নিকাহ বা বিবাহের আহকাম
এডমিন, ২৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ دِيْنِهٖ فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِيْ
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মানুষ যখন বিবাহ করে তখন সে তার সম্মানিত দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকী অর্ধেকের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা তথা তাক্বওয়া অবলম্বন করা উচিত।” (শুয়াবুল ইমান, মিশকাত শরীফ)
অপর বর্ণনায় রয়েছে-
إِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ الْاِيـْمَانِ؛ فَلْيَتَّقِ اللهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِيْ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন মানুষ বিবাহ করে তখন সে তার সম্মানিত ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করে। অপর অংশের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করা উচিত। (শুয়াবুল ঈমান, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَزَوَّجَ ثِقَةً بِاللهِ وَاِحْتِسَابًا كَانَ حَقًّا عَلَى اللهِ اَنْ يُّعَيِّنَه وَاَنْ يُّبَارِكَ لَه
অর্থ: হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর পরিপূর্ণ ভরসা করে এবং উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দি হাছিলের উদ্দেশ্যে বিবাহ করে মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই তাকে গাইবী মদদ করবেন এবং তাকে বরকত দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (তবারানী শরীফ, ফিকহুস সুন্নাহ ওয়াল আছার-২/৩৪)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য বিবাহ করলো বা বিবাহ দিল সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে বন্ধুত্ব করলো।
ফকীহুল উম্মত সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, তোমরা যদি সম্পদশালী হতে চাও তাহলে বিবাহ করো। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنْ يَّكُوْنُوْا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ.
অর্থ: যারা নেককার-পরহেযগার তারা যদি দরিদ্র হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সম্পদশালী করবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্যতাদানকারী ও সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২), (তাফসীরে ইবনে কাছীর)
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওযার অনেক ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে। তন্মধ্যে বিশেষ একটি দিক হচ্ছে বিবাহিত ব্যক্তি গায়েবী মদদ (সাহায্য) প্রাপ্ত হন।
যে ব্যক্তি স্বীয় চরিত্রকে পুত-পবিত্র রাখার নিমিত্তে বিবাহ করবেন তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই গইবী মদদ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ الله تَعَالٰـى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلاَثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ عَوْنُـهُمُ الْمُكَاتَبُ الَّذِيْ يُرِيْدُ الْأَدَاءَ وَالنَّاكِحُ الَّذِيْ يُرِيْدُ الْعَفَافَ وَالْمُجَاهِدُ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তিকে গইবী মদদ (সাহায্য) করাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় হক্ব বা আবশ্যক মনে করেন। মুকাতাব গোলাম: যে গোলাম তার মুক্তিপণ আদায় করতে চায়। পরহেযগার বিবাহকারী: যে আপন চরিত্রকে পুত-পবিত্র রাখতে চায়। মুজাহিদ ব্যক্তি: যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদ করেন। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, নাসায়ী শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ)