আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় বেমেছাল কারামত মুবারক
, ০৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
![আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় বেমেছাল কারামত মুবারক](https://www.al-ihsan.net/uploads/1710895825_-রমাদ্বান.jpg)
ভূমিকা: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, আমি মিছালে একজন বাশার; কিন্তু আমার উপর ওহী নাযিল হয়। ” অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছূরতান আমাদের মতো কিন্তু হাক্বীক্বতান তিনি আমাদের মতো নন। সুবহানাল্লাহ!
ঠিক তেমনি মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, আওলাদে রসূল, নকশায়ে নবী, হযরত খলীফাতুল উমাম, আলাইহিস সালাম তিনি ছূরতান আমাদের মতো। কিন্তু হাক্বীক্বতান তিনি আমাদের মতো নন- যা নিম্নোক্ত কারামত ও ওয়াকিয়া থেকে বুঝতে পারবেন বা উপলব্ধি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
‘কারামত’ সম্পর্কে আক্বাঈদের কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “ওলীআল্লাহগণ উনাদের কারামত সত্য। ” সুবহানাল্লাহ!
হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ক্বায়িম-মাক্বামে মুত্তালা আলাল গাইব:
ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার যখন শৈশবকাল তখন তিনি জুস পান করতেন। একদিন যখন উনার জন্য জুস মুবারক আনা হলো তখন তিনি উনার খাদিমকে বললেন, ‘এই জুস একটি পেয়ালা মুবারকে ঢালার জন্য। ’ সেই খাদিম তো অবাক হয়ে গেছেন। কারণ অন্য দিন তিনি জুস পেয়ালা মুবারক-এ ঢালতেন না। হঠাৎ আজকে জুস পেয়ালা মুবারক-এ ঢালতে বললেন! তারপর সেই খাদিম জুস পেয়ালা মুবারক-এ ঢাললেন। জুস পেয়ালা মুবারক-এ ঢালার পর দেখা গেলো সেই জুসের মধ্যে একটি মাছি। অর্থাৎ তিনি আগে থেকেই জানতেন যে, এই জুসের মধ্যে একটি মাছি ছিলো। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার রক্ত মুবারক প্রসঙ্গে:
খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার শৈশবকাল মুবারক-এ কোনো এক কারণে উনার হাত মুবারক কেটে যায়। তখন সেই কাটা হাত মুবারক-এ উনার খাদিমা কাপড় বেঁধে দিলেন। তখন যেহেতু উনার শৈশবকাল মুবারক ছিলো, তাই উনার পর্দা পালন ফরয ছিলো না। তার কিছুদিন পর যখন উনার হাত মুবারক থেকে কাপড়ের বাঁধন খুলে দেয়া হলো তখন সেই কাটা জায়গা কিছুটা শুকিয়ে গিয়েছিলো। সাধারণত কোনো মানুষের হাত কাটা বাঁধন যদি কিছু সময় পর খোলা হয়, দেখা যায় সেখান থেকে এক প্রকার গন্ধ বের হয়। কিন্তু যখন খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার কাটা হাত মুবারকের বাঁধন খুলে দেয়া হলো তখন দেখা গেলো, সেখান থেকে আতর, গোলাপ এমনকি মেশক আম্বরের চেয়েও বেশি সুঘ্রাণ বের হতে লাগলো। সুবহানাল্লাহ!
মূলত নকশায়ে নবী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার রক্ত মুবারক মহামহাপবিত্রতম থেকে পবিত্রতম। সুবহানাল্লাহ!
হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সকল কিছুই পরিবর্তনকারী ও পরিমার্জনকারী:
মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার শৈশবকাল মুবারক-এ তিনি একটি ছোট মেয়েকে দেখতে পেলেন। মেয়েটির চুল ছিলো কোকড়ানো। জন্ম থেকেই সেই মেয়েটির এই অবস্থা ছিলো। তখনও খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার পর্দা ফরয হয়নি। তখন তিনি সেই মেয়েটিকে ডেকে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। সাথে সাথে ওই মেয়েটির মাথার চুলগুলো স্বাভাবিক হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সকল কিছুই পরিবর্তন করতে পারেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি হলেন কারামতময়:
মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি একবার উনার খাদিমগণকে নিয়ে ছাদের উপরে যান। যাওয়ার পর উনাকে বসার জন্য বেঞ্চ দেয়া হয়। তিনি সেখানে বসলেন এবং একটি বই হাতে নিয়ে পড়তে ছিলেন। সবাই দেখলেন তিনি বই পড়ছেন। হঠাৎ কিছুক্ষণ পরে দেখা গেলো, তিনি আর সেই বেঞ্চের উপর নেই। সবাই তো অবাক! এই মাত্র দেখলাম বেঞ্চের উপর আর এখন নেই। সবাই চিন্তিত হয়ে গেলেন। আবার কিছুক্ষণ পর দেখা গেলো তিনি আবার পূর্বের স্থানে বসা আছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি নকশায়ে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম:
একবার আমাদের এক সুপরিচিত পীরভাই, আমেরিকা প্রবাসী হযরতুল আল্লামা ডা. মুহম্মদ রাশেদুল আবেদীন ভাই তিনি স্বপ্নে দেখলেন, উনার সামনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার কিশোর বয়সের ছূরত মুবারক-এ উপস্থিত। অতঃপর তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কদমবুছী করলেন। কিছুক্ষণ পর উনার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো।
তার কিছুদিন পর তিনি বাংলাদেশে অর্থাৎ রাজারবাগ দরবার শরীফ-এ আসলেন। আসার পর যখন তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার দীদার লাভ করেন তখন তিনি অবাক হয়ে গেলেন এবং তিনি বললেন যে, মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দু’জনের চেহারা মুবারক উনাদের মাঝে এতো মিল যা আমি আগে কখনো দেখিনি। একই রকম হুবহু নকশা। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি নকশায়ে নবী তথা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেভাবে দুনিয়াতে যাহিরীভাবে অনেক কষ্ট করেছেন; ঠিক তেমনি মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সমস্ত উম্মতের জন্য কষ্ট করে যাচ্ছেন। উনার একটি কারামত উল্লেখ করলে সহজে বুঝা যাবে ইনশাআল্লাহ!
একটা লোককে যদি একটি জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে খাবারও দেয়া হয়। সবকিছু করা হবে কিন্তু তাকে জেলখানা থেকে বের হতে দিবে না। এই লোকটা এভাবে কতদিন থাকতে পারবে? নিশ্চয়ই তার মন বাহিরের আলো, বাতাস, বাইরের প্রকৃতি দেখার জন্য ছটফট করবে। আর এভাবে সে বেশি দিন থাকতেও পারবে না এমনকি জীবনহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু দেখুন, মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি দিনের পর দিন চার দেয়ালের ভিতরে অর্থাৎ উনার কক্ষ মুবারকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা টিউবলাইটের আলোতে থাকছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি বাইরের সমস্ত ফিতনা-ফাসাদ থেকে পবিত্র। তিনি স্বাভাবিকভাবে বাইরের আলো বাতাসে যান না। সুবহানাল্লাহ!
তিনি এই সবকিছু কার জন্য করছেন? শুধু একমাত্র এই আখিরী যুগের সমস্ত উম্মতের জন্য। সুবহানাল্লাহ!
এর দ্বারা বুঝা যায় যে, তিনি হাক্বীক্বীভাবে খলীফাতুল উমাম এবং হুবহু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কায়িম-মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি আখিরী যুগের সমস্ত উম্মতের জন্য সবকিছু সহজ করে দিচ্ছেন। যেমন, তিনি গণিত বিষয়ে এমন কিছু তাজদীদ করেছেন, যার ফলে গণিত বিষয় অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ!
তিনি যে এই গণিত বিষয়ে তাজদীদ করেছেন তা কোনো সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীও তা সারাজীবন চেষ্টা করেও পারবে না।
মুজাদ্দিদে আ’যম-এ ছানী, খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি যে আমাদের মতো নন, তা উপরোক্ত ঘটনা থেকেও আমরা বুঝতে পারি।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সঙ্গে কখনই মুহব্বত করা ও সাদৃশ্য রাখা যাবে না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৪)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)