মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَعِزَّتِـىْ وَجَلَالِـىْ لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الْـجَنَّةَ وَلَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الدُّنْيَا
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমার সম্মানিত ইয্যত মুবারক এবং সম্মানিত জালালিয়াত মুবারক উনাদের ক্বসম! আমি বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
৫৫০ হিজরীতে পবিত্র রওযা শরীফ উনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের তৃতীয় ঘটনা ইতিহাসে বেশ প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। বিশিষ্ট বুযূর্গ, সুলত্বান হযরত নূরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বপ্নে বিশেষ সাক্ষাত মুবারক প্রদান করেন। নীল চোখা দুই খ্রিস্টানকে দেখিয়ে বলেন, “হে নূরুদ্দীন জঙ্গী! আপনি এদেরকে গ্রেফতার করুন। এরা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। ” একে একে তিন রাত একই স্বপ্ন মুবারক দেখে মুবারক নির্দেশ পেয়ে তিনি হাবীবী দুশমনদের গ্রেফতারের জন্য অভিযানে বের বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪১ হিজরী শরীফ উনার ১লা জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার রাত্র) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,
لِـىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِـىْ فِـيْهِ مَلَكٌ مُّ বাকি অংশ পড়ুন...
একটি বিষয় খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করা আবশ্যক যে, শুধু যাহিরী বা কিতাবী বর্ণনার দ্বারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ফায়ছালা দেয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়টি এরূপ ঘটে থাকে যে, যাহিরী বা কিতাবী বর্ণনা এক রকম আর প্রকৃত বিষয়টি পুরো বিপরীত। কেননা সীরাত, তারীখ, তাফসীর এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহগুলোতে অনেক ইজরাঈলী বর্ণনা ও বাত্বিলপন্থীদের রেওয়াতের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যার কারণে শুধু কিতাবী বা যাহিরী বর্ণনা পড়ে ক্ষেত্র বিশেষ বিভ্রান্ত হওয়া ছাড়া আর কোন বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
كُنْتُ كَنْزًا مَّـخْفِيًّا فَاَحْبَبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ
অর্থ: “আমি পুশীদাহ্ ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশ পাই, তখন আমি আমার পরিচয় মুবারক প্রকাশের জন্য অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করি। ” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল মা‘আনী ৭/৪৫৩, ১৪/২৫, আত তাফসীরুল ওয়াসীত্ব ৯/১১১০, তাফসীরে রূহুল বায়ান ৯/ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
মহাসম্মানিত রওযা শরীফ ও মহাসম্মানিত মদীনা শরীফে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, বেয়াদবীর অপচেষ্টা করেছে, হাক্বীক্বী আদব রক্ষা করেনি, তারা প্রত্যেকেই অত্যধিক নির্মমভাবে ধ্বংস হয়েছে। খোদায়ী লা’নত তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ইতিহাসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নযীর স্থাপিত হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে কিছু উপমা তুলে ধরা হলো-
নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারীখে বাগদাদে’ উল্লেখ করা হয়, ৩৮৬ হিজরীতে পবিত্র মদীনা শরীফ মিশরীয় ফাতেমী উবায়দী শাসনের আওতাভুক্ত ছিল। তৎকালীন শাসকের ইহুদী উযীর পরামর্শ দিলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুয বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার পহেলা রজবুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা রাত্রি মুবারক। আমরা সাধারণভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শর বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উন বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছামিনাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ‘আছ ছামিনাহ্ অর্থাৎ অষ্টম’। সুবহানাল্লাহ! ত বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ
অর্থ: “আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে জানিয়ে দিন, তারা যে, সম্মানিত ফযল মুবারক এবং সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে আপনাকে লাভ করতে পেরেছে, সেজন্য তারা যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ অর্থাৎ মহাসম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
বলার অপেক্ষা রাখেনা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হিদায়েত ও তা’লীমের পদ্ধতি ছিলো, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী। যেমন উনার হিদায়েতের পদ্ধতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اُدْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
অর্থ: “আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মানুষকে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় হিকমত এবং উত্তম নছীহতের মাধ্যমে আহবান করুন। আর তাদের সাথে (যদি প্রয়োজন হয়) আলোচনা করুন, কিন্তু উ বাকি অংশ পড়ুন...












