আর সেটাই মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে দেখা যাচ্ছে, হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন।
أَنَّ اُمُّ الْمُؤْمِنِيْنَ سَيِّدِتُنَا حَضْرَتْ الرَّابِعَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَتَلَتْ جَارِيَةً لَهَا سَحَرَتْهَا،
উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবিয়া’হ আলাইহাস সালাম উনার এক দাসি ছিল, যেই দাসিটা উনাকে জাদু করেছিল। জাদু ক্রিয়া করতে পারেনি। কিন্তু তিনি তার শাস্তি দিলেন মৃত্যুদন্ড। তাকে ক্বতল করা হলো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে দেখা যাচ্ছে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
১৬নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن حضرت كثير بن عبد الله بن عوف رَضِيَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عن أبيه عن جده قَالَ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتقوا زلة العالم وانتظروا فيئته
অর্থ : “হযরত কাছীর বিন আব্দুল্লাহ্ বিন আউফ রহ্মতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতা থেকে, তিনি উনার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা আলিমগণের পদস্খলনকে ভয় কর এবং উনার (সুপথে) ফিরে আসার অপেক্ষা কর।” (বায়হাক্বী শরীফ, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৬৭৮, হিলওয়ানী বাকি অংশ পড়ুন...
সবক্ব নং ১৭ : তাশ্দীদ উনার ব্যবহার
ইংরেজী অক্ষর ()ি এর মত তাশ্দীদ দেখা যায়। তাশ্দীদ হরফ উনার ভিতরে একটি সাকিন হরফ লুকিয়ে রয়। তাশ্দীদ ওয়ালা হরফ দু’বার উচ্চারণ হয়।
১ম বার তার ডান দিকের হরকত উনার সাথে মিলিয়ে।
২য় বার তার নিজস্ব হরকত উনার সাথে।
তাশ্দীদযুক্ত হুরূফ উনার মশ্ক্ব (অনুশীলন)
اَبَّ اَبِّ اَبُّ اَتَّ اتِّ اتُّ اثَّ اثِّ اثُّ
اَجَّ اَجِّ اَجُّ اَحَّ احِّ احُّ اخَّ اخِّ اخُّ
اَدَّ اَدِّ اَدُّ اَذَّ اَذِّ اَذُّ اَرَّ اَرِّ اَرُّ
اَزَّ اَزِّ اَزُّ اَسَّ اَسِّ اَسُّ اَشَّ اَشِّ اَشُّ
اَصَّ اَصِّ اَصُّ اَضَّ اَضِّ اَضُّ اَطَّ اَطِّ اَطُّ
اَظَّ اَظِّ اَظُّ اَعَّ اَعِّ اَعُّ اَغَّ اَغِّ اَغُّ
اَفَّ اَفِّ اَفُّ اَقَّ اَقِّ اَقُّ اَكَّ বাকি অংশ পড়ুন...
وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এটা ক্ষমা করবেন। তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। এই পবিত্র আয়াত শরীফ বলা হলো। এটা হচ্ছে পর্দার ব্যাপারে যে উনাদেরকে কষ্ট দিবে না। উনাদেরকে কষ্ট দিলে কি হবে? এখানে কিন্তু অনেক সূক্ষ্ম বিষয়। বলা হচ্ছে, কষ্ট দিবে না তারা। যখন দেখবে যে আপনারা পর্দা করেছেন, শরীফ আর তারা করবে না। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত শরীয়ত উনার হুকুমটা বর্ণনা করলেন। কি বর্ণনা করলেন?
لَئِن لَّمْ يَنتَهِ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ وَالْمُرْجِفُونَ فِي الْمَدِينَةِ
যিনি খ বাকি অংশ পড়ুন...
নেককার আল্লাহওয়ালী আহলিয়া (স্ত্রী) শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয় বান্দাগণকে যত নিয়ামত দান করেছেন তন্মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছেন দ্বীনদার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا اَلْمَرْأَةُ الصَّالِـحَةُ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
তাক্বওয়ার মূল জিনিস হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসরণ এবং অনুকরণ। সেটাই হলো মূল তাক্বওয়া। আ’লা দরজার তাক্বওয়া। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেমন অনুসরণ করতেন। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার জীবনের একটা ঘটনা বলা হয়। এই ওয়াকেয়া শুনলে আপনারা বুঝতে প বাকি অংশ পড়ুন...
প্রবৃত্তির অনুসরণ বা দাসত্ব হতে মুক্ত ব্যক্তি জান্নাতী আর প্রবৃত্তির লাগামহীন অনুসারী জাহান্নামী
কথিত খলীফা হারুনুর রশীদ মোটামুটি তার ইলম কালাম ছিল, কিছু আমলও তার ছিল। আর তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম, সেও নেককার মহিলা ছিল। একদিন খলীফা হারুনুর রশীদের সাথে তার স্ত্রীর কিছু কথা কাটাকাটি হয়। স্ত্রী সবসময় চাইত খলীফা হারুনুর রশীদ যেন সৎমত সৎপথে চলে, কিন্তু হারুনুর রশীদের একজন সভাসদ ছিল। সে তাকে ওয়াসওয়াসা দিত। খলীফা হারুনুর রশীদ কোন একটা কাজের কথা বললো। বলার পরে তার স্ত্রী জোবায়দা বেগম বললো যে- আপনি যদি এই কাজ করেন, তাহলে আপনি জাহান্ন বাকি অংশ পড়ুন...
সেটা আলাদা নাযিল করলেন।
إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
নিশ্চয়ই যারা যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়
لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ
ইহকাল পরকালে তাদের জন্য যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে লা’নত। নাউযুবিল্লাহ!
وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِينًا
তাদের জন্য কঠিন লাঞ্চিত শাস্তি তৈরী করে রাখা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلَاثٌ كُلُّهُنَّ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ عِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَشُهُودُ الْجَنَازَةِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ إِذَا حَمِدَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- তিনটি বিষয় তার প্রতিটিই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে রুজু থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا
অর্থ: আর সবার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ক্বিবলা। যে দিকে সে মুখ করে, রুজু হয়। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১৪৮)
ঠিক একইভাবে মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, সমস্ত কাফিরদের থেকে ফিরে থাকা, তাদের কোন প্রকার অনুসরণ না করা, তাদের দিকে বাকি অংশ পড়ুন...
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ভোলাহাট থানা নিবাসী মুহম্মদ আব্দুল খালেক সুপ্রসিদ্ধ রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা, আহলে বাইতে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কাছে মুরীদ হওয়ার পূর্বে রাজশাহী জেলাধীন বানেশ্বর দরবারের পীর হযরত মাওলানা মুহম্মদ দেওয়ান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট মুরীদ ছিলেন। উক্ত পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রদত্ত সবকের মধ্যে সওয়াব রেসানীর নিয়ম ছিল যথাক্রমে ইস্তিগফার ৭ বার, আউযুবিল্লাহ শরীফ ও বিসমিল্লাহ শরীফসহ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ ৩ বার, বিসমিল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
মাতা অসন্তুষ্ট থাকলে এই একটা কারণে সন্তান বেঈমান হয়ে মারা যায়। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে যারা চূ-চেরা কিল ও কাল করে, উনাদেরকে যারা কষ্ট দেয় তারা কোথায় যাবে? সেটাইতো বলা হচ্ছে,
مَنْ مَاتَ عَلَى بُغْضِ اٰلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ كَافِرًا
মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করে মারা যায় সে কাফির হয়ে মারা যায়। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করবে সে কাফির হয়ে মারা যাবে। নাউযুবিল্লাহ! শুধু এতটুকু না আরো কঠিন অবস্থা। সেটাই বলা হচ্ছ বাকি অংশ পড়ুন...












