খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বদীম। নতুন কোনো কাজ তিনি শুরু করেন না। তবে কখনো কখনো তিনি বিশেষ বিশেষ শান মুবারক জাহির করেন। উনার মুবারক শান কায়িনাত মাঝে মনোনীতগণকে শানদার বানায়। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ক্বদীম উনার সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে ক্বদীমী ছিফাত মুবারকে তিনিও গুণান্বিত। মহান বারী তায়ালা উনাকে সার্বিক বিষয়াবলী হাদিয়া করেন। তিনি সব কিছু বণ্টন করেন। উনার বণ্টিত মুবারক নিয়ামতরাজি লাভ করে কায়িনাতবাসী ধন্য হয়। আবার অনেক মহান ব্যক্তিত্ব উনাদেরকে তিনি খোদ নিয় বাকি অংশ পড়ুন...
আহলান ওয়া সাহলান হে মাহে রমাদ্বান। এ মাসটি উম্মতে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য ফযীলত হাছিলের মাস। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ ◌
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর (সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার) রোযা ফরয করা হয়েছে; যেরূপ ফরয করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর। উনার মাধ্যমে অবশ্যই তোমরা তাক্বওয়া হাছিল করতে পারবে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮৩)
স্মরণীয়, ‘তাক্বওয়া’ হচ্ছে বাকি অংশ পড়ুন...
২২১ পর্ব:
وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ
এবং তিনি যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব উনার সত্য প্রতিপাদন করেছেন, উনার হক্ব রক্ষা করেছেন। যা আদেশ-নির্দেশ মুবারক করা হয়েছে তিনি তা হুবহু পালন করেছেন।
وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ
তিনি অবশ্যই যারা অনুগত উনাদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখানে ১২ খানা পবিত্র আয়াত শরীফ। এখানে কিন্তু স্পষ্ট বলে দেয়া হলো, মুসলমানদের জন্য কাফিরদের উপর ফায়সালা করে দেয়া হয়েছে কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা আহলিয়া কেউই উনারা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাপবিত্র উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে মুবারক নিসবাতে আযীমাহ শরীফ উনার ওয়ালীমা মুবারক অনুষ্ঠানে ‘হাইস’ খাবার দ¦ারা আপ্যায়ন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
খেজুর, পনির, মাখন বা ঘি, যবের আটা ইত্যাদি উপকরণ দ্বারা পবিত্র সুন্নতী এ খাবার তৈরি করা হয়। বরকতময় ও অত্যন্ত উপকারী, পবিত্র সুন্নতী খাবার ‘হাইস’ তৈরি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত ‘বরকমতময় সুন্নতী খাদ্যসমূহ’ কিতাবখানি সংগ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় পবিত্র কালাম পাক উনার অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে বান্দা-বান্দীদের কাজ-কর্ম সম্পাদন করার ব্যাপার তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করেছেন। বরং চিন্তা-ভাবনা করে ধীরস্থিরতা ও সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ মুবারক করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْاٰنِ
অর্থ : “পবিত্র কুরআন শরীফ পাঠের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করো না।” (পবিত্র সূরা ত্বহা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৪)
স্মরণীয় যে, পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ উনাদের নুযূল খাছ কিন্তু হুকুম ‘আম (ব্যাপক) অর্থাৎ কিয়ামত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল অনন্তকালব্যাপী জারি এবং উনার কার্যক্রম :>>>>>>বাংলাদেশসহ অনেক মুসলিম দেশে পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ পালিত হয় অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সাথে। অবশ্য অনেক তথকথিত মুসলিম দেশ এই সুমহান দিনের মর্যাদা বুঝতে অক্ষম থাকায় তারা এই বিশেষ দিন পালন করার নিয়ামত অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! একটি বিষয় দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে- “পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ” পালন আসলে অন্তরের পরিশুদ্ধতা ও আক্বীদার বিশুদ্ধতার উপর নির্ভরশীল। চাইলেই কেউ এ মহিমান্বিত অনুষ্ঠান পালন করতে পারে না এবং পারবে না। কো বাকি অংশ পড়ুন...
২২০ পর্ব:
ফিরআউন অনেক জুলুম করেছে। যখন জুলুমের শেষ প্রান্তে তিনি পৌঁছেছেন, যে জুলুমগুলো বরদাশত করা সম্ভব ছিলো না, অত্যন্ত কঠিন মনে হচ্ছিল। সে অবস্থায় তিনি এ দোয়া করেছিলেন।
إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
তিনি বললেন, হে মহান রব তায়ালা! আপনার জান্নাতে আমার জন্য একটা বালাখানা তৈরী করুন!
وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ
এবং ফিরআউন থেকে এবং তার আমল থেকে আমাকে নাজাত দান করুন।
وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
এবং এই জালিম ক্বওম থেকে আমাকে নাজাত দান করুন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যেহেতু এটা স্বা বাকি অংশ পড়ুন...
১৩নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن حضرت علي كرم الله وجهه عَلَيْهِ السَلَّامَ قَالَ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ"العلماء مصابيح الأرض، وخلفاء الأنبياء وورثتي وورثة الأنبياء
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলিমগণ হচ্ছেন যমীনের প্রদীপ, আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালামগণ উনাদের প্রতিনিধি বা খলীফা, আমার ওয়ারিশ ও আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালামগণ উনাদের ওয়ারিশ বাকি অংশ পড়ুন...
সবক্ব নং ১৬ : ক্বলক্বলাহ ও হামঝায়ে শাদীদাহ উনার বিবরণ
‘ক্বল্ক্বলাহ’ অর্থ ‘জুম্বিশ’ বা ঝাকুনি দেয়া অর্থাৎ যে হরফগুলি সাকিন এবং ওয়াক্বফ উনার অবস্থায় উচ্চারণ করতে তাদের উচ্চারিত স্থানটি ‘জুম্বিশ’ হয়ে একটু আওয়ায প্রকাশ পায়, তাহাদেরকে হরূফে ক্বল্ক্বলাহ বলে। হুরূফে ক্বল্ক্বলাহ ৫টি। যথা ق – ط – ب – ج - د
সংক্ষেপে قُطُبُجَدٍّ উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়, কোন গোলাকার বস্তু শক্ত ভূমিতে আঘাত করলে আঘাত পাওয়া মাত্রই প্রতিঘাত হয়, অর্থাৎ, সেই গোলাকার বস্তুটি আঘাত করা মাত্রই ‘জুম্বিশ’ হয়ে উপরের দিকে উত্থিত হয়, সেই রূপ ক্বল্ক্বলার ৫টি হরফও সাকিন অর্থা বাকি অংশ পড়ুন...
২১৯ পর্ব:
তোমরা জেনে রাখ, সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত যেহেতু আখিরী নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ নবী এবং শেষ রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যত নবী এসেছিলেন সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা আহলিয়া ছিলেন উনারা ঈমানদার ছিলেন তবে দু’জন ব্যতীত। সেটাই বলা হচ্ছে-
كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ
দু’জন আমার বন্দার অধীন ছিলো তারা।
مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ
দু’জন নেককার বান্দা, দু’জন নবী এবং রসূল আলাইহিমাস সালাম।
فَخَانَتَاهُمَا
এরা আমানতের খিয়ানত করেছে।
فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ دِيْنِهٖ فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِيْ
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মানুষ যখন বিবাহ করে তখন সে তার সম্মানিত দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকী অর্ধেকের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা তথা তাক্বওয়া অবলম্বন করা উচিত।” (শুয়াবুল ইমান, ম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “আকতা” লক্ববের হাক্বীক্বত
হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এক সময় লেবাননের পাহাড়ে থাকতেন। একদিন বাদশাহ এসে ওই পাহাড়ের সকল ফকীরকে একটি করে দীনার দিলেন। হযরত আবুল খায়ের আকতা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও দীনার গ্রহণ করলেন। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে উনার এক সঙ্গীর কোলে দীনারটি ফেলে দিলেন। অতঃপর তিনি উনার সঙ্গীসহ মাল-সামনা নিয়ে শহরের দিকে যাত্রা করলেন। ঘটনাক্রমে তাড়াহুড়ার মধ্যে তিনি বিনা ওযুতে পবিত্র কুরআন শরীফ উঠিয়ে নিজের সঙ্গে নিলেন। উনারা যখন এক বাজারে এলেন তখন দেখলেন বাকি অংশ পড়ুন...












