একসময় সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে পরিচিত ছিলো প্লুটো। ১৯৩০ সালে এর আবিষ্কার মহাকাশবিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায় খুলে দেয়। দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে প্লুটোকেই সৌরজগতের শেষ সীমানার প্রতীক মনে করা হতো। কিন্তু ২০০৬ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয় যার ফলে প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারায়। এটা ‘ছোট গ্রহ’ হিসেবে নতুনভাবে শ্রেণিবদ্ধ হয়।
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অনুষ্ঠিত সেই সম্মেলনেই প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়। বিজ্ঞানীরা জানায়, কোনো বস্তু গ্রহ হিসেবে স্বীকৃতি পে বাকি অংশ পড়ুন...
চট্টগ্রামের জনপ্রিয় লইট্টা মাছ এখানকার খাবারের এক প্রধান অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের মতোই ভারতের মুম্বাই ও যুক্তরাজ্যে লইট্টা মাছ সমান জনপ্রিয়। চট্টগ্রামের মানুষ হলেই লইট্টা মাছের প্রতি আলাদা টান থাকবে।
এ অঞ্চলের সংস্কৃতি ও খাদ্যের ইতিহাসের সঙ্গে মাছটি গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। লইট্টা মাছের শুঁটকি চাটগাঁয় ফুনি বলা হয়।
তাজা মাছের পাশাপাশি লইট্টা শুঁটকিও সারা বছরই খাওয়া হয়। ভুনা বা রসা রান্না কিংবা ঝুরি ভাজি-সব রকমেই লইট্টা অতুলনীয়।
আবার দামটা সস্তার পাঙ্গাশ মাছের চেয়েও কম। কক্সবাজারের রেস্তোরাঁগুলোর অন্যতম জনপ্রিয় মেন্যু লইট বাকি অংশ পড়ুন...
লইট্টা মাছ আমরা দুইভাবে খেতে পারি। একটি হচ্ছে কাঁচা, যেটা সমুদ্র থেকে তুলে একেবারে তরতাজা খাওয়া হয়। আরেকটা হচ্ছে সমুদ্রের তীরে রোদে শুকিয়ে মাছকে একেবারে শুকনো করে খাওয়া যায়। স্বাদের দিক থেকে যেমন, তেমনি পুষ্টিগুণের দিক দিয়েও অনন্য এই মাছ। সাধারণত ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয় মাছটি।
লইট্টা মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে। বঙ্গোপসাগর, আরব সাগরসহ এশিয়ার বিভিন্ন উপকূলে লইট্টা মাছ ধরা পড়ে।
লইট্টা মাছের উপকারিতা:
* লইট্টা শুঁটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
* লইট্টা মাছ প্রোটিনে ভরপুর। শুঁটকি আকারে খাওয়া হল বাকি অংশ পড়ুন...
প্রাচীন ও বর্তমান কৃষি সংশ্লিষ্ট ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জাতীয় চেতনায় কৃষির ক্রমবিকাশের পরিষ্কার ধারণা দিতেই গড়ে তোলা হয়েছে দেশের প্রথম কৃষি জাদুঘর ময়মনসিংহে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে সবুজ ছায়াঘেরা দেবদারু গাছের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ জাদুঘরটি।
বাকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হোসেন স্বপ্ন দেখেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি কৃষি জাদুঘর গড়ে তোলার। আর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মুস্তাফি বাকি অংশ পড়ুন...
ঝাঁক বেঁধে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে পাখিরা। তবে তাদের কেউই জীবিত নয়, মৃত! রূপকথা নয় বিজ্ঞান। আমেরিকার নিউ মেক্সিকোর কয়েক জন বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদ মিলে মৃত পাখির খোলস ব্যবহার করে বানিয়েছে এমনই অভিনব ‘ফ্ল্যাপিং উইং ড্রোন’। এ কাজে সাহায্য নেওয়া হয়েছে মৃত প্রাণীর খোলস ছাড়ানোর বিদ্যায় (ট্যাক্সোডার্মি) পারদর্শী কয়েক জন গবেষকেরও।
শুধু দেখতেই পাখির মতো নয়। ওই যান্ত্রিক পাখির দলের ওড়ার ধরনও আসল পাখির মতো। ফলে তাদের সহজেই আসল পাখির ঝাঁকে ‘মিশিয়ে’ দেওয়া যেতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা বাকি অংশ পড়ুন...
কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছেন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মাল্টিরোটর সোলার ড্রোন, যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় ছয় ইঞ্চি। ওজনেও সেটি অত্যন্ত হালকা, মাত্র ৭১ গ্রাম। ‘মাইক্রো সোলারকপ্টার’ নামে পরিচিত এ সিস্টেমটি সৌরশক্তির মাধ্যমে চার্জযোগ্য ব্যাটারির শক্তিতে চলবে। অসামান্য এ সাফল্যের মূলে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. হাসান শহীদ।
তার নেতৃত্বেই হয়েছে এ গবেষণা। এর মধ্যেই উদ্ভাবনটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বখ্যাত সোলার মিডিয়া প্ল্যাটফরম পিভি ম্যাগাজিন বাকি অংশ পড়ুন...
এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কাছাকাছি একটি ছোট গ্রহাণু, ২০২৫ পিএন৭ শনাক্ত করেছে। এটি এখন পৃথিবীর একটি ‘কোয়াসি স্যালেটাইট’ বা ‘আধা-উপগ্রহ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
২০২৫ পিএন৭ হলো কোয়াসি-স্যাটেলাইট (অথবা কোয়াসি-চাঁদ) নামক একটি বিরল ধরনের বস্তু। এই ধরনের বস্তুগুলো গ্রহের কক্ষপথের কাছে থাকে, তবে মহাকর্ষের মাধ্যমে পুরোপুরি গ্রহের সঙ্গে আবদ্ধ নয়।
নাসা নিশ্চিত করেছে যে এই অর্ধ-উপগ্রহটি পৃথিবীর চারপাশে একটি পথ অনুসরণ করছে এবং সম্ভবত ২০৮৩ সাল পর্যন্ত এর অবস্থান বজায় থাকবে।
‘২০২৫ পিএন৭’ খুবই ছোট। গবেষকদের অনুম বাকি অংশ পড়ুন...
মানুষ বা অন্যান্য উন্নত প্রাণীর মধ্যে আহতদের সেবা করার প্রবণতা দেখা যায়, কিন্তু তাই বলে পোকামাকড়? আশ্চর্য্য মনে হলেও, বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে যে আফ্রিকার এক বিশেষ প্রজাতির পিঁপড়া তাদের আহতদের শুধুমাত্র উদ্ধারই করে না, বরং তাদের ক্ষতস্থানে রীতিমতো ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ প্রয়োগ করে চিকিৎসাও করে।
এই পিঁপড়াটির নাম মাতাবেলে, যারা প্রধানত উঁইপোকা শিকার করে জীবনধারণ করে। উঁইপোকার দুর্গের ভেতর এই শিকার অভিযান খুবই বিপজ্জনক, যার ফলে প্রায়ই অনেক পিঁপড়া মারাত্মকভাবে আহত হয় বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারায়।
গবেষকরা দেখেছে, এই পিঁপড়ারা তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
অনেকেরই দেখা যায় মাঝে মধ্যে হাতের তালু কিংবা পায়ের পাতায় এক ধরনের ঝিনঝিন অনুভব হয়। মনে হয় যেন পিঁপড়া হেঁটে যাচ্ছে কিংবা তালু চুলকাচ্ছে। অনেকের ধারণা, এটি কিছু না, রক্ত চলাচলের সমস্যা হবে বৈকি। একটু নড়াচড়া করলেই ঠিক হয়ে যায়। আসলে তা ঠিক নয়। এটি আপনার চিন্তাভাবনার বাইরে। এটি শুধুই রক্ত চলাচলের কারণে নয়; শরীরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিটামিনের ঘাটতির কারণে এমনটি হতে পারে?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছে, এমন উপসর্গ যদি বারবার দেখা দেয় কিংবা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে তা হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এ সমস্যা ভবিষ্যতে স বাকি অংশ পড়ুন...
হাঁচি দেওয়ার সময় চোখ খোলা রাখার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হতে হবে। এটি এমন একটি অদ্ভুত শারীরিক প্রক্রিয়া যা প্রায় সব মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটে। কিন্তু কেন? কেন আমরা হাঁচি দেওয়ার সময় চোখ বন্ধ করতে বাধ্য হই? এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি দেওয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিবর্তী ক্রিয়া। এর মানে হলো, এই কাজটি করার জন্য কাউকে সচেতনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় না, মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই নির্দেশ পাঠায়।
যখন আমাদের নাকের ভেতরে কোনো অস্বস্তিকর কণা বা জীবাণু প্রবেশ করে, তখন মস্তিষ্ক সেটিকে সজোরে বাকি অংশ পড়ুন...












