সম্মানিত মুতার জিহাদ মুবারক (৮)
, ০৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২৬ মে, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আইন ও জিহাদ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রওয়াহাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশের পর বনূ আযলান গোত্রের একজন বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ছাবিত ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত পতাকা মুবারক গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, হে মুসলমানগণ! আপনারা একজনকে সেনাপতি মনোনীত করুন। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সম্মিলিতভাবে হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে সেনাপতি মনোনীত করেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত পতাকা মুবারক গ্রহণ করে কঠিনভাবে সম্মানিত জিহাদ মুবারক শুরু করে দেন। সম্মানিত মুসলমান উনারা অসংখ্য কাফিরদেরকে কচুকাটা করে জাহান্নামে পাঠাতে থাকেন। সম্মানিত মুসলমান উনাদের তীব্র আক্রমণে কাফির বাহিনী পলায়ন করতে বাধ্য হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে বিজয় মুবারক হাদিয়া করেন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
أن حضرت خالدا رضي الله تعالى عنه لما أخذ اللواء حمل على القوم فهزمهم الله أسوأ هزيمة حتى وضع المسلمون أسيافهم حيث شاؤوا وأظهر الله المسلمين
অর্থ: “নিশ্চয়ই হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত পতাকা মুবারক গ্রহণ করে কাফিরদের উপর কঠিনভাবে আক্রমণ করেন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদেরকে অত্যন্ত লাঞ্ছিতভাবে পরাজিত করেন। সম্মানিত মুসলমান উনারা সম্মানিত জিহাদ মুবারক শেষ করে উনাদের সম্মানিত তরবারী মুবারক রেখে দেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে সম্মানিত বিজয় মুবারক হাদিয়া করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ৩/৯৭)
সবশেষে হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার হাত মুবারকেই সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিজয় মুবারক অর্জিত হন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সীসাঢালা ঐক্য মুবারক, বেমেছাল তাওয়াক্কুল মুবারক, গভীর নিসবত মুবারক, অসীম ইস্তিক্বামত মুবারক, অপরিসীম বীরত্ব মুবারক, অকৃতিম শাহাদাত প্রিয়তা এবং হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার অতুলনীয় যুদ্ধ কৌশল ও পারদর্শীতা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের বিশেষ গায়েবী মদদ মুবারক-এ এই বিরাট বিজয় মুবারক অর্জিত হন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার মাধ্যমে সমস্ত কায়িনাতবাসী সবাইকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, সম্মানিত মুসলমান উনারা কখনও ধন বল, জন বল, মন বল, রাজ্য বল বা সৈন্য বল অর্থাৎ দুনিয়াবী কোনো বল দ্বারা কামিয়াবী হাছিল করেন না; বরং উনারা কামিয়াবী হাছিল করেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের গাইবী মদদ মুবারক-এ। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
অর্থ: “তোমরা চিন্তিত হইও না, পেরেশানী হইও না; তোমরাই কামিয়াবী হাছিল করবে, যদি তোমরা মু’মিন হতে পারো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করে,
إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ
অর্থ: “নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে) মেনেছেন অতঃপর ইস্তিকামত থেকেছেন, উনাদের সাহায্যের জন্য হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নাযিল হন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফুছ্ছিলাত শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)
তাই বর্তমান বিশ্বের সমস্ত মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- হাক্বীক্বী মু’মিন-মুত্তাক্বী হওয়া এবং ইস্তিক্বামত থাকা। তাহলেই মুসলমান উনারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে আবারো কাফিরদের বিরুদ্ধে কামিয়াবী হাছিল করবেন এবং সারা বিশ্বে হাক্বীক্বী দ্বীন ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হবেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র উহুদ জিহাদ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র উহুদ জিহাদ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৯)
১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
০৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৮)
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৭)
২৪ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৬)
১৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৫ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৫)
১২ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ঐতিহাসিক গাযওয়াতুল হুদায়বিয়াহ বা হুদায়বিয়ার জিহাদ (১১)
১১ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)