‘ফাইদ্ব’ ও ‘তাওয়াজ্জুহ’ শব্দ মুবারকদ্বয় আরবী। ‘ফাইদ্ব’ শব্দটি আরবী ‘ফাইদ্বহ’ শব্দ মুবারক থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ- কল্যাণ, ভালো ফলাফল, সুফল, নিয়ামত, বরকত, মর্যাদা ইত্যাদি। আর ‘তাওয়াজ্জুহ’ শব্দটি বাবে তাফা‘উল থেকে ইসমে মাছদার বা ক্রিয়ামূল। যার আভিধানিক অর্থ- দৃষ্টি নিক্ষেপ, নেক নজর, নেক করম, সন্তুষ্টির দৃষ্টি, রুজু হওয়া ইত্যাদি। সুতরাং ‘ফাইদ্ব-তাওয়াজ্জুহ’ উনাদের সামগ্রিক অর্থ হলো নিয়ামত দানের জন্য নেক দৃষ্টি, বরকতময় নেক নজর। (সমূহ অভিধান গ্রন্থ)
সম্মানিত তরীক্বত উনার পরিভাষায়, ফয়েজ হচ্ছে এক প্রকার নূর বা আলো বিশেষ। যা সম বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ অনুসারী। সমগ্র জীবনব্যাপী জ্ঞান-গবেষণা ও মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত বন্দেগীতে নিয়োজিত ছিলেন। উনার ৮৬ বছরের জীবন ছিল একটি আলোকউজ্জ্বল জীবন মুবারক। নিম্নে উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক তুলে ধরা হলো-
নাম মুবারক ও বংশ পরিচয়:
নাম- মালিক, উপনাম-আবূ আবদুল্লাহ। বংশপরম্পরা- মালিক ইবনু আনাস ইবনু আবূ আমির ইবনু আমর ইবনু হারিছ আল আছবাহী। তিনি আরবের প্রসিদ্ধ কাহত্বান গোত্রের উপগোত্র আছবাহ উনার অন্তর বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্রদের মধ্য হতে একজন ছাত্র খুব ভাল ছিল, যে খুব মেধাবী ও সমঝদার ছিল। সে ছাত্রটাকে তিনি একদিন মাদরাসা বা দর্সগাহ থেকে বের করে দিলেন। যখন বের করে দেয়া হলো, তখন অন্যান্য ছাত্র যারা ছিল, তারা হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রোবের কারণে, উনাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করতে সাহস পেলনা, চুপ করে রইল। কিন্তু তারা মনে মনে ফিকির করলো, এই ছেলেটা ছাত্র হিসেবে খুবই ভাল, তাকে কেন বের করে দেয়া হলো। অবশ্যই এটার কারণ জানতে হবে। কোন এক অবসর সময় অন্য এক বিশিষ্ট ছাত্র, হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল বাকি অংশ পড়ুন...
“সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ পালন ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে”
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন উনারাসহ চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদও নাই, যিনি কোথাও এমন কথা বলেছেন যে, “সারা বিশ্বে একই সাথে একই দিনে ঈদ পালন করতে হবে ও রোযা শুরু করতে হবে”। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কেউ কেউ নতুন চন্দ্রের উদয় স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا دَخَلَ رَمَضَانُ فُتِحَتْ اَبْوَابُ الْـجَنَّةِ وَغُلّقَتْ اَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِيْنُ.
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মাস আসে, তখন সম্মানিত জান্নাত উনার দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ কর বাকি অংশ পড়ুন...
সংকীর্ণতা অবস্থায় খরচ করলে প্রশস্ততা আসে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لِيُنفِقْ ذُوْ سَعَةٍ مِّنْ سَعَتِهِ ۖ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنفِقْ مِمَّا اٰتَاهُ اللهُ لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا مَا اٰتَاهَا ۚ سَيَجْعَلُ اللهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُّسْرًا
অর্থ: বিত্তশালী ব্যক্তি তার বিত্ত অনুযায়ী ব্যয় করবে। যে ব্যক্তি তার রিযিকের ব্যাপারে সংকীর্ণতা অনুভব করে সে যেন মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে যা দিয়েছেন, তদপেক্ষা বেশী ব্যয় করার আদেশ কাউকে করেন না। মহান আল্লাহ পাক কষ্টের পর সুখ দেবেন। (পবিত্র সূরা ত্বলা বাকি অংশ পড়ুন...
“সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ পালন ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে”
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন উনারাসহ চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদও নাই, যিনি কোথাও এমন কথা বলেছেন যে, “সারা বিশ্বে একই সাথে একই দিনে ঈদ পালন করতে হবে ও রোযা শুরু করতে হবে”। ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কেউ কেউ নতুন চন্দ্রের উদয় স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য বাকি অংশ পড়ুন...
একটা লোক আল্লাহ আল্লাহ যিকির করতে করতে আল্লাহওয়ালা হয়ে যায়। এটা কি করে বিশ্বাস করানো যায়।
ছোট একটা ওয়াকিয়া দিয়ে বুঝা যেতে পারে, চিটাগাং আমাদের বাংলাদেশের একটা শহর, চিটাগাং-এর একটা লোক ছিল প্রতাপ চন্দ্র সেন, যিনি পবিত্র ফুরফুরা শরীফ উনার পীর সাহেব, মুজাদ্দিদে যামান, হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্বী ফুরফুরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে বাইয়াত হয়েছিলেন। প্রতাপ চন্দ্র সেনের পরবর্তীতে নাম দেয়া হয়েছিল সুফী আব্দুল মোমেন, তিনি স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখে মুসলমান হন। এরপরে তি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার ফযীলত সম্পর্কে বহু পবিত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। যেমন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ اِيـمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ اِيـمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَه مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه.
অর্থ : হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সম্মানিত ঈমান ও ইখলাছের সাথে পবিত্র রমাদ্বান বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَثَلُ الَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ أَمْوَالَـهُمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِيْ كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ ۗ وَاللهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَّشَاءُ ۗ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ
অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ধন-সম্পদ ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হলো সেই শস্য দানার মতো যা থেকে গজায় সাতটি শীষ, আর প্রত্যেকটি শীষে ১০০টি করে দানা (উৎপন্ন) হয়। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে চান বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রাচুর্য্যময়, প্রশস্ত, সর্বজ্ঞানী। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...












