ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বেমেছাল মর্যাদার অধিকারী (২৯)
, ২৪ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৭ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০১ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَحِبُّوا هٰؤُلَاءِ
“তোমরা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে মহব্বত মুবারক করো।” আর উনারা সৃষ্টির কারো মতো নন।
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.
“হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না।”
অর্থাৎ যে যত কথাই বলুক। এখন যারা গন্ডমূর্খ লোক তারা চু-চেরা কীল-কাল করবে। আর যারা আকলমন্দ, ছমঝদার, ঈমানদার তারা চু-চেরা করবে না, তারা মেনে নিবে। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই আমি বলেছি, ‘একমাত্র নেককার লোকেরাই উনাদের শান মুবারকে সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করবে, উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে। আর যারা বেয়াদব, মূর্খ তারা চু-চেরা কীল-কাল করবে। নাউযুবিল্লাহ! বিষয়গুলো ফিকির করতে হবে। হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান বলার অপেক্ষায় রাখে না। এখন মানুষ বলে পবিত্র কুরআন শরীফে এটা রয়েছে, সেটা রয়েছে, এরা আসলে গন্ডমূর্খ। যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নফী-ইছবাত করে জাওয়াব মুবারক দিয়ে দিয়েছেন। তিনি নফী-ইছবাত করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, এই ব্যাপারটা এরকম। সুবহানাল্লাহ!
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মতো সৃষ্টির কেউ নেই। শুধু একমাত্র যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা নন, এছাড়া সব। সুবহানাল্লাহ! উনাদের নূরুদ দারাজাত মুবারকের নিচে সমস্ত সৃষ্টির জান্নাত। সুবহানাল্লাহ! বিষয়টা সোজা কথা নয়, অনেক কঠিন বিষয়। যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারক বুঝে সে অনুযায়ি আমল করার তাওফীক্ব দান করেন। আমীন।
আমরা বলে থাকি। যেমন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারকও হয়েছে, উম্মত লেখার সময় আগে পরে যেন হযরত, আলাইহিস সালাম, আলাইহাস সালাম ইত্যাদি ব্রাকেটে হলেও যেন দেয়। যদি ইফরাত-তাফরীত হয়, তখন ব্রাকেটে দিয়ে দাও। সম্মান যেন ঠিক থাকে। এ সমস্ত লোকগুলো দেখা যাচ্ছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকেও কোন কিছু লিখে না। নাউযুবিল্লাহ! কিতাব রচনা করার পূর্বে মুসলমানদের জন্য উচিত হবে অবশ্যই আগে হযরত, বিশেষ লক্বব মুবারক উল্লেখ করে, পরে ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আলাইহিস সালাম ও আলাইহাস সালাম এ বিষয়গুলো সংযোজন করা। এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে খাছ সুন্নত, আদব ও ফরযে আইন উনার অন্তর্ভুক্ত। এটা ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। এখন যে যত আদব রক্ষা করতে পারবে, তাদের জন্য তত ফযীলত। মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক নছীব হবে। সুবহানাল্লাহ! সেটাই আমি বলেছিলাম, হযরত আবূ যারয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছালী শান গ্রহণ করার পর এক বুযূর্গ ব্যক্তি স্বপ্নে দেখলেন, তিনি সমস্ত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমামতী করছেন। সেই বুযূর্গ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি এখানে আসলেন কি করে? আপনারতো মাযার শরীফ অমুক স্থানে। তিনি বললেন, ঠিকই বলেছেন। আমি এখানে কি করে আসলাম। আসলাম এভাবে যে, আমার জীবনে আমি দশ লক্ষ পবিত্র হাদীছ শরীফ লিপিবদ্ধ করেছি, লিখেছি। প্রতিবার যখন আমি লেখেছি তখন ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বড় করে, সুন্দর করে আমি লিখেছি। সুবহানাল্লাহ! দশ লক্ষ বার লেখার কারণে যিনি খ্বালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন খুশি মুবারক হয়েছেন, অনুরূপভাবে যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও খুশি মুবারক হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা খুশি মুবারক হয়ে আমাকে সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম হিসাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বিষয়গুলো ফিকির করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পুরুষের জন্য কমপক্ষে একমুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা ফরয
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












