যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম। মুসলমানরা যখন নৌযুদ্ধে পরাশক্তিতে পরিণত হলেন এবং বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হলেন তখন স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথ যাত্রার উন্নয়নে মুসলমানরা বহুবিধ কৌশলী পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাতিঘর যা ইংরেজিতে লাইট হাউজ নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, নক্ষত্র ব্যতীত আরো কিছু নিদর্শন আছে, যার দ্বারা তারা (মানুষেরা) পথের দিশা লাভ করে। (পবিত্র সূরা নাহল শরীফ) আর মুসলমানগণ পবিত্র কালামুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমুদ্র অভিযান, নৌ-যুদ্ধ, নৌ-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর এসবের পাশাপাশি সমূহ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলো তৎকালীন বিভিন্ন নৌবন্দরগুলো। যেগুলো মুসলমানগণ বিজয় করেছিলেন। এখন আমরা মুসলমানদের বিজয় করা নৌবন্দর সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিত জানবো-
মাহদীয়া: ফাতেমী সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ৩০০ হিজরীতে আফ্রিকার উপকূলে মাহদীয়া বন্দর নির্মাণ করে। স্বীয় স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে খ্যাতিমান বন্দর ছিলো। উপকূলের পাথর কেটে নির্মিত হয়েছিলো। ্এখানে একটি সুন্দর প্রবেশপথ ছিলো। এটি শিকল দিয়ে বাধা বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে লাখো কোটি ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। আবার পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ঘিরে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে প্রচলিত রয়েছে অত্যন্ত ইতমিনানী বিভিন্ন তর্জ-ত্বরীকা। বিশেষ করে মুসলিম সালতানাতগুলোতে সে সময় বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত ছিলো। আজকের পর্বে আমরা জানবো পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ঘিরে উসমানীয় সালতানাতে কি কি রীতির প্রচলন ছিলো।
উসমানীয় সালতানাতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের আগমন বিশেষ উৎসবমুখর প বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম ইতিহাসের বড় একটি অংশজুড়ে বাগদাদ নগরীর বিস্তার। বাগদাদ ফারসি শব্দ। ‘বাগ’ অর্থ বাগান আর ‘দাদ’ অর্থ ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা। আরব্য ইতিহাসে কত হাজারবার যে এই নগরীর কথা উঠে এসে তা বলাইবাহুল্য।
বিখ্যাত বাগদাদ নগরীর প্রতিষ্ঠাতা দ্বিতীয় আব্বাসী শাসক আবু জাফর আল মানসুর। বাগদাদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সব আব্বাসী শাসকদের রাজধানী। হালাকু কর্তৃক বাগদাদ ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত বাগদাদ ছিল মুসলিম বিশ্ব ও পৃথিবীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
আব্বাসীয় শাসক আল মনসুর যখন মুসলিম শাসনের রাজধানী হিসেবে বাগদাদকে নির্বাচন করেন তখন বাকি অংশ পড়ুন...
বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে নেপোলিয়ান বোনাপোর্টের নাম অনেক আলোচিত। পাশ্চাত্যের কথিত ঐতিহাসিকরা সব সময় নেপোলিয়নের সামরিক দক্ষতার প্রশংসা করে থাকে। তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে অজস্র বই। কিন্তু এত হাজারো বই লেখা হলেও মুসলিমবিদ্বেষী ঐতিহাসিক নামধারী কলম সন্ত্রাসীরা সব সময় নেপোলিয়ানের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের তথ্যটি গোপন করে থাকে। তারা বিশ্বকে জানতে দিতে চায় না যে, নেপোলিয়ান মুসলমান হয়েছিলো।
ঐতিহাসিক তথ্যমতে, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৯৮ সালে মিশরের কায়রোর জামে আজহার মসজিদে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বলে জোরালো মত রয়েছে। দ বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে পারস্য বিজয়ের জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয়, তার সেনাপতি এবং দায়িত্বশীল হিসেবে মনোনীত হন দ্বীন ইসলাম উনার বীর সিপাহসালার হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
সে সময় পারস্যের শাসক ছিলো ইয়াজদ গের্দ এবং তার প্রধান সেনাপতি ছিল রুস্তম। হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুসলিম ফৌজ নিয়ে রওয়ানা হলেন এবং কাদেসিয়া নামক স্থানে অবস্থান নিলেন। সেখান থেকে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার দিক নির্ বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাসে মুসলিম বিশ্বের উপর যারা নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছিলো তাদের মধ্যে মোঙ্গলদের হামলা ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ। এই মোঙ্গলরাই প্রথমে ঐতিহাসিক বোখারা নগরীকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। এরপর সমরকন্দের উপর আক্রমণ করে এবং শহরের একজন অধীবাসীও তাদের হাতে জীবিত রক্ষা পায়নি। তারা একে একে রে, হামদান, কযভীন,মার্ভ ও নিশাপুর ধ্বংস করে এবং কোটি মুসলমানকে নির্মমভাবে শহীদ করে।
ইরান ও তুর্কিস্তান তছনছ করার পরে তাতারীরা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগরী বাগদাদ শরীফকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিলো। যে ইতিহাস স্বরণ করলে এখনো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় মুস বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৩১ সাল। কাশ্মির উপত্যকার শাসক হয়ে আসে কুখ্যাত মুসলিমবিদ্বেষী শাসক হরি সিং। শাসনক্ষমতা পেয়েই সে মুসলমানদের উপর শুরু করে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। সেই বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ। কাশ্মীরে পালিত হচ্ছিলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসব পালন করছিলেন মুসলমানরা। ঈদুল ফিতর উনার নামাযের পূর্ব মুহূর্তে হরি সিংয়ের পুলিশের ডিআইজি ঈদের নামাজে খুতবা বন্ধের আদেশ দেয়।
কিন্তু তৎকালিন ‘ইয়ং মুসলিমস এসোসিয়েশন’ দলের নেতা মীর হুসাইন বখশ জুমুয়াহ ও ঈদের নামাযের খুতবা বন্ধের সরকারি নির্দেশের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিলেন। সারা কাশ্মীরের হা বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান বিশ্বে যে যুদ্ধ জাহাজ শিল্প গড়ে উঠেছে তার মূল রচয়িতা ছিলেন আরব মুসলমানগণ। কিন্তু বিধর্মী ঐতিহাসিক এবং তথ্য-সন্ত্রাসের কারণে মুসলমানদের এসব সমৃদ্ধ ইতিহাস ধামাচাপা পড়ে আছে।
হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিলাফতকাল থেকেই আধুনিক সমরবিদ্যায় চরম সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন মুসলমানগণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো নৌযুক্ত। নৌযুদ্ধের সূচনা হয়েছিলো আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে। উনারই সম্মানিত পৃষ্ঠপোষকতায় সাইয়্যিদুনা হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু ত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আছিম ইবনে উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত- ঐতিহাসিক উহুদ জিহাদের পর আদল ও কারাহ গোত্রের কতিপয় লোক পবিত্র মদীনা শরীফ আগমন করতঃ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরজ করলো যে, তাদের গোত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছে। অতএব, কয়েকজন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের যাতে তাদের সাথে দেয়া হয় গোত্রের লোকজনকে দ্বীন ইসলাম উনার তালিম তালকীন দেয়ার জন্য।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের সাথে হযরত আছিম রদ্বিয়াল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমুদ্র অভিযান, নৌ-যুদ্ধ, নৌ-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান দখল করে আছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দয়া ইহসান মুবারক করে আরব উনার পবিত্র ভূমিতে তাশরীফ মুবারক নিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোয় আরববাসীকে আলোকিত করার পর মূলত নৌ-চালনায় মুসলমানগণ দক্ষ হতে থাকেন। ইসলামপূর্ব যুগে আরববাসীরা নৌপথে যাতায়াতে অভ্যস্ত ছিলো না। আরবের হিমিয়ার ও সাবা গোত্রের নিকট কিছু সাধারণ নৌযান ছিলো। তারা এগুলো আভ্যন্তরিন পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতো। হিজাজের অ বাকি অংশ পড়ুন...
পৃথিবীব্যাপী নৌপথে মানুষের যাতায়াত এবং বাণিজ্য দীর্ঘকাল ধরে চলমান। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আগমনের পূর্ব থেকে আরবের মানুষ সমুদ্রপথে বাণিজ্য করত। সম্মানিত হযরত খোলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সময়ে সামুদ্রিক বাণিজ্যের ধারা আরো গতিশীল হয়। সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার পরিধি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সমুদ্র বাণিজ্যের আয়তন বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা উমাইয়া ও আব্বাসীয়দের যুগেও অব্যাহত থাকে।
বাণিজ্যিক এসব কাফেলার মাধ্যমেই ভারত মহাসাগরের উপকূলে, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ বিশ্বের কোনায় কোনায় সম্ম বাকি অংশ পড়ুন...












