আল ইহসান ডেস্ক:
শুধু তাই নয়, সলেমানের নির্দেশে নড়াইলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ নিরীহ মানুষকে ধরে এনে হত্যার পর চিত্রা নদীতে ফেলে দেয়া হত। হত্যার আগে বন্দিদের নাম একটি খাতায় লেখা হত। নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ছিল তাদের ক্যাম্প। এখানে নির্যাতন করা হত বন্দিদের উপর। ঘাতক সলেমান এসে প্রতিরাতে ওই খাতায় তোলা নামের পাশে লাল কালি দিয়ে টিক চিহ্ন দিত এবং লিখত। এরপর বন্দিদের প্রাণদ- কার্যকর করার জন্য জল্লাদদের বুঝিয়ে দিত। জল্লাদরা রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে চিত্রা নদীর ফেরিঘাটে বন্দিদের নিয়ে গিয়ে প্রাণদ- কার্যকর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার, নড়াইল জেলা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, জামাত নেতা সলেমান মালানা এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৭১-এর লুটের টাকায় ঢাকার কাছে বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। তার আরেক ভাই রাজাকার কমান্ডার রুহুল কুদ্দুস বর্তমানে যশোর জেলা জামাতের ‘পলিটিক্যাল সেক্রেটারি’ ছিল। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী আজও ভুলতে পারেননি নড়াইলবাসী। পাকী বাহিনীর এই দুই কুখ্যাত দালাল এখনও গ্রামে যেতে পারে না। নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের দু’ভাই সলেমান ও রুহুল ১৯৭১-এ তৎকালীন নড়াইল মহকুমার দ-ম বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মালানা আব্দুল আজিজ মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রাস ছিল। সে মুক্তিযোদ্ধাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত। এ কারণে পাক বাহিনী এই রাজাকার কমান্ডার আব্দুল আজিজকে পুরস্কার হিসেবে একটি পিস্তল দিয়েছিল। এই পিস্তল দিয়ে সে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। একদিন সন্ধ্যার দিকে মাঠেরহাটের পাশে কমান্ডার আব্দুল আজিজ কয়েকজন রাজাকার নিয়ে একটি ব্রিজ পাহারা দিচ্ছিল। কারণ এই ব্রিজটি ভাঙ্গার পরিকল্পনা করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। হঠাৎ কিছু দূরে খটখট শব্দ ও কিছু একটা এগিয়ে আসতে দেখতে পায় ওরা। সঙ্গে সঙ্গে রাজাকারদের পজিশন নিতে নির্দেশ দিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের যে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করত; এমনকি মুক্তিযোদ্ধা ভেবে ঘোড়াকে গুলি করে হত্যা করায় ঘোড়ামারা আজিজ নামে যে ব্যাপক পরিচিত, সেই রাজাকার কমান্ডার মালানা আব্দুল আজিজ জামাতের গাইবান্ধা জেলার আমীর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গাইবান্ধা জেলায় পাক বাহিনীর একনিষ্ঠ দোসর হিসেবে রাজকাররা যে অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যা, নারীর সম্ভ্রমহরণ ও লুটতরাজ চালিয়েছিল এলাকার লোকজন সে কথা ভেবে আজও শিউরে উঠে। সেদিনের সে রাজকারদের একজন আব্দুল আজিজ গাইবান্ধা জেলা জামাতের আমীর। হত্যা, নারীর সম্ভ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরের সেই রাজাকার আব্দুল খালেক ওরফে প্রফেসর খালেক শত শত স্বাধীনতাকামী, নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের খুনে হাত রাঙিয়ে ছিল। বহু মা-বোনকে ধরে নিয়ে তুলে দিতো পাকী সেনাদের হাতে।
স্বাধীনতার পর রাজাকার আ. খালেক কিছু সময়ের জন্য গা-ঢাকা দিয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে আবার রাজাকার আ. খালেক লোকসমক্ষে ফিরে আসে। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পরপরই রাজাকার আ. খালেক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তির তালিকাভুক্ত হয়। রাজাকার আ. খালেকের তখন উঠা-বসা ডিসি-এসপি থেকে শুরু করে সমাজের সব মহলেই। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন খুনি রাজাক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে শিবিরের আল-বাদর রাজাকাররা ইতোমধ্যে বহুবার তাদের মজ্জাগত নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। সাপ্তাহিক বিচিত্রার (১৪ বর্ষ ৪২ সংখ্যা, ১৪ মার্চ, ১৯৮৬, পৃ-২৩) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের পর কোনো এক সময়ে গো’আযমের নেতৃত্বে এবং অন্যান্য জামাতী নেতার তত্ত্বাবধানে এই আর্মস ক্যাডার বাহিনী গঠিত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মোমেনীন সালেহীন’। এই সালেহীনের ট্রেনিং দেয়া হয় ঝিনাইদহ ও নাটোর এলাকায়। নড়াইলের আল-বাদর কমান্ডার সোলায়মান নামে এক জামাতী পরিচালনা করে এই ট্রেনিং। ইতঃপূর্বে এই সশস্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
১৬ ডিসেম্বরের পর ৩৫০, নাখালপাড়ায় আশরাফুজ্জামান যে বাড়িতে থাকতো, সেখান থেকে তার ব্যক্তিগত ডায়েরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ডায়েরির আরেকটি পৃষ্ঠায় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ষোলজন দালাল অধ্যাপকের নাম। এছাড়াও ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনার অপারেশন ইনচার্জ চৌধুরী মঈনুদ্দিন, আল-বাদর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদস্য শওকত ইমরান ও ঢাকার আল-বাদর বাহিনীর প্রধান শামসুল হকের নাম। ডায়েরিতে নিহত বুদ্ধিজীবী ছাড়াও বহু বাঙালির নাম-ঠিকানা লেখা ছিল। এদের সবাই আল-বাদর বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিলো। এক টুকরো কাগজে তৎকালীন পাকিস্তান জুট বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সউদী আরবে পুনর্বাসিত আল-বাদরদের দৃষ্টান্ত দেয়ার জন্য এখানে উপস্থাপন করা হবে আল-বাদর হাইকমান্ডের সদস্য আশরাফুজ্জামানের কথা। এই আশরাফুজ্জামান খান ছিল আল-বাদর বাহিনীর প্রধান ঘাতক। স্বহস্তে গুলি করে সে মিরপুর গোরস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষককে হত্যা করে বলে সুনিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
যে গাড়িতে করে অধ্যাপকদের গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার চালক মফিজুদ্দীন নামে জনৈক আল-বাদর সদস্য সে আশরাফুজ্জামানকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের ‘চীফ এক্সিকিউটর’ (প্রধান জাল্লাদ) হিসেবে উল্লেখ করেছিল।
১৬ ডিসেম্বর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
লন্ডন থেকে নজরুল ইসলাম বাসন ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদককে পত্র মারফত চৌধুরী মঈনুদ্দিনের সাম্প্রতিক তৎপরতার বিবরণ লিখেছে। সে লিখেছে- “চৌধুরী মঈনুদ্দিন বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের অপারেশন ইনচার্জ। বর্তমানে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংস্থার সংগঠক, নেতা ও নীতি নির্ধারক। বর্তমানে লন্ডনে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে ঘিরে শুরু হয়েছে আন্দোলন, বিতর্ক, সংঘর্ষ। চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলাম’ সম্প্রতি তাকে বহিষ্কার করেছে। ইস্ট লন্ডন মসজিদে ম্যানেজিং কমিটির সচিব পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছে। ত বাকি অংশ পড়ুন...
বহির্বিশ্বে জামাতের দুটি ঘাঁটি হচ্ছে যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন) এবং সউদী আরব। খুনি আল-বাদরদের মধ্যে যারা ১৬ ডিসেম্বরের আগে পরে পালাতে সক্ষম হয়েছিল তারা এই যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন মসজিদ, বার্মিংহাম সিটি মসজিদ, ম্যানচেস্টার মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ইমামের চাকরি পর্যন্ত নিয়ে, বিশেষতঃ সিলেট জেলার খুনি আল-বাদররা জামাতী সংগঠন ‘দাওয়াতুল ইসলামের’ মাধ্যমে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দু’জায়গায় অবস্থানরত আল-বাদর খুনিদের পরিচয় দেয়ার জন্য দু’টি দৃষ্টান্ত দেয়া হবে।
বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিকল্পনার অপারেশন ইনচার্জ চৌধুরী মঈনুদ্দিন এখন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
গ্রেফতাররের পর ঘাতক আব্দুল খালেক মজুমদার স্বাক্ষরকৃত ও পেশকৃত এক বিবৃতিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সাথে জড়িত আরো ৯ জনের নাম পাওয়া গিয়েছিল; কিন্তু এদের অনেকেই সুপরিচিত হওয়ায় সংবাদপত্রগুলো সঙ্গতকারণেই’ এদের নাম প্রকাশে বিরত থাকে।
এছাড়া ঘাতক আব্দুল খালেকের নিকট থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন কাগজপত্রে দেখা যায় যে, তার সাথে এবং জামাতের অন্যান্য নেতার সাথে টেলিফোনে বেশ কিছু সংখ্যক অফিসারের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
আত্মগোপন অবস্থা থেকে ধরা পড়া এবং জেলে অবস্থান সম্পর্কে খালেক মজুমদার লিখেছে- ‘খ্যাতনামা না হলেও এবার আমার অখ্যাত ও বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রত্যেক ইউনিটের প্রায় প্রত্যেক নেতা একাত্তরের খুনি আল-বাদর। এই খুনিরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী। এদের নৃশংসতার পরিচয় কিছু কিছু ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে; তবু আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলার জন্য এখানে ছাত্রশিবিরের ১৯৮০-৮১ সালের সাধারণ সম্পাদক এনামূল হক মঞ্জু কিভাবে ১৯৭১ সালে বাঙালি নির্যাতনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে তার সামান্য বর্ণনা দেয়া যেতে পারে।
এনামুল হক মঞ্জু ১৯৭১ সালে ছিল চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রসংঘ সভাপতি এবং আল-বাদর প্লাটুন কমান্ডার। চট্টগ্রাম শহরের টেলিগ্রাফ হিল বোটে বাকি অংশ পড়ুন...












