মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
অর্থ: “আপনারা স্মরণ করুন, নছীহত মুবারক করুন, আপনাদের মহাসম্মানিত হুজরা শরীফে যা তিলাওয়াত মুবারক করা হয়েছে বা নাযিল মুবারক করা হয়েছে, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন। অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ আপনারা স্মরণ করুন এবং উনাদের মাধ্যমে নছীহত মুবারক করুন। নিশ্চয়ই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্ম খবর রাখনেওয়ালা। অর্থাৎ বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে উনাদের শান-মান কতটুকু? এখানেতো প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো না। যেহেতু সে প্রকাশ করে নাই বিষয়টা। কিন্তু তার ভিতরে বিদ্বেষ ছিলো, এই বিদ্বেষের কারণে তাকে জাহান্নামে দেয়া হলো। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই ফিকির করতে হবে উনাদের শান-মান মুবারক কতো? মুখে আসলেতো বলা যাবে না। কিতাবে আসলো, কাগজ কলম পাওয়া গেল আর তাফসীর লেখা শুরু হয়ে গেল, কাগজ কলম পাওয়া গেল পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ লেখা শুরু হয়ে গেল, কাগজ কলম পাওয়া গেল উনাদের ছাওয়ানেহ উমরী মুবারক লেখা হয়ে গেল যে উনারা উমুক করেছেন তমুক করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এস বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়ার যমীন কখনোই মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে খালি নয়। ক্বিয়ামত পর্যন্ত সবসময়ই দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান মুবারক করবেন। যখন উনারা বিদায় নিবেন, তখন সমস্ত কায়িনাত ধ্বংস হয়ে যাবে:
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَلِـىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النُّجُوْمُ اَمَانٌ لِّاَهْلِ السَّمَاءِ اِذَا ذَهَبَتِ النُّجُوْمُ ذَهَبَ اَهْلُ السَّمَاءِ وَاَهْلُ بَيْتِـىْ اَمَانٌ لِّاَهْلِ الْاَرْضِ فَاِذَا ذَهَبَ اَهْلُ بَيْـتِـىْ ذَهَبَ اَهْلُ الْاَر বাকি অংশ পড়ুন...
আমাদের পত্রিকায় দেয়া হয়েছে কতগুন শাস্তি হবে। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত সম্পর্কে চূ-চেরা কিল ও কাল করার সুযোগটা কোথায়। এখানে স্পষ্ট বলতে হবে যে আমরা এ বিষয় কিছু জানি না। আর যদি জানো তাহলে যতটুক জানো ততটুকু বলবে এর বাইরে বলতে পারবে না। পিতা-মাতার হক্বতো সব বলে দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে কোন বাদ দেয়া হয়নি। সাধারণ পিতা-মাতার হক্ব এতটুকু তাহলে উনাদের সম্মান, ফযীলত কতটুকু। তাহলে উনাদের শান মুবারকে কিভাবে কথা বলতে হবে এটা মানুষের জানা নাই আদব শরাফত। পবিত্র কালামুল বাকি অংশ পড়ুন...
বিবাহ মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আগামী দিনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না এ সময়ই রচিত হয়। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নামের রাস্তা খুলে যায়। তাইতো কবি যথার্থ বলেছেন-
زن نیک و پارسہ فرماں بود کند مرد درویش را پادشہ
زن بد در سرائی مرد نکوں ھم دریں عالم است دوزخ او
অর্থ: নেককার স্ত্রী গরীব স্বামীকে বাদশাহ বানায়। আর বদকার স্ত্রীর কারণে নেককার ব্যক্তির দুনিয়াটা জাহান্নামে পরিনত হয়। নাউযুবিল্লাহ্ !
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ، وَخَيْرُ مَتَاع বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত যুননুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি বড় বুজুর্গ মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ছিলেন। তিনি একদিন গিয়েছেন পবিত্র কাবা শরীফ-এ হজ্জ করতে। হজ্জ শেষে তিনি বসে রয়েছেন পবিত্র কাবা শরীফ উনার সীমানার মধ্যে পবিত্র কাবা শরীফ উনার পাশে। হঠাৎ দেখলেন, একটা মেয়েলোক একটা বাচ্চাসহ সেখানে এসেছে। সে এসে বলছে, “মহান আল্লাহ পাক! সেই গোপন ওয়াদা।” বার বার সেই মেয়েলোকটা একই কথা বলছে। যখন সে এই কথা বার বার বলছে, হযরত যুননুন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, যেখানে বসা ছিলেন সেখান থেকে উঠে গিয়ে সেই মহিলার নিকটে গিয়ে বললেন, হে মহিলা কিসের গোপন ওয়াদা? কোন গোপন ওয়াদ বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই সে একটা কাফির, তার গরদান ফেলে দাও। তার গরদান ফেলে দেয়া হলো। তার ফায়সালা কি তাহলে? তাহলে দেখা যাচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হচ্ছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করলেই তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড। এটা কিন্তু মৃত্যুর পরিবর্তে না, উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারকের বিরুদ্ধে বললেই তার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। এটা মনে রাখতে হবে। আমরা একটা ফতওয়া বের করতেছি। এই কাফিরগুলি উনাদের শান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করে যাচ্ছে, বিষয়টা কঠিন একটা বি বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বালা-মুছীবতের সময় ফযরের নামাযে ‘কুনূত’ পাঠ করা জায়িয। কেননা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একমাস ফযরের নামাযে কুনূত পাঠ করেছিলেন।
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একমাস ফজরের নামাযে ‘কুনূত’ পাঠ করলেও পরবর্তীতে তা ‘মানসূখ’ হয়ে গেছে। তাই এর পূর্বে ও পরে কখনো তিনি ‘কুনূতে নাযিলা’ পাঠ করেননি। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারাও কখনো ‘কুনূতে নাযিলা’ পাঠ করেননি। তাই আমাদের হানাফী মাযহাবের ইমাম, ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানী বাকি অংশ পড়ুন...
রিয়াজত-মাশাক্কাত:
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিযামিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নকালে বাগদাদ শরীফ-এর বিভিন্ন আওলিয়ায়ে কিরাম তথা পীর মাশায়িখগণের দরবার শরীফ-এ যাতায়াত করতেন। মাদরাসায় ইলমে ফিকাহ তথা জাহিরী ইলিম হাছিলের পাশাপাশি বাতিনী ইলিম তথা ইলমে তাছাউফ হাছিলের লক্ষ্যেই ছিল সেই যাতায়াত। তিনি অতি অল্প বয়সেই এই উপলব্ধির চরম স্তরে পৌঁছেছিলেন যে, শুধু ইলমে ফিক্বাহ তথা জাহিরী ইলিম দ্বারা বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা একটা ফতওয়া তৈরী করেছি সেখানে কয়েকটা ইবারত আসছে। একটা হচ্ছে,
قَالَ قَاضِيَ الْقُضَاةِ لِهَمْدَانِيَّ
হামদানী থেকে কাদ্বিউল কুজাত তিনি বর্ণনা করেছেন।
كُنْتُ يَوْمًا بِحَضْرَةِ الْحَسَنِ بْنِزَيْدٍ الدَّاعِي
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার ৬ষ্ঠ পুরুষ। উনার নামও হযরত হাসান ইবনে যায়িদ আদদায়ী আলাইহিস সালাম
بِطَبَرِسْتَانَ،
এখানে বলা হচ্ছে, সেই কাদ্বিউল কুজাত লিশ্ শাফিয়ী তিনি বর্ণনা করতেছেন, আমি একদিন ছিলাম। কোথায়? সেই ত্ববরিসতানের যিনি শাসক ছিলেন আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সদস্য ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
(৩২)
মিছর বা শহরের ব্যাখ্যা
মিছর বা শহরের তা’বীল বা ব্যাখ্যা হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা প্রদান করেছেন। সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে শহরের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন ইখতিলাফ বা মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। যেমন শহরের ব্যাখ্যায় কেউ বলেন-
১. শহর ওই স্থানকে বলে, যেখানে সর্বপ্রকার পেশার লোক বাস করে এবং প্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র পাওয়া যায়।
২. কেউ বলেন, শহর ওই স্থানকে বলে, যে স্থানে দশ হাজার লোক অথবা দশ হাজার সৈন্য বাস করে।
৩. আবার কেউ বলেন, শহর ওই স্থানকে বলে, যেখানে এত পরিমাণ লোক বাস করে, যদি তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে “ফাওয়ায়েদুল ফুওয়াদ” নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, একদা দিল্লীর ৫০০ আলিমের সাথে সুলত্বানুল আউলিয়া হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাহাছ হয়। কারণ দিল্লীর সেই আলিমরা অপবাদ দিয়েছিল যে, হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গান-বাজনা করেন। বাহাছে যখন এ প্রশ্ন উত্থাপন করা হলো- তখন হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি কস্মিনকালেও গান-বাজনা করিনা বরং আমি সামা করি। আর আমার সামা পাঠের শর্ত হচ্ছে- (১) সেখানে কোন বাদ্য-যন্ত্র থাকবে না, (২) কোন বেগানা মহিলা থাকবে না, (৩) কোন নাবালেগ দা বাকি অংশ পড়ুন...












