১৭৫৭ সালে বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। এরপর ইংরেজদের থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে অনেক বীর শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। যাদের কথা ইতিহাসে খুব কমই আলোচিত হয়। তাদেরই মধ্যে একজন মুহম্মদ তকী খাঁ। আজকের পর্বে তার বীরত্বের ইতিহাসই আমরা জানবো।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং ইন্তেকালের পর ক্ষমতায় আসে মীর জাফর। তবে যে সিংহাসনের জন্য বেনিয়া ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়েছিলো মীর জাফর সেই সিংহাসনের স্থায়ীত্ব হলো মাত্র চার বছর। এরপর তাকে জোর করে ক্ষমতা বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত ইসলামী শিক্ষা উনার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেখানে ‘মক্তব’ একটি বৃহৎ জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পৃষ্ঠপোষকতা মুবারক এবং দয়া-ইহসান মুবারকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রাথমিক যুগেই মূলত দ্বীনি শিক্ষা উনার মূল ভিত্তি স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে আমিরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূকে আযম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারক উনার সময়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মক্তবের সূচনা হয়। তিনি এসব মক্তবে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেন। পবিত্র মদীনা শরীফে তখন অনেকগু বাকি অংশ পড়ুন...
কুরাঈশ কাফিরদের অত্যাচার যখন চরমে, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে আবিসিনিয়ায় হিজরত মুবারক করার অনুমতি মুবারক প্রদান করেন। ১১ জন পুুরুষ ও ৪ জন মহিলা- এই পনের জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের একটি কাফেলা আবিসিনিয়ায় প্রথম গমন করেন। এটা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম হিজরত। জিদ্দা থেকে মাথা পিছু তখনকার আট আনা ভাড়ায় নৌকা যোগে উনারা আবিসিনিয়ায় পৌঁছেন।
উক্ত দলে বিনতু মিন বানাতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
তুরস্কের উসমানীয় সালতানাতের ঠিক সন্ধি:ক্ষনে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন সালতানাতের শেষ যোগ্য সুলতান মুহম্মদ আব্দুল হামিদ ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি প্রত্যক্ষ করলেন যে, সালতানাতের কোনায় কোনায় বিধর্মী পাশ্চাত্য নোংরা সংস্কৃতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। বিদ্যালয় ও শিক্ষাব্যবস্থা পশ্চিমা চিন্তাধারা দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। জাতীয়তাবাদের ধ্বজাধারীরা এতে ছেয়ে গেছে। তাই তিনি চিন্তা করলেন যে, এসব দূর করতে না পারলে কখনই ইসলামী শাসনের মূল ভিত্তি দাড় করানো সম্ভব নয়। তাই তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মূল মূল বি বাকি অংশ পড়ুন...
যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম। মুসলমানরা যখন নৌযুদ্ধে পরাশক্তিতে পরিণত হলেন এবং বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হলেন তখন স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথ যাত্রার উন্নয়নে মুসলমানরা বহুবিধ কৌশলী পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাতিঘর যা ইংরেজিতে লাইট হাউজ নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, নক্ষত্র ব্যতীত আরো কিছু নিদর্শন আছে, যার দ্বারা তারা (মানুষেরা) পথের দিশা লাভ করে। (পবিত্র সূরা নাহল শরীফ) আর মুসলমানগণ পবিত্র কালামুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সমুদ্র অভিযান, নৌ-যুদ্ধ, নৌ-বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আর এসবের পাশাপাশি সমূহ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলো তৎকালীন বিভিন্ন নৌবন্দরগুলো। যেগুলো মুসলমানগণ বিজয় করেছিলেন। এখন আমরা মুসলমানদের বিজয় করা নৌবন্দর সমূহের সংক্ষিপ্ত পরিচিত জানবো-
মাহদীয়া: ফাতেমী সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ৩০০ হিজরীতে আফ্রিকার উপকূলে মাহদীয়া বন্দর নির্মাণ করে। স্বীয় স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে খ্যাতিমান বন্দর ছিলো। উপকূলের পাথর কেটে নির্মিত হয়েছিলো। ্এখানে একটি সুন্দর প্রবেশপথ ছিলো। এটি শিকল দিয়ে বাধা বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে লাখো কোটি ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। আবার পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ঘিরে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে প্রচলিত রয়েছে অত্যন্ত ইতমিনানী বিভিন্ন তর্জ-ত্বরীকা। বিশেষ করে মুসলিম সালতানাতগুলোতে সে সময় বিভিন্ন নিয়ম প্রচলিত ছিলো। আজকের পর্বে আমরা জানবো পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ঘিরে উসমানীয় সালতানাতে কি কি রীতির প্রচলন ছিলো।
উসমানীয় সালতানাতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের আগমন বিশেষ উৎসবমুখর প বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম ইতিহাসের বড় একটি অংশজুড়ে বাগদাদ নগরীর বিস্তার। বাগদাদ ফারসি শব্দ। ‘বাগ’ অর্থ বাগান আর ‘দাদ’ অর্থ ইনসাফ বা ন্যায়পরায়ণতা। আরব্য ইতিহাসে কত হাজারবার যে এই নগরীর কথা উঠে এসে তা বলাইবাহুল্য।
বিখ্যাত বাগদাদ নগরীর প্রতিষ্ঠাতা দ্বিতীয় আব্বাসী শাসক আবু জাফর আল মানসুর। বাগদাদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটিই ছিল সব আব্বাসী শাসকদের রাজধানী। হালাকু কর্তৃক বাগদাদ ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত বাগদাদ ছিল মুসলিম বিশ্ব ও পৃথিবীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
আব্বাসীয় শাসক আল মনসুর যখন মুসলিম শাসনের রাজধানী হিসেবে বাগদাদকে নির্বাচন করেন তখন বাকি অংশ পড়ুন...
বিশ্বের সামরিক ইতিহাসে নেপোলিয়ান বোনাপোর্টের নাম অনেক আলোচিত। পাশ্চাত্যের কথিত ঐতিহাসিকরা সব সময় নেপোলিয়নের সামরিক দক্ষতার প্রশংসা করে থাকে। তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে অজস্র বই। কিন্তু এত হাজারো বই লেখা হলেও মুসলিমবিদ্বেষী ঐতিহাসিক নামধারী কলম সন্ত্রাসীরা সব সময় নেপোলিয়ানের সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের তথ্যটি গোপন করে থাকে। তারা বিশ্বকে জানতে দিতে চায় না যে, নেপোলিয়ান মুসলমান হয়েছিলো।
ঐতিহাসিক তথ্যমতে, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৯৮ সালে মিশরের কায়রোর জামে আজহার মসজিদে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বলে জোরালো মত রয়েছে। দ বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতকালে পারস্য বিজয়ের জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয়, তার সেনাপতি এবং দায়িত্বশীল হিসেবে মনোনীত হন দ্বীন ইসলাম উনার বীর সিপাহসালার হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।
সে সময় পারস্যের শাসক ছিলো ইয়াজদ গের্দ এবং তার প্রধান সেনাপতি ছিল রুস্তম। হযরত সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুসলিম ফৌজ নিয়ে রওয়ানা হলেন এবং কাদেসিয়া নামক স্থানে অবস্থান নিলেন। সেখান থেকে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার দিক নির্ বাকি অংশ পড়ুন...
ইতিহাসে মুসলিম বিশ্বের উপর যারা নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছিলো তাদের মধ্যে মোঙ্গলদের হামলা ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ। এই মোঙ্গলরাই প্রথমে ঐতিহাসিক বোখারা নগরীকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। এরপর সমরকন্দের উপর আক্রমণ করে এবং শহরের একজন অধীবাসীও তাদের হাতে জীবিত রক্ষা পায়নি। তারা একে একে রে, হামদান, কযভীন,মার্ভ ও নিশাপুর ধ্বংস করে এবং কোটি মুসলমানকে নির্মমভাবে শহীদ করে।
ইরান ও তুর্কিস্তান তছনছ করার পরে তাতারীরা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগরী বাগদাদ শরীফকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিলো। যে ইতিহাস স্বরণ করলে এখনো হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় মুস বাকি অংশ পড়ুন...
১৯৩১ সাল। কাশ্মির উপত্যকার শাসক হয়ে আসে কুখ্যাত মুসলিমবিদ্বেষী শাসক হরি সিং। শাসনক্ষমতা পেয়েই সে মুসলমানদের উপর শুরু করে অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন। সেই বছরের এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ। কাশ্মীরে পালিত হচ্ছিলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উৎসব পালন করছিলেন মুসলমানরা। ঈদুল ফিতর উনার নামাযের পূর্ব মুহূর্তে হরি সিংয়ের পুলিশের ডিআইজি ঈদের নামাজে খুতবা বন্ধের আদেশ দেয়।
কিন্তু তৎকালিন ‘ইয়ং মুসলিমস এসোসিয়েশন’ দলের নেতা মীর হুসাইন বখশ জুমুয়াহ ও ঈদের নামাযের খুতবা বন্ধের সরকারি নির্দেশের প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিলেন। সারা কাশ্মীরের হা বাকি অংশ পড়ুন...












