অতিরিক্ত খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
, ২২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) তাজা খবর
দেশের খাদ্যশস্যের ভা-ার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। এই জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হাকিমপুর হিলিতে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ, সার, কীটনাশক, ডিজেলসহ সব কিছুর দামই বেশি।
আর তাই ইরি-বোরো চাষে অতিরিক্ত খরচের দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। কনকনে ঠা-া বাতাস আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জমি তৈরি ও বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ করছেন শ্রমিকরা। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাত হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে।
গতকাল হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
জমিতে বাড়তি সার হিসেবে বিঘাপ্রতি ছয়-সাত ভ্যান গোবর সার ছিটিয়ে দিচ্ছেন। এরপর গভীর নলকূপ থেকে পানি দিয়ে জমি ভিজিয়ে নিয়ে পাওয়ার টিলার দিয়ে কেউ বা মেসি (ট্রাক্টর) দিয়ে চাষ করছেন। এতে বিঘাপ্রতি ২০ কেজি ডেপ, ১২ কেজি পটাশ, পাঁচ কেজি জিপসাম মিশিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। কেউ বা আবার চারা রোপণ করছেন।
এরই মধ্যে এ উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে।
উপজেলার সাদুরিয়া গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর আমার এই গভীর নলকূপ দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ বিঘা জমিতে পানি সেচ দিয়ে থাকি। এবারও বিদ্যুতের সংযোগ পেয়েছি। জমিতে পানি সেচ দেওয়াও শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমার গভীর নলকূপের আওতায় ৬০-৭০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়ে গেছে।
প্রতি ১০০ শতক (এক একর) জমির জন্য নেওয়া হচ্ছে তিন হাজার ৬০০ টাকা। গত বছর নেওয়া হয়েছিল তিন হাজার ২০০ টাকা।
উপজেলার জাংগই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার খরচের হিসাব বেশি গুনতে হচ্ছে। পানি সেচের খরচ, জমি চাষ করা, সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ সব কিছুর দাম বেশি। তাই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে উফশী জাতের ধানের বীজ ও সার পেয়ে খুব উপকার হয়েছে।
উপজেলার চকচকা গ্রামের কৃষক জাকারিয়া বলেন, হারা ছোটখাটো কৃষক মানুষ, হামার (আমার) বেশি আবাদি জমি নাই, মিচ্চে এ্যানা পাঁচ-ছয় বিঘা জমি চাষ করি। মানুষোক (মানুষ) নিয়ে কাম করে নেই না, নিজেই সব করি।
উপজেলার জালালপুর বর্গাচাষি আলিম বলেন, আমরা গরিব মানুষ, নিজের আবাদি জমি নাই বললেই চলে। অন্যের জমি চানা (বর্গা) নেই ইরি আবাদের জন্য, এক বিঘা জমি (৩৩ শতক) ১০ হাজার টাকা দিয়ে নিতে হয়েছে। বাজারে ইউরিয়া সার আগে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, পটাশ ৮০০ টাকা ও ডেপ এক হাজার টাকা ছিল। বর্তমানে ইউরিয়া এক হাজার ৩৫০, পটাশ এক হাজার ১৫০, ডেপ এক হাজার ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। জমি সেচের বাড়তি খরচ, সারের দাম, শ্রমিকদের মজুরি বেশি, সব কিছু মিলে কি হবে আল্লাহই ভালো জানেন!’
উপজেলার খাট্রাউচনা মাঠের জমি রোপণ করা শ্রমিক শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে একটা দল তৈরি করেছি। দীর্ঘদিন থেকে ইরি, বোরো ও আমন ধানের চারা রোপণ করে থাকি। এবার ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) এক হাজার ৩০০ টাকা করে নিচ্ছি। প্রতিদিন সাত থকে আট বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করতেছি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা পূর্বপরিকল্পিত, তীব্র নিন্দা ঢাকার
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গাজা যুদ্ধের কারণে বাজেট ঘাটতি তীব্র
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশংসা করল হামাস
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের তথ্য আমার জানা নেই -মন্ত্রিপরিষদ সচিব
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিএনপিতেই আস্থা গণমাধ্যমের
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দখলদারদের কোটি কোটি ডলার অর্থব্যয়ে নির্মিত বহু ড্রোন সহজেই বিধ্বস্ত করেছেন যোদ্ধারা
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ট্রমায় শিল্প-বিনিয়োগ সরকার ধারদেনায়
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৩০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার-দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাকৃবিতে উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে হস্তান্তর জোরদারের দাবি
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সরকারের সঙ্গে দলেরও ব্যাপক প্রস্তুতি
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সঞ্চয়পত্র থেকে বাড়ছে সরকারের ঋণ
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












