মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা দ্বুহা শরীফ উনার ১১নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ইরশাদ মুবারক করেন,
وَاَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ.
অর্থ মুবারক: “আপনার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে যেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন, সেই সম্মানিত নিয়ামত মুবারক সম্পর্কে আপনি বর্ণনা করুন।”
সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالىَ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلتَّحَدَّثُ بِنْعَةِ اللهَ شُكْرٌ وَّتَرْكُهَا كُفْرٌ وَّ مَنْ لَّا يَشْكُرِ الْقَلِيْلَ لَا يَشْكُرِ الْكَثِيْرَ وَ مَنْ لَّا يَشْكُ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আলকামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারকের সময় পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না। তিনি বিশিষ্ঠ ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এটা কি করে সম্ভব। উনারা গেলেন সত্যিই উনাকে যতই তালক্বীন দেয়া হচ্ছে তিনি পবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না। এই সংবাদ জানানো হলো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। তিনি বললেন, উনার পিতা-মাতা কেউ আছে কি? উনার পিতা নেই, তবে মাতা আছেন। ঠিক আছে উনার মাতাকে ডাকো, আসতে বলো। তিনি না আসলে আমি নিজেই যাবো। উনার মাতা আসলেন তিনি ছাহাবীয়া রদ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি, রেযামন্দি, তায়াল্লুক, নিছবত হাছিলের ক্ষেত্রে রিয়াজত-মাশাক্কাতের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে, কোন কাজ করার নিয়ত এবং তদানুযায়ী কোশেশ (চেষ্টা) করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি সে কাজটি সুসম্পন্ন করার তৌফিক দেন, মদদ করেন। ফলে কাজটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য সহজ ও শান্তিদায়ক হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
ويهدى اليه من ينيب
অর্থ: “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পা বাকি অংশ পড়ুন...
وَقَدْ قَرَأْتُ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পড়তে থাকতাম। এরপর বলছেন,
تُنَادِي يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
এর অর্থ আমার মহাসম্মানিত মাতা তিনি আমাকে সম্বোধন করতেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
لَأَجَبْتُهَا لَبَّيْكِ"
অবশ্যই অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) আমি উনাদের সম্মানিত ডাকে সাড়া দিয়ে ইরশাদ মুবারক করতাম, লাব্বাইক। হে আমার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম! হে আমার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আমি আপনাদের খিদমত মুবারকে হাযির, উপস্থিত। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
জুমু‘য়া নামায উনার বিবরণ
পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার জন্য তা জামা‘য়াতেই হোক অথবা একাকীই হোক যেমন ওয়াক্ফকৃত স্থান শর্ত নয়, তদ্রুপ জুমু‘য়া উনার জামা‘য়াত শুদ্ধ হওয়ার জন্য হানাফী মাযহাব মুতাবিক ওয়াকফকৃত স্থানের শর্তারোপ করা হয়নি।
অর্থাৎ যে কোনো স্থানে যে কোনো নামায আদায় করলেই ছহীহ হবে। কারণ জুমু‘য়া উনার নামায ফরযে আইন হওয়ার জন্য প্রধানতঃ দু’টি শর্ত পুরণ করা প্রয়োজন-
১) জুমু‘য়া ফরয হওয়ার শর্তসমূহ অর্থাৎ কাদের উপর জুমু‘য়া ফরয।
২) জুমু‘য়া ছহীহ হবার শর্তসমূহ অর্থাৎ কোন স্থানে কখন কিভাবে জুমু‘য়া ছহীহ হবে।
জুমু বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার উপরোক্ত তিনখানা পবিত্র আয়াত শরীফ ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক আলোচনা দ্বারা অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, সঙ্গীত বা গান-বাজনা, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি করা ও শোনা সম্পূর্ণ হারাম ও কবীরা গুনাহ। গান-বাজনা ও বাদ্য-যন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফও বর্ণিত রয়েছে, যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عمر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلّ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ تعالى عَنْهُ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِي قَالَ رَسُول اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمُّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أُمُّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أُمُّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ ثُمَّ أَبُوكَ. وَفِى رِوَايَةِ اخرى أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ أَدْنَاكَ أَدْنَاكَ.
হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন ছাহাবী আসলেন। এসে বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
ক্বাযায়ে উমরী
যে ক্বাযা নামায উনার কথা নিশ্চিত জানা নেই অর্থাৎ বালেগ অবস্থায় নামায ক্বাযা ও নষ্ট হয়েছে কি না এ সন্দেহ দূর করার জন্য যে নামায আদায় করা হয় তাকে উমরী ক্বাযা বলে। যা যথাশীঘ্র আদায় করা অপরিহার্য। নফল নামায আদায় করার চেয়ে উমরী ক্বাযা আদায় করা শ্রেয় যদিও তা নফলের পর্যায়ভুক্ত হয়ে যায়, ফরয ও ওয়াজিব থাকেনা। ক্বাযা নামায ঘরে আদায় করা উত্তম।
উল্লেখ্য যে, উমরী ক্বাযা নফলের নিয়তে পড়া হয়না বরং তা ফরয বা ওয়াজিব আদায়ের নিয়তেই পড়তে হয়।
উমরী ক্বাযার ক্ষেত্রে মাগরিব ও বিতির নামায তিন রাকা‘আতের স্থলে চার রাক‘আত পড়তে হয়। কারণ উমরী ক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে জারীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবুছ ছহাবাইল বিকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে و من الناس من يشترى لـهو الـحديث ليضل عن سبيل الله এ পবিত্র আয়াত শরীফ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত অন্য মা’বুদ বা উপাস্য নেই। উনার শপথ করে বলছি, (لـهو الـحديث) ‘লাহওয়াল হাদীছ’ শব্দ মুবারক উনার অর্থ হচ্ছে সঙ্গীত বা গান-বাজনা। তিনি তিনবার এরূপ বলেছেন।
অনুরূপ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়া বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উনার আমলসমূহ
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর-এ সুন্নত-নফল অনেক আমলই করা যায়। তবে বিশেষভাবে কয়েকটি আমল করা উচিত। তা হলো:
১. পবিত্র শবে ক্বদর বা লাইলাতুল ক্বদর উনার নিয়তে ৪/৬/৮/১২ রাকাআত নামায পড়া।
২. পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করা।
৩. পবিত্র ছলাতুত তাসবীহ উনার নামায আদায় করা।
৪. যিকির-আযকার করা।
৫. পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা
৬. পবিত্র তাহাজ্জুদ উনার নামায পড়া।
৭. বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার এবং মুনাজাত করা, মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে রোনাজারি-কান্নাকাটি করা।
৮. পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করত দুআ-মুনাজাত করা। বাকি অংশ পড়ুন...
وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ
এবং তোমার হাতগুলি বিছিয়ে দাও। দায়ার হাত বিছায় কি করে। অর্থাৎ তুমি অত্যন্ত আদবের সাথে, শরাফতের সাথে, মুহব্বতের সাথে, দয়ার সাথে, ইহসানের সাথে তোমার যত সাধ্য সামর্থ আছে পুরাটা দিয়ে তুমি খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দাও। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এবং তোমার জন্য ফরযে আইন হচ্ছে,
وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرً.
তুমি দোয়া কর প্রতি ওয়াক্তে ওয়াক্তে, প্রতি সময় দোয়া করবে। কি দোয়া করবে? যে হে বারী ইলাহী! দয়া করুন আমার পিতা-মাতাকে যেমন উনারা আমার প্রতি ছোটবেলায় দয়া করেছেন, বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান মাসসহ যে কোন সময়ই পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করা বিদয়াত
পবিত্র তারাবীহ্, ছলাতুল ইস্তিস্কা ও ছলাতুল কুসূফ, এই তিন প্রকার নামায ব্যতীত কোন সুন্নত বা নফল নামাযই জামায়াতে আদায় করা জায়িয নেই। বরং ফক্বীহ্গণের মতে তা মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়িয়াহ্। তাই তাহাজ্জুদ নামায পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার মধ্যে হোক অথবা অন্য যে কোন মাসেই হোক না কেন জামায়াতে আদায় করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়িয়াহ্।
ই’তিকাফ উনার ফযীলত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শ বাকি অংশ পড়ুন...












