অর্থাৎ অতিরিক্ত (পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার) নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَىْ صَلٰوةِ الظُّهْرِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰـى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ. اَللهُ اَكْبَرُ.
পবিত্র আছর উনার নামায
পবিত্র আছর নামায উনার চার রাকায়াত সুন্নতে যায়েদা শরীফ উনার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى اَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلٰوةِ الْعَصْرِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰـى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ. اَللهُ اَكْبَرُ.
পবিত্র আছর নামায উনার চার রাকায়াত ফরজ নামায উনার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى اَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلٰوةِ الْعَصْرِ فَرْضُ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰـى ج বাকি অংশ পড়ুন...
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এখানে বলেছেন, পাঁচটা বিষয়কে গণিমত মনে করার জন্য।
شَبَابَك قَبْلَ هَرَمِكَ ‘যৌবনকালকে গণিমত মনে করো বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বে।’
কারণ বৃদ্ধ হয়ে গেলে অনেক আমল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করা সম্ভব হয়না। মা’জুর হয়ে যায়, মানুষ দুর্বল হয়ে যায়। এখন সে তাহাজ্জুদ নামায পড়বে, দুর্বল হয়ে যাবে, কাতর হয়ে যাবে, শীতে-গরমে তার তাহাজ্জুদ আদায় করা সম্ভব হলো না। অন্যান্য অনেক আমল রয়েছে যেটা দুর্বলতার কারণে অনেক সময় সম্ভব হয় ন বাকি অংশ পড়ুন...
সূর্য ও চন্দ্র এই দু’টি ইসলামী মাস, রাত, দিন, মুহূর্ত ও সময় নিরুপনের ব্যাপারে মানদন্ড হিসেবে বিবেচিত। অর্থাৎ সূর্য ও চন্দ্র উনাদের আবর্তনের কারণে বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, মুহুর্ত ও সময়গুলো সুচারুরূপে আগমণ করে থাকে। এজন্য আমরা ইসলামী মাস, রাত, দিন, মুহুর্ত ও সময় ইত্যাদির আলোচনার পাশাপাশি চন্দ্র ও সূর্যের আবর্তন ও তাদের গতিবিধি সম্পর্কে আলোচনা করবো। যাতে করে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে যায় এবং বুঝতে সহজ হয়। নিম্নে এ সম্পর্কিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হলো-
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تُوْلِجُ ا বাকি অংশ পড়ুন...
১৪২৫ হিজরী উম্মুল কুরার ক্যালেন্ডারে পহেলা যিলহজ্জ শরীফ উনার তারিখ ছিলো ১২ই জানুয়ারী। কিন্তু সউদী জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্ট ১১ জানুয়ারী থেকে মাস শুরু করে। সে বছর ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ১০ই জানুয়ারী দিবাগত সন্ধ্যায় আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, চাঁদ দেখা যায়নি। কিন্তু রাতে দুজন সাক্ষী এসে উপস্থিত হয় এবং তারা চাঁদ দেখার দাবি করে। তাদের মিথ্যা সাক্ষ্য অনুযায়ী পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিলো।
এখন সউদী আরবে এই মিথ্যা সাক্ষীর বিষয়টি একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিয়াদ থেকে মাঝে মাঝে কয়েকজন সাক্ষী এসে এমন সময় চ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে অনেক স্থানে বলেছেন-
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে।’
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ
এবং ‘তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে।’ প্রথমে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঈমানের কথা বলেছেন। আমলের কথা বলেননি। যেহেতু ঈমান ব্যতীত আমলগুলো আমলে ছালেহ হয়না। সেটা ভালো কাজ হতে পারে কিন্তু আমলে ছালেহ বলতে যা বুঝানো হয়েছে সেটা হয়না। এইজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি যেহেতু প্রত্যেক মানুষকে যমীনে পাঠানোর সময়ই নির্দিষ্ট সময় ও সম্পদ বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিছীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন সম্মানিত তাবেঈনে কিরাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার সৌভাগ্য তিনি হাছিল করেছেন। এমনকি তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফও বর্ণনা করেছেন।
সর্বজনমান্য, স্বীকৃত, গ্রহণযোগ্য ও বিখ্যাত ইমাম, মুজতাহিদ এবং আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা উনাদের স্ব স্ব কিতাবে তা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা মুজাদালাহ শরীফের ২২ নম্বর আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
“যে কওম বা সম্প্রদায় মহান আল্লাহ পাক উনার ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখেন সে কওম কখনো ঐসব লোকদেরকে মুহব্বত করেন না, তাদের সাথে সম্পর্ক রাখেন না, যারা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ও উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, বিরোধিতা করে, মানহানি করার কোশেশ করে। যদিও বিরোধিতাকারীরা ঈমানদারগণের বাপ-দাদা, সন্তান-সন্তুতি, ভাই-ভাতিজা, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী বা যে কোন আত্মীয় স্বজনই হোক না কেন। বরং উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাক্বীক্বী ঈমানদার বান্দাগণের আমলের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন-
وامرهم شورى بينهم.
অর্থাৎ উনাদের (মু’মিনদের) সকল কাজ-কর্ম পারস্পরিক পরামর্শক্রমে সম্পন্ন হয়।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৮)
মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার জমিনে উনার মনোনীত খলীফা বা প্রতিনিধি পাঠানোর পূর্বে এ বিষয়টি নিয়ে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে পরামর্শ করতঃ মানব জাতিকে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য জানিয়ে দিয়েছেন। সাথে সাথে পরামর্শের কাইফিয়ত (ধরণ) কিরূপ হওয়া উচিত তারও শিক্ষা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ ম বাকি অংশ পড়ুন...
এক কোটিরও বেশি বিধর্মী যে মহান ব্যক্তিত্ব উনার হাত মুবারক-এ হাত রেখে পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করেন, তিনিই হচ্ছেন সুলত্বানুল হিন্দ, সুলত্বানুল মাশায়িখ, সুমহান চিশতীয়া তরীক্বা উনার ইমাম ও প্রতিষ্ঠাতা, সপ্তম হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ হযরত খাজা হাবীবুল্লাহ চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন হক্কানী-রব্বানী ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি পবিত্র সুন্নত উনার পরিপূর্ণ ও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুসরণ করতেন। এজন্য উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার কপাল মুবারক-এ কুদরতীভাবে লিখে দেয়া হয়, ‘হাযা হাবীবুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা জুমুয়াবার রাতকে হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পরিভাষায় ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ বলা হয়। এ মহান রাত মুবারকেই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। এ সম্মানিত রাতের মহিমা ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে মাযহাব চতুষ্ঠয়ের অন্যতম হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, “এ রাত মুবারক উনার মর্যাদ বাকি অংশ পড়ুন...












