তম। যদি মুসাফির অবস্থায় আদায় না করে তবে মুক্বীম হওয়ার পর অবশ্যই ক্বাযা আদায় করতে হবে।
২. অসুস্থ ব্যক্তির উপর প বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত যাকাত শব্দের অর্থ
সম্মানিত যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতির বাকি অংশ পড়ুন...
২৩১
নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ
উনারা হচ্ছেন আমার আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম।
طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে পবিত্র করেছেন নবুওওয়াতের বৃক্ষ,
وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ
রিসালতের মূল। মানুষতো এগুলির অর্থ বুঝে না।
وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ
সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের খিদমত, গোলামী।
وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ
রহমতের ঘর।
وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ
ইলমের খনি। সব কিছু থেকে উনারা পবিত্র। সুবহানাল বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি সুন্নত মুবারক হলো খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করা। দস্তরখানা চামড়ার এবং হালকা খয়েরী রংয়ের হওয়া সুন্নত।
যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানায় এক লোকমা খাবার খাবে, তার প্রতিটি লোকমার প্রতিদানে তাকে ১০০টি করে ছওয়াব দেয়া হবে। (হাদীছ শরীফ)
তাই খাবারের সময় সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করে রহমত বরকত হাছিল করতে সুন্নতী দস্তরখানা ব্যবহার করুন। সুন্নতী দস্তরখানা সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্ বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহের দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি রিযামন্দী হাছিল তথা স্বীয় চরিত্রকে পুত-পবিত্র রাখার নিমিত্তে যারা বিবাহ করেন, সেই বিবাহের দ্বারা তাদের রিযিক বৃদ্ধি পায়। সুবহানাল্লাহ!
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা তিনি বর্ণনা করেন-
جَاءَ رَجُلٌ اِلَـى النَّبِـيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْكُوْ اِلَيْهِ الْفَاقَةَ، فَأَمَرَهٗ اَنْ يَّتَزَوَّجَ
অর্থ: একদা এক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র রোযা উনার প্রকারভেদ
পবিত্র রোযা মোট ছয় প্রকার। যথা- ১.ফরয, ২. ওয়াজিব, ৩. সুন্নত, ৪. মুস্তাহাব, ৫. মাকরূহ, ৬. হারাম।
ফরয রোযা :
* পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ২৯ দিন অথবা ৩০ দিনের রোযা হচ্ছে ফরয রোযা।
ওয়াজিব রোযা :
* মানত-এর রোযা।
* নফল রোযা উনার ক্বাযা, যা শুরু করার পর ফাসিদ (ভঙ্গ) হয়ে গিয়েছিলো।
* বিভিন্ন কাফফারার রোযা।
সুন্নত রোযা :
* পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম (১০ই মুহররমুল হারাম শরীফ) উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ তারিখে রোযা রাখা।
* প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা।
* পহেলা রজব উনার দিনে রোযা রাখা।
* পব বাকি অংশ পড়ুন...












