পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হলো কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হলো স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হলো ধাবিত হওয়া, অন্তর চায় ও আকাঙ্খা করে এবং লজ্জাস্থান সেটাকে সত্য অথবা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম প বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা এবং পর্দা তরক করা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
এ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশনা মুবারক রয়েছে। হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا : وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي ، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ.
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাত তথা পবিত্র শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলা রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় প বাকি অংশ পড়ুন...
মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ রাতসমূহের মধ্যে একটি রাত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার রাত। যেটা আমরা পবিত্র শাবান মাস উনার ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রিতে পালন করে থাকি। আর শবে বরাত অর্থ: মুক্তি বা নাজাতের রাত অর্থাৎ ‘শব’ ফার্সী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে রাত আর ‘বরাত’ আরবী, উর্দূ, ফার্সী শব্দ যার অর্থ হচ্ছে মুক্তি বা নাজাত। ‘শবে বরাত’ উনাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় বলা হয় ليلة مبركة" (পবিত্র বরকতময় রজনী) এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় বলা হয় "ليلة النصف من شعبان" (শা’বান মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত)। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুফাসসিরীনে ক বাকি অংশ পড়ুন...
অথচ মুসলিম শরীফ উনার হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأْخُذُونَ دِينَكُمْ
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই বলেন, তোমরা লক্ষ্য করো কার কাছ থেকে পবিত্র দ্বীন শিক্ষা করতেছো। সকলের কাছ থেকে পবিত্র দ্বীন শিক্ষা করো না। ফাসিক-ফুজ্জার কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন এদের কাছ থেকে পবিত্র দ্বীন শিক্ষা করো না, গ্রহণ করো না। অথচ মানুষ মনে করে, এখন টিভি চ্যানেলে সে ইসলাম শিক্ষা করে। নাউযুবিল্লাহ! সেতো মনে করতেছে টিভি চ্যানেল হয়তো জায়িয রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এই য বাকি অংশ পড়ুন...
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ পালন ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিমসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কখনো এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা এবং বেপর্দা হওয়া মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
মহান আল্লাহ্্ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ্্ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اِنَّـمَا الْـخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: “হে মু’মিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, বেদী, মূর্তি পূজা (অর্থাৎ মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, প্রাণীর ছবি ইত্যাদি।) ও ভাগ্য নির্ধারক তীরসমূহ ঘৃণ্য অপবিত্র বস্তু, শয়তানী কাজ। সুত বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা ‘আদ দুখান’ শরীফ উনার ৩, ৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফে ‘শবে বরাত’কে ‘লাইলাতিম মুবারকাতিন’ (বরকতপূর্ণ রাত) হিসেবে উল্লেখ করে ইরশাদ মুবারক করেন- “নিশ্চয়ই আমি উহা (পবিত্র কুরআন শরীফ) এক বরকতপূর্ণ রাত্রিতে নাযিল করেছি। অর্থাৎ নাযিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী, ওই পবিত্র রাত্রিতে সমস্ত হিকমত পূর্ণ কাজসমূহের বণ্টন করা হয় তথা বণ্টনের ফায়ছালা করা হয়।”
এই পবিত্র রাত্রির আরো অনেক নাম মুবারক রয়েছে। যেমন-
(১) লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান অর্থাৎ অর্ধ শা’বানের রজনী।
(২) লাই বাকি অংশ পড়ুন...
আরেক পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হুবহু মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَنْ تُغْنِيَ عَنْهُمْ أَمْوَالُهُمْ وَلَا أَوْلَادُهُمْ مِّنَ اللهِ شَيْئًا وَأُولٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيْهَا خَالِدُوْنَ
প্রথম আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যা বলেছেন, এই আয়াত শরীফ উনার মধ্যেও তদ্রƒপ বললেন, যারা কাফির এদের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি দিয়ে অর্থাৎ ধনবল, জনবল, মনোবল, রাজ্যবল দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে কোন ফায়দা লাভ করতে পারবে না।
যেমন- ফিরআউন চারশত বছর রাজত্ব করেছে, শাদ্দাদ এক হাজার বছর রাজত্ব করেছে, নমরূদ সতেরশ বছর রাজত্ব করেছে, কুফরী ক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘মুয়াত্তা’ উনার মাঝে উক্ত ‘ছুনাইয়্যাত’গুলিকে এভাবে বর্ণনা করেছেন। যেমন-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ نَافِعٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَر رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ زُبَيْرٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ سَعِ বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার একটি ঈমানদীপ্ত বীরত্বের ঘটনা
শেরে খোদা, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং বর্ণনা করেন- উহুদের ময়দানে যখন কাফির বাহিনী, মুজাহিদ বাহিনীকে ঘেরাও করে ফেললো এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও আমি যখন দেখতে পাচ্ছিলাম না, এমনকি শহীদগণের মাঝে অনেক অনুসন্ধান করেও যখন পেলাম না তখন নিজে নিজেই ভাবতে লাগলাম, হয়তোবা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পা বাকি অংশ পড়ুন...












