এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে মনে করে থাকে যে, যিনি আওলাদে রসূল তিনিই আহলু বাইত শরীফ। আওলাদের রসূল এবং আহলু বাইত শরীফ উনাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আবার অনেকে মনে করে থাকে যে, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে যারা বড় ওলীআল্লাহ উনারা হচ্ছেন আহলু বাইত শরীফ।
প্রকৃতপক্ষে এই বক্তব্যগুলো একটাও শুদ্ধ না। মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনিই সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করানোর বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম দুধ মাতা আলাইহাস সালা বাকি অংশ পড়ুন...
এই সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَدِّبُوْا اَوْلَادَكُمْ عَلـٰى ثَلَاثِ خِصَالٍ حُبِّ نَـبِـيِّكُمْ وَحُبِّ اَهْلِ بَيْتِهٖ وَقِرَاءَةِ الْقُرْاٰنِ
অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা তোমাদের আওলাদ অর্থাৎ সন্তান-সন্ততি, নাতী-নাতনী, ছেলে-মেয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
৫-৬. হুজ্জাতুদ্দীন হযরত ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহম্মদ ইবনে যুফার মাক্কী ছিক্বিল্লী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন,
سَـمِعْتُ حَضْرَتْ يُوْسُفَ بْنَ عَلِـىِّ بْنِ زُرَيْقِۣ الشَّامِىَّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَلْاَصْلَ الْمِصْرِىَّ اَلْمَوْلِدَ الْـحَجَّارَ بِـمِصْرَ فِـىْ مَنْزِلِهٖ بِـهَا حَيْثُ يَعْمَلُ مَوْلِدَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ رَاَيْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـى الْمَنَامِ مُنْذُ عِشْرِيْنَ سَنَةً وَكَانَ لِـىْ اَخٌ فِـى اللهِ تَعَالـٰـى يُقَالُ لَهٗ حَضْرَتْ اَلشَّيْخُ اَبُوْ بَكْرِ ۣ الْـحَجَّارُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَرَاَيْتُ كَاَنَّنِـىْ وَحَضْرَتْ اَبَا بَكْرٍ رَحْـمَةُ ا বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংযুক্ত করার কিছু নেই। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে যেমন সংযুক্ত করার কিছু নেই, একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেও সংযুক্ত করার মতো কিছু নেই। সর্বপ্রকার নিয়ামত মুবারক দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। এবং সেখান থেকে নূর মুবারক নিয়েই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَمْ يَتَمَثَّلْ بِيْ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে মূলত আমাকেই দেখল। কেননা শয়তান আমার ছূরত ধারণে অক্ষম।” (তিরমিযী শরীফ)
এ প্রসঙ্গে হযরত শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত আউলিয়ায়ে কিরাম বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার মুবারক হাদিয়া করেছি।” (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম বলেন, এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার উল্লেখযোগ্য দুটি ব্যাখ্যা হচ্ছে- ১. মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হাউযে কাউছার হাদিয়া করেছেন। ২. মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহ বাকি অংশ পড়ুন...
এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْعَلِـىِّ بْنِ اَبِـىْ طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَاَدِّبُوْااَوْلَادَكُمْ عَلـٰى ثَلَاثِ خِصَالٍ حُبِّنَـبِـيِّكُمْ وَحُبِّاَهْلِ بَيْتِهٖ وَقِرَاءَةِ الْقُرْاٰنِ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা তোমাদের আওলাদ তথা সন্তান-সন্ততি, নাতী-নাতনী, ছেলে-মেয়ে, অধীনস্থদেরকে তিনটি বিষয়ে যথাযথ (আদব) শিক্ষা প্রদান ক বাকি অংশ পড়ুন...
স্বয়ং সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সরাসরি তা তদারকি মুবারক করে থাকেন
وَعَدَ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ওয়াদা করছেন যে, পবিত্র ঈমান আনয়নকারী এবং আমলে ছলিহকারী উনাদের জন্য ক্ষমা ও মহান প্রতিদান রয়েছে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)
অর্থাৎ আমলে ছলিহকারী মু’মিন উনাদের প্রতিদান সম্পূর্ণরুপে প্রদান করার ব্যাপারে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ওয়াদা করেছেন। এখন সর্বশ্ বাকি অংশ পড়ুন...












