ইহুদী-নাছারাদের সূক্ষ্ম চক্রান্তে সামান্য সিলেবাসভিত্তিক পড়ালেখার মাধ্যমে পরিচালিত বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ধর্মীয় অঙ্গনের নাম হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা। এই মাদরাসার সর্বোচ্চ সার্টিফিকেট অর্জনকারীদেরকে বলা হয় ‘মাওলানা’। শতকরা ১০০ ভাগ কথিত ‘মাওলানা’রাই জানে না ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ কি? (প্রকৃতপক্ষে এরা মাওলানা নয়; এরা হলো মালানা)। তারা জানে না- ওই পবিত্র রাত্রি উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী কি?
তাহলে যারা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ জীবনে স্পর্শ করেনি, এমন সাধ বাকি অংশ পড়ুন...
(১)
رَغَائِبُ (রগায়িব) শব্দ মুবারকটি رغيب উনার বহুবচন। যার অর্থ কাঙ্খিত বিষয়, প্রচুর দান। (মিছবাহুল লুগাত-২৯৮)
পারিভাষিক বা ব্যবহারিক অর্থে- আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে মুবারক রাত্রিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পবিত্র নূর মুবারক হিসেবে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন সেই মুবারক রাতকে ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ বলা হয়।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদারগণ! মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন (ওলীআল্লাহ) উনাদের সঙ্গী হও, ছোহবত ইখতিয়ার করো।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ সমস্ত লোকের ছোহবত লাযিম করে নাও যারা সকাল-সন্ধ্যা মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য যিকির আযকারে মশগুল। দুনিয়ার মোহে পড়ে, দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে তোমরা উনাদের থেকে দূরে সরে যেও না। (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
সম্মানিত আয়াত শরীফদ্বয় থেকে জানা গেল যে, প্রত্যেক ঈমানদারগণ উনাদের জন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَللهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهٖ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَلٰكِنَّ الْمُنَافِقِيْنَ لَا يَعْلَمُوْنَ
অর্থ: আর মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যই সমস্ত ইজ্জত-সম্মান এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এবং মু’মিন মুসলমানদের জন্য। কিন্তু মুনাফিকরা এ সম্পর্কে মোটেও অবগত বা অবহিত নয়। (পবিত্র সূরা মুনাফিকূন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
মূলত সৃষ্টিরাজির মধ্যে সবচাইতে ইজ্জত-সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা চীশতীয়া তরীক্বার আদি পীর ও মুর্শিদ হযরত খাজা ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা উছমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত হাজী শরীফ জিন্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন মওদুদ চ বাকি অংশ পড়ুন...
কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয। মা’রিফাত-মুহব্বত প্রাপ্তির পথে একজন অভিজ্ঞ লোকের অতীব প্রয়োজন। এ পথের অভিজ্ঞ লোকের তত্ত্বাবধান ব্যতীত কখনই কামিয়াবীর আশা করা যায় না। বরং অনেকাংশে উল্টো ফল হয়। গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়ে ইহকাল-পরকাল উভয়কালই বরবাদ হয়ে যেতে পারে।
সুলত্বানুল আউলিয়া কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অনেক পূর্বেই বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে তিনি কামিল শায়েখ উনার তালাশে অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করেছিলেন।
এ পথের একটি ঘটনা যা সবার জন্যই ইবরত নছীহতপূ বাকি অংশ পড়ুন...
মায়ের কোলে হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি
কিতাবে বর্ণিত আছে-
اَلْوَلِىُّ وَلِيًّا وَلَوْ كَانَ صَبِيًّا
অর্থ: “ওলীআল্লাহগণ শিশুকাল থেকেই ওলীআল্লাহ।”
অর্থাৎ এমন কতিপয় ওলীআল্লাহ আছেন যাঁরা পূর্ব থেকে মনোনীত। রোযে আজল থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে তরবীয়ত দিয়ে থাকেন। নি¤œবর্ণিত পবিত্র আয়াত শরীফখানা সেদিকেই দালালত (নির্দেশ) করছে।
اَللهُ يَجْتَبِيْ إِلَيْهِ مَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে মনোনীত করেন।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩)
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
ذٰلِكَ فَضْلُ اللهِ يُؤْتِيْهِ مَنْ يَّش বাকি অংশ পড়ুন...
প্রত্যেক নর এবং নারীর জন্য তার আক্বীদা অর্থাৎ ই’তিক্বাদ বা বিশ্বাস, সেটা কি প্রকার হতে হবে, কি কি বিশ্বাস করতে হবে, যে বিশ্বাসটা না থাকার কারণে একজন মানুষ ঈমানদার না হয়ে ঈমানহারা হয়ে যায়, সেই আক্বাইদ বা বিশ্বাসসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফে এবং আখিরী রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খাতামুন্ নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফে এ বিষয় উল্লেখ করেছেন, আলোচনা করেছেন। কাজেই, কালামুল্লাহ শরীফ থেকে এবং হাদীছ শরীফ থেকে সে বিষ বাকি অংশ পড়ুন...
দুনিয়াতো তাদের (মু’মিনদের) জন্য নয়। মানুষ মনে করে থাকে, কাফেরদের কেন এত বিলাসিতা দেয়া হলো, অনেক সম্পত্তি-সম্পদ কেন দেয়া হলো, এত মালিক কেন করে দেয়া হলো? তার কি কারণ রয়েছে? হাক্বীক্বত তাদের তো
اَلدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ
যেহেতু দুনিয়াই কাফিরদের বেহেশত, বালাখানা। এরপরে তারা কঠিন শাস্তিতে গ্রেফতার হয়ে যাবে। সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে দুনিয়ায় কিছু বিলাসিতা দিয়েছেন। কিন্তু ঈমানদার যারা, উনারা কাফির হয়ে যেতে পারেন, সেই আশঙ্কায় মহান আল্লাহ পাক তিনি বেশি সম্পদ দেননি, তবে কিছু দিয়েছেন। হাক্বীক্বত মুসলমান উনাদেরকে মহ বাকি অংশ পড়ুন...
মুরীদ হওয়ার পরে কোনো প্রকার চু-চেরা, কিলকাল অর্থাৎ কোনো বিষয়ে কি, কেন বলতে পারবে না। বিনা প্রশ্নে সব বিষয় মেনে নিতে হবে। তবে হ্যাঁ, কোনো বিষয় বুঝে না আসলে আদবের সাথে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবে।
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে, একবার এক ব্যক্তি বিশিষ্ট ওলী হযরত আবূ বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হওয়ার জন্য আসলো। এসে বললো, হুযূর! আমাকে বাইয়াত করে মুরীদ করে নিন।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী তাকে বললেন, বাবা! বাইয়াত হওয়ার বিষয়টি অনেক কঠিন। তুমি কি ছূফী উনাদের চাকচিক্যময় কথা শুনে বাইয়াত হতে এসেছো? যদি এ উদ্দেশ্যে এসে থাক তাহলে ফেরত চলে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
انَّمَا يَخْشَى اللّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاء
মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন উনারাই হলেন আলিম।
হযরত আবু হামযাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি রয়েছে সেটা বেমেছাল। কাজেই যাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি রয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন উনারাই হচ্ছেন আলিম। আর যাদের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি নেই, মহান আল্লাহ পাক উনাকে যারা ভয় করে না এরা কখনই আলিমের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা যতই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা করুক না কেন এর বাকি অংশ পড়ুন...












