আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র ও মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির বলেন, একাত্তরে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সিলেট এম.সি কলেজে বিএ শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। ওই সময়ই সে ছাত্রসংঘের সভাপতি নির্বাচিত হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবু সাঈদ (মৃত), আবদুর রাজ্জাক, ওমর আলীসহ কয়েকজন যৌথ নেতৃত্বে সিলেটে আল-বাদর বাহিনী গঠন করে হত্যাযজ্ঞ, লুণ্ঠন, সম্ভ্রমহরণ, অগ্নিসংযোগসহ স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকা- শুরু করে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সিলেটে সব অপরাধের দায় অবশ্যই ফরিদ উদ্দিন ও তার বাহিনীর।
নিহত পরিবারের সদস্য ও প্রজন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সিলেট বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এসসি জুয়েল জানান, সিলেটে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন ও সম্পত্তি লুটপাটই ছিল ফরিদ উদ্দিনের কাজ। তবে সিলেটের চেয়ে কানাইঘাটেই সে বেশি ধ্বংসাত্মক কর্মকা- চালিয়েছিলো।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মুুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে কানাইঘাটের চতুল ইউনিয়নের মালিগ্রাম এলাকায় সবচেয়ে বেশি হত্যাকা- সংঘটিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের অগ্নিঝরা দিনে পাকী বাহিনীর ক্যাপ্টেন বশারত শান্তিকমিটি ও আল-বাদর বাহিনীর সহযোগিতায় দেশপ্রেমিক আবদুল কাদির, আবদুল ওয় বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাতের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রসংঘের (বর্তমান শিবির) সিলেট জেলা সভাপতি ও আল-বাদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলো মালানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলায় সংঘটিত নির্যাতন, সম্ভ্রমহরণ ও হত্যাযজ্ঞের হোতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে রয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান পাকী সেনাদের জানানো, সম্পত্তি দখল, নির্মম নির্যাতন, হত্যা, লুটপাটেও জড়িত ছিলো সে।
সিলেট ও কানাইঘাটের একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানান, একাত্তরে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সিলেট এমসি কলেজে বিএ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ছ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সূত্র জানায়, ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পর কয়রায় রুহুল কুদ্দুসের অনুসারী কয়েকজন জামাত নেতা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আদালত বসিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ওই সময় এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে জামাত নেতাকর্মীরা আদালতটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে ৯ নম্বর সেক্টরের আঞ্চলিক কমান্ডার ও খুলনার মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী বলেছেন, ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ইংরেজিতে একটি বই প্রকাশ করে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, একাত্তরে রুহুল কুদ্দুস আল-বাদর বাহিনীর নেতা ছিলো। পা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
লেখাপড়া শেষে বাগেরহাটের রামপালের একটি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি শুরু করে। ১৯৭১ সালে বাগেরহাটের একটি কলেজে সে শিক্ষকতা করতো। ওই কলেজে শিক্ষকতার সময় রাজাকার বাহিনীর নেতা হিসেবে বাগেরহাটে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকা-ে অংশ নেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজ এলাকায় ফিরে না এসে আত্মগোপনে চলে যায় সে। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে সৃষ্ট গোলোযোগও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পথ ধরে সে এলাকায় ফিরে আসে। যুক্ত হয় জামাতের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রুহুল কুদ্দুস খুলনা-৬ কয়রা-পাইক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুল জলিল আরও বলেছেন, রুহুল কুদ্দুস নেপথ্যে থেকে ওই হত্যাকা-ে সহায়তা করে। বাগেরহটসহ বিভিন্ন এলাকায় নারীদের সম্ভ্রমহরণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ সব অপরাধের পরিকল্পনাকারী হিসেবে অবশ্যই তার বিচার হওয়া উচিত।
মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে রুহুল কুদ্দুস: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশিত- ‘৭১ : গণহত্যার দলিল ও মুক্তিযুদ্ধে ব্যক্তির অবস্থান’ গ্রন্থে এবং ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কাছে সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ থেকে জানা গেছে, রুহুল কুদ্দুস মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিচিত ছিলো প্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের ঘটনাপ্রবাহ স্মৃতিচারণ করে বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও রামপালের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবদুল জলিল বলেছেন, একাত্তরের ২১ মে রামপালেই ৬শ সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকা-ের মদদদাতা ছিলো রুহুল কুদ্দুস। এর আগে ৭ মে রুহুল কুদ্দুস, রজব আলী ফকির, ডা. মোসলেহ উদ্দিন, ডা. মোজাম্মেল হোসেনসহ রাজাকার, শান্তিকমিটি ও আল-বাদর বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর ধারাবাহিকতায় একাত্তরের ২১ মে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার তেরিখালি ইউনিয়নের দাকড়া গ্রামে ভারতে আশ্রয় নিতে যাওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
জামাতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য শাহ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস। মুক্তিযুদ্ধকালে ছিলো কেন্দ্রীয় শান্তিকমিটির ২৩ নম্বর সদস্য ও আল-বাদর বাহিনীর বাগেরহাটের আঞ্চলিক নেতা। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে সে বাগেরহাটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নেপথ্য মদদদাতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকদের উপর চালায় অত্যাচার-পীড়ন। এছাড়া সম্ভ্রমহরণ ও লুটতরাজের সঙ্গেও সে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলেছেন, রুহুল কুদ্দুস একাত্তরে শান্তিকমিটি, আল-বাদর ও র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাতক্ষীরা টাউন হাইস্কুলের গণহত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নির্মম ট্রাজেডি। পাকসেনা ও তাদের এ দেশীয় ঘাতক দোসররা এখানে বেয়নেটে খুঁচিয়ে, চাকু, ছুরি ও দা দিয়ে কচুকাটা করে প্রায় সাড়ে ৩শ’ মানুষকে হত্যা করেছে। স্কুলের পিছনে এসব লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়।
এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানী সৈন্যদের দোসর রাজাকার, আল-বাদর ও আল-শামসদের এখনো বিচার হয়নি। বরং তারা এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।
এসব নারকীয় হত্যাকা-ে যারা প্ররোচিত ও সহযোগিতা করেছিলো তাদের অনেকে আজো জীবিত। এরা হলো- মালানা আবদুল্লাহিল বা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
টাঙ্গাইলে সে সময় যা কিছু হয়েছে বাছেতের জ্ঞাতসারেই হয়েছে। যুবক তরুণদের জোর করে রাজাকার, আল-বাদরে ভর্তি করেছে বাছেত। টাঙ্গাইলে শান্তিকমিটির সদস্যদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য পাকী আর্মিরা বাছেতের সঙ্গেই পরামর্শ করে নিত।
স্বাধীনতাকামী নিরীহ-নিপরাধ মানুষের রক্তে রাঙানো বাছেতের হাত দিয়ে হাজার হাজার অপকর্ম হলেও সেই বাছেতের বিচার হয়নি। রাজাকারপ্রধান বাছেত স্বাধীনতা অর্জনের এত বছর পরেও বহাল তবিয়তে ক্ষমতার উচ্চ শিখরেই বসে আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাছেত বাংলাদেশ ছেড়ে সউদী আরব চলে গিয়েছিল। ১৯৭৫এ বঙ্গবন্ধু সপ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, শান্তিকমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য, টাঙ্গাইলে রাজাকার, আল-শামস, আলবাদরে লোক নিয়োগের প্রধান ডাক্তার ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল বাছেত এখন ঢাকার রামপুরায় চারতলা বাড়ির মালিক। ক্যাপ্টেন আব্দুল বাছেত ঢাকায় জামাতের নেতাও। তথাকথিত ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে মাঝে মধ্যেই টিভি’র পর্দায় তথাকথিত ইসলামী আলোচনায় অংশ নিয়ে থাকে। আবার কিছু বিশেষ পত্রিকায় তথাকথিত ইসলামী ভাবধারার লেখাও ছাপা হয় তার নামে। (অর্থাৎ পুরোদস্তুর ধর্মব্যবসায়ী ক্যাপ্টেন বাছেত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ছিল অবসরপ্রাপ্ত। পাকী সেনাদের প বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও রাহাজানির হোতা স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সাবেক আমীর গো’আযমের শ্যালক ১৯৭১এর আল-বাদর বাহিনীর নওগাঁর আঞ্চলিক প্রধান মোনায়েম-কাম আকরাম ওরফে খক্কো মৌলভী নওগাঁ জেলা জামাতের নেপথ্যের নীতিনির্ধারক। তার নেতৃত্বে রাজাকার-আল-বাদর বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় হত্যা, রাহাজানি, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে নির্বিচারে। তারা পার-নওগাঁ তাজ হলের ভেতর ২৫/৩০ জন স্বাধীনতাকামী বঙ্গ সন্তানকে হত্যা করে হলের পেছনে মঞ্চের মধ্যখানে অবস্থিত কূপের ভেতর ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে যেসব মুক্তিযোদ্ধা কূপের ভেতর থেকে ল বাকি অংশ পড়ুন...












