মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهٗ وَهْنًا عَلٰى وَهْنٍ وَفِصَالُهٗ فِيْ عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِيْ وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيْرُ
অর্থ: আমি মানুষকে তার পিতা-মাতা সম্পর্কে নসীহত করছি। তাকে তার মাতা অত্যধিক কষ্ট করে বহন করেছেন এবং দু’বছর দুধ পান করিয়েছেন। আমার এবং তোমার পিতা-মাতা উনাদের শুকরিয়া আদায় করো। আমার নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন স্থল। (পবিত্র সূরা লুকমান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪)
বর্ণিত আয়াত শরীফে সন্তানের সাথে মাতার দু’দিক থেকে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মাতা সন্তানকে রেহেম শরীফে বহন করেন বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা হযরত ইমাম আব্দুল আযীয ইবনে আবী রাওওয়াদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ব্যাখ্যায় বলেন-
حَضْرَتْ اَبُوْ حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ الْمِحْنَةُ مَنْ اَحَبَّ اَبَا حَنِيْفَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَهُوَ سُنِّىُّ وَمَنْ اَبْغَضَ فَهُوَ مُبْتَدِعٌ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন পরীক্ষার বস্তু। যারা উনাকে মুহব্বত করে তারা সুন্নী। আর যারা বিদ্বেষ পোষণ করে তারা বিদয়াতী।” (স্মারকগ্রন্থ-৩৬৪)
অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআত উনাদের কেউই উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। তবে যারা চির বঞ্চিত, অভিশাপগ্রস্ত তারাই বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে ঝাড় ফুঁক মুবারক করেছেন তা ছিহাহ ছিত্তাহসহ অসংখ্য হাদীছ শরীফ উনার কিতাবে উল্লেখ আছে।
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন-
اَلَا اَرْقِيْكَ بِرُقْيَةِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَلٰى. قَالَ اللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ اَنْتَ الشَّافِيْ لَا شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ، شِفَاءً لَايُغَادِرُ سَقَمًا
অর্থ: আমি কি আপনাকে নূরে মুজাসসাম বাকি অংশ পড়ুন...
প্রেক্ষাপট:
হিজরী দ্বিতীয় সনের ১৫ই রজবুল হারাম শরীফ সম্মানিত ক্বিবলা পরিবর্তন হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র হিজরত মুবারক করার পর ১৬ বা ১৭ মাস পর্যন্ত মুসলমানরা পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থানকালীন পবিত্র কা’বা শরীফ ও পবিত্র বাইতুল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ উনার দিকে ফিরে সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করতেন। সুবহানাল্লাহ! ইহুদীরা এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নানা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে থাকলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা বলাবলি করতে লাগলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দাবী করে থাকেন যে, তিনি আলাদা একটি সম্মানিত ও পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সিব্ত্বতুন (নাতনী) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتّٰى يَكُونَ اللهُ وَرَسُولُهٗ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ نَفْسِهٖ وَمَالِهٖ وَلَدِهٖ وَوَالِدِهٖ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
অর্থ: তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কামিল মু’মিন হতে পারবেনা যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জান-মাল, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সকল মানুষ থেকে অধিক প্রিয় না হবেন। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, ফতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারী, ইরশাদুস্ সারী, শরহে নববী শরীফ, মিরকাত শরীফ, আশয় বাকি অংশ পড়ুন...
এ কথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে আসমানী ইলমই সমস্ত ইলমের মূল। আসমানী ইলম হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমেই প্রকাশিত-প্রসারিত হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে ইমামুস্ সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন পৃষ্ঠপোষক। উনারই মাধ্যমে ইলমের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা প্রসারিত হয়েছে।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস আলাইহিস্ সালাম তিনি পবিত্র ক্বদরিয়া তরীক্বা উনার অন্যতম কা-ারী। আবার পবিত্র নকশবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বাও উনারই মুবারক উসীলায় শক্তিশালী হয়েছে। বলা হয়, সাইয়্যিদুনা হ বাকি অংশ পড়ুন...












