হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক সম্পর্কে ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (২৪৭)
, ০৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মাতা অসন্তুষ্ট থাকলে এই একটা কারণে সন্তান বেঈমান হয়ে মারা যায়। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে যারা চূ-চেরা কিল ও কাল করে, উনাদেরকে যারা কষ্ট দেয় তারা কোথায় যাবে? সেটাইতো বলা হচ্ছে,
مَنْ مَاتَ عَلَى بُغْضِ اٰلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ كَافِرًا
মহাসম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করে মারা যায় সে কাফির হয়ে মারা যায়। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করবে সে কাফির হয়ে মারা যাবে। নাউযুবিল্লাহ! শুধু এতটুকু না আরো কঠিন অবস্থা। সেটাই বলা হচ্ছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে,
عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رضى الله تعالى عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رِضَا الرَّبِّ فِي رِضَا الْوَالِدِ، وَسَخَطُ الرَّبِّ فِي سَخَطِ الْوَالِدِ.
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, পিতা-মাতার সন্তুষ্টি যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি আর পিতা-মাতার অসন্তুষ্টি যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি। নাউযুবিল্লাহ! তাহলেতো ফিকির করতে হবে উনাদের বুযূর্গী, সম্মান মুবারক কি? উনাদের শান-মান তাহলে কতটুকু। উনারা সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। তাহলে উনাদের র্শয়ী যে ফায়সালা, উনাদের নিছবত কুরবত মুবারকের যে বিষয়টা মানুষতো ফিকির করে না। ইফক্বের ঘটনা যে সংঘটিত হলো তখন কিন্তু মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়নি। তখন দেয়া হয়েছে বেত্রাঘাত, আশি দোররা। এটা ছিলো আমভাবে।
ثَمَانِينَ جَلْدَةً
আশিটা বেত, এটা আম। কিন্তু পরবর্তী সময় পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে সেটাতে কঠিন ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে। যেটা আমি বলেছিলাম, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলতেছেন উনাদের যে ফায়সালা মুবারক।
সংকলনে-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












