অবর্ণনীয়, মানবেতর অবস্থায় এবং মারাত্মক ও ভয়াবহ সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের কারাগারগুলো কারাগারে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসাসহ মানবিক-মৌলিক প্রয়োজনীয় বিষয়াদীর ভয়াবহ বিপর্যয় সরকারের উচিত কারাগার পরিচালনায় ঔপনিবেশিক আইন বাদ দিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে কারাগার পরিচালনা করা।
, ১৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২২ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে বলে গত পরশু জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের কারাগারে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৯৩৭ এবং নারী বন্দী ১ হাজার ৯২৯ জন।’ অন্যদিকে দেশের ৬৮টি কারাগারে ৭৭ হাজার ২০৩ জন বন্দী রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কারাগারের ভিশন হচ্ছে, 'রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ'। এ ছাড়া কারাগারের অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে, বন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, কারাগারগুলোতে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। কারাগারগুলোর সুন্দর বা সুউচ্চ ভবন তৈরিসহ বাহ্যিক উন্নতি হয়েছে বটে, তবে মানবিকতার উন্নতি হয়নি।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক বন্দির জন্য যথেষ্ট পরিমাণ তেল-মসলা বরাদ্দ দেওয়া আছে জেল কোড অনুসারে। বন্দিদের জন্য প্রতিদিন বরাদ্দ ডাল ১৪৫ গ্রাম, মসলা ১৫ গ্রাম, সবজি ২৯১ গ্রাম, ভোজ্যতেল ৪১ গ্রাম, মাছ ৭২.৯০ গ্রাম, খাসির মাংস ৭২.৯০ গ্রাম এবং গরুর গোশত ৭৭.৫৬ গ্রাম। কিন্তু বরাদ্দ করা খাদ্যের তিন ভাগের এক ভাগও পান না বন্দিরা।
কারাগার নিয়ে উদ্বেগের এটাই একমাত্র কারণ নয়। আরও বহু কারণ রয়েছে। সবচেয়ে অমানবিক বিষয় হলো, বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে স্বজনদের সাথে শুধুমাত্র বাইরে থেকে দেখা এবং স্বল্প সময় কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়। এই স্বল্প সময় কথা বলার জন্যও আবার জেল সিন্ডিকেটদের অর্থ প্রদান করতে হয়। মাত্র ১ ঘন্টা কথা বলার জন্য ১০০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। স্বামী তার স্ত্রীর সাথে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীর সাথে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়না। আর দীর্ঘদিন যাবত কোনো বিবাহিত নারী বা পুরুষ কারাগারে বন্দী থাকলে হতাশা, বিষণœতা ও নিঃসঙ্গতা তাকে গ্রাস করে। তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যা তার সংশোধনের পথে বাধার সৃষ্টি করে।
অথচ, বিশ্বের প্রায় অনেক দেশেই এই রীতি চালু রয়েছে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কারাগারে বন্দী কোনো নারী বা পুরুষ তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে একান্তে সময় কাটাবে। যা কনজুগাল ভিজিট নামে পরিচিত। বিশ্বের অনেক দেশেই ৩০ মিনিট থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত একান্তে স্ত্রী বা স্বামীর সাথে নিবিড় সম্পর্কে সময় কাটানোর সুযোগ দেয়া হয়। বহু দেশে কয়েদিদের আট থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সাথে একান্তে সময় অতিবাহিত করার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা পুনরায় কারাগারে ফিরে আসে। এমনকি যেসব দেশে নিয়ম নেই সেসব দেশেও এই সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্পেন, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব, ডেনমার্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের কারাগারে কয়েদিদের দাম্পত্য সাক্ষাতের ব্যবস্থা আছে।
সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং আইনের প্রটেকশন পাওয়ার অধিকারী। অথচ কারাগারে বাড়তি সুবিধা ভোগ করছে যাদের টাকা আছে; যাদের নেই তারা ভোগে একটি মানসিক যন্ত্রণায়। বিষয়টি স্বাধীনতার চেতনা ও সংবিধানপরিপন্থী। কারাগারে ডা-াবেড়ি, হ্যান্ডকাফ, বন্দী এদিক সেদিক করলেই পেটানো, নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। এ ক্ষেত্রেও একটি ব্যবসা বিরাজমান।
প্রসঙ্গত, কারাগার প্রকৃত অর্থে কোনো শাস্তির জায়গা নয়। এটি একটি সংশোধনাগার। কিন্তু নানা জটিলতায় বাংলাদেশের কারাগারগুলো সংশোধনাগার হতে পারছেনা। যার মূখ্য কারণই হচ্ছে দুর্নীতি ও সরকারের চরম অবহেলামূলক আচরণ।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম রাষ্ট্র। আর কারাগারকে সংশোধনারে পরিণত করার এই তত্ত্ব সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার থেকেই উদ্ভব হয়েছে। বন্দি যেই হোক না কেন, তার জন্য উত্তম খাদ্যের ব্যবস্থা করা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্দেশনা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তারা খাবারের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দিদের আহার করায়।’ (পবিত্র সুরা দাহর শরীফ, আয়াত শরীফ-৮)। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন “তোমরা বন্দিদের সাথে উত্তম আচরণ করো”। পাশাপাশি আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শাসনের অন্যতম কৃতিত্ব ছিল কারাগার প্রতিষ্ঠা। কোনোও অপরাধী প্রাপ্যের অতিরিক্ত কষ্ট যাতে পেতে না হয় তার সব ব্যবস্থা রেখেছিলেন। অর্থাৎ কারাগারকে প্রকৃত অর্থে সংশোধনাগারে পরিণত করতে সম্মানীত দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকার যদি দেশের কারাগারগুলোকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কারানীতি অনুসারে পরিচালনা করে তাহলে দেখা যাবে কারাগার হয়ে উঠবে সত্যিকার অর্থে সংশোধনাগার। সমাজে অপরাধ কমে যাবে। নৈতিকতাবোধ বাড়বে এবং অপরাধমূলক আচরণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












