কুফর-শিরক মুক্ত বাক্য দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা নিষিদ্ধ নয়:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ نَـهٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الرُّقٰى فَجَاءَ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَنَا رُقْيَةٌ نَرْقٰي بِـهَا مِنَ الْعَقْرَبِ وَإِنَّكَ نَـهَيْتَ عَنِ الرُّقٰى. قَالَ فَعَرَضُوْهَا عَلَيْهِ. فَقَالَ مَا أَرَى بَأْسًا مَّنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَنْفَعْهُ.
অর্থ: হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূ বাকি অংশ পড়ুন...
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ পালন ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
সারাবিশে^ একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কেউই এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন ক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয় শয়তান তথা তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। (তিরমিযী শরীফ)
সম্মানিত পর্দার সুমহান এই বিধান লঙনের কারণে সমাজে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সমাজে সহশিক্ষা, সহচাকুরী চালু করায় সমাজ ব্যবস্থায় মারাত্মক অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, বাকি অংশ পড়ুন...
আক্বীদা বিশুদ্ধতার কারণে সে নাজাত লাভ করবে। একটা লোকের আক্বীদা যদি শুদ্ধ হয়, ঈমান যদি শুদ্ধ হয়, সে নাযাত পাবে জাহান্নাম থেকে, আযাব থেকে, গযব থেকে। আর আমল যদি শুদ্ধ করতে পারে তাহলে জান্নাতে সে বড় মর্যাদা লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু আক্বীদা যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে তার কোন আমলই কোন কাজে আসবে না। যেমন ইবলীস, সে জাহান্নামী হলো।
وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَى يَوْمِ الدِّينِ
“মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ইবলীস! তোমার জন্য অনন্তকাল ধরে লা’নত। ইবলীসের জন্য লা’নত কেন? সে কি অনেক হারাম কাজ করেছিলো? সে তো অনেক হারাম কাজ করেনি। সে কিন্তু ছয় বাকি অংশ পড়ুন...
সবকিছুর একটা মূল থাকে, গাছের মূল না থাকলে ফুল ফল আসবে না, গাড়ীর মূল ফুয়েল, সৃষ্টির মূল, যামানার মূল; তাহলে “ফালইয়াফরাহূ” উদযাপন উনার মূল কি? খরচ করা। কিভাবে মূল: ইবাদত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْتُ الْـجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنِ
অর্থাৎ- একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। যেহেতু আদেশ, তাই ইবাদত এবং ফরয ইবাদত।
অন্যান্য ইবাদত ২ প্রকার: ১. বদনী: নামায, রোযা ২. মালী: যাকাত, ফিতরা, ওশর, কুরবানী ৩. বদনী-মালী: হজ্জ।
কিন্তু মূল হচ্ছে মালী ইবাদত। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয় বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হলো কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হলো স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হলো ধাবিত হওয়া, অন্তর চায় ও আকাঙ্খা করে এবং লজ্জাস্থান সেটাকে সত্য অথবা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম প বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান মুসলমানদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রীক থাকার প্রবণতা খুব বেড়েছে। সমষ্টিগত চিন্তাভাবনা কেউ করতে চায় না, একত্রিত বা জোটবদ্ধ হওয়ার প্রবণতা নেই বললেই চলে। অধিকাংশ মুসলমানের মধ্যে একলা চলো নীতি বিদ্যমান। ‘আমি একা ভালো থাকলেই হলো’ এমন মানসিকতা সমাজে দেখা যাচ্ছে বেশি। তবে শঙ্কার বিষয় হলো, আমাদের মুসলিম সমাজে ভালো মানুষগুলো একলা চলতে পছন্দ করে অথচ সমাজের চিহ্নিত খারাপ মানুষগুলো একজোট বা সিন্ডিকেট হয়ে বসবাস করে। এ আর এ কজোট থাকার কারণে সমাজে খারাপ মানুষগুলো প্রভাব বিস্তার করে, অপরদিকে ভালো মানুষগুলো বিচ্ছিন্ন থাকায় সমাজে কোন প্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক জিন-ইনসানই সুখ প্রিয়, শান্তি প্রিয়। আর এটাই সকলের লক্ষ্য কিভাবে একটু সুখে থাকা যায়, শান্তিতে থাকা যায়। আর এই সূখের জন্যই প্রত্যেকে সব কিছুকে বিসর্জন দেয়। কেউ টাকার পিছনে ছুটে, কেউ বা আবার ক্ষমতার দিকে। সবার উদ্দেশ্যই এক ও অভিন্ন। কিন্তু বাস্তবে কারোরই সুখের দেখা মিলে না। আর মিলবেই বা কি করে? যে পথে সুখের সন্ধান করার কথা সে পথ বাদ দিয়ে অন্য পথে কি করে সুখ মিলতে পারে?
প্রকৃত সুখ, শান্তি বা ইতমিনান লাভ করতে হলে অবশ্যই সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পথেই তালাশ করতে হবে। তবেই প্রকৃত সুখ মিলবে, মিলবে ইতমিনান। এখন প্রশ্ন জা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি তো মুসলমানদের রহমত দিতে চান, কিন্তু মুসলমান সেই রহমত থেকে মাহরূম হচ্ছে কেন? যেহেতু সে মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ নির্দেশ মুবারক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ নির্দেশ মুবারক পালন করে না। এটা ফিকির করতে হবে। মুসলমানদেরকে মুসলমান হতে হবে, ঈমানদেরকে ঈমানদার হতে হবে, কুফরীর মধ্যে থাকতে পারবে না। ইহুদী-নাছারাকে সে অনুসরণ করতে পারবে না। একটা ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, মুশরিক কোনদিন শবে বরাত প বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী তথা যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা বেমেছাল। সমুদ্রের মাছ, গর্তের পিপীলিকা, আকাশ-বাতাস, তরুলতা, সমস্ত সৃষ্টি, কায়িনাত সবকিছুই উনাদের জন্য দোয়া করতে থাকে। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহিউদ্দীন, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, কোন চাঁদ উদিত হয় না, কোন সূর্য অস্ত যায় না আমার অনুমতি ব্যতীত। এতো গেল কায়িনাত চলার ক্ষেত্রে উদাহরণ। আর মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে মক্ববুল বান্দা হওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ওলীআল্লাহ উনাদের অনুমোদন লাভ তথা নেক দৃষ্টি লাভের প্রয়োজনীয়তা ততোধিকভ বাকি অংশ পড়ুন...












