মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার সেই উম্মতের জন্য আমার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব, যে উম্মত আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করেন।’ সুবহানাল্লাহ!
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
এছাড়া নাছারাদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের মহান বিজয় ঐতিহাসিক ইয়ারমুক জিহাদ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক এবং মুসলমানদের গাইবী মদদপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ ও দোয়া মুনাজাত করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের মহাপবিত্র জীবনী মুবারক এবং মুসলমানদের গাইবী মদদপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
, ১০ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৬ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমামাহ আলাইহাস সালাম উনার ছোট ভাই। তিনি আনুষ্ঠানিক হিজরত মুবারক উনার ১৩ মাস ১৬ দিন পূর্বে পবিত্র মক্কা শরীফে পবিত্র ২৬শে মুহররমুল হারাম শরীফ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে কত বেশি মুহব্বত মুবারক করতেন সে সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “অন্য সবার থেকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার উপর আমার অধিকতর হক্ব রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরও বর্ণিত রয়েছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত মক্কা শরীফ বিজয়ের সময় যেই উট মুবারক-এ আরোহণ মুবারক করে সম্মানিত মক্কা শরীফ-এ প্রবেশ করেছেন, সেই একই উট মুবারক-এ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনিও সম্মানিত অবস্থান মুবারক করছিলেন। সুবহানাল্লাহ! এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে কত বেমেছাল মুহব্বত করতেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিশুদ্ধ মতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি দুনিয়ার যমীনে প্রায় সাড়ে ১৫ বছরের চেয়ে একটু বেশি সময় অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন লম্বা, স্বাস্থ্যবান এবং অনেক শক্তিশালী। সুবহানাল্লাহ! তিনি ১৫ হিজরী শরীফ উনার পবিত্র ১০ই রজব শরীফ ইয়াওমুল আহাদ ইয়ারমুকের জিহাদে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইমামুর রাসিখীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১৯৫ হিজরী সনের পবিত্র ১০ই রজবুল হারাম শরীফ জুমুয়াবার রাতে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবম ইমাম। জাহিরী বাতিনী তথা ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ সকল প্রকার ইলমের তিনি ছিলেন অধিকারী। অতীব অল্প বয়সে ইমামতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আবু জা’ফর। তাই উনাকে দ্বিতীয় আবু জাফরও বলা হয়।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইমামুর রাসিখীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২২০ হিজরী সনের পবিত্র ৬ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার পবিত্র মাজার শরীফ বাগদাদ শরীফ-এ স্বীয় দাদা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাবি’ আলাইহিস সালাম উনার পিছন দিকে অবস্থিত। তিনি যমীনে ২৫ বছর ৪ মাস ২৬ দিন অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে মুসলমানদেরকে দায়িমীভাবে গাইবি মদদ করেন, এ বিষয়টি যে সমস্ত জিহাদে দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট হয়েছে তার মধ্যে ইয়ারমুক জিহাদ অন্যতম। আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফত মুবারককালে ১৫ হিজরী সনের ৫ই রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ ইয়ারমূকের জিহাদ মুবারক শুরু হয়। এই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ সম্মানিত মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিলেন ৩৫ হাজার। আর খ্রিস্টানদের সৈন্যসংখ্যা ছিলো ২ লাখেরও বেশি। তবে সরাসরি ময়দানে উপস্থিত ছিলো ২ লাখ। ৫ই রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ থেকে পবিত্র ১০ই রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল আহাদ পর্যন্ত একাধারে ৬ দিন সম্মানিত জিহাদ মুবারক হয় এবং পবিত্র ১০ই রজবুল হারাম শরীফ সম্মানিত মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয়ী শান মুবারক প্রকাশ পায়। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত মুসলমানরা ইয়ারমুকের জিহাদ মুবারক-এ ১ লাখের চেয়েও অধিক খ্রিস্টানদেরকে হত্যা করেন। আর সম্মানিত মুসলমানদের মধ্যে ৩ হাজার জন সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রাইহানু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূল আছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! এ জিহাদের মাধ্যমে রোম শাসক ও সৈন্য বাহিনী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পলায়ন করে এবং পর্যায়ক্রমে রোম সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরীর পবিত্র ১০ই রজবুল হারাম ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) ইশরাকের ওয়াক্তে সকাল ৭:৪৭ মিনিটে পবিত্র বিলাদতী শান প্রকাশ করেন। উনার মহাসম্মানিতা মাতা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি আর উনার মহাসম্মানিত পিতা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম। হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আর রবি আলাইহিস সালাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক এবং মুসলমানদের গাইবী মদদপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের মহাপবিত্র জীবনী মুবারক এবং মুসলমানদের গাইবী মদদপূর্ণ বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সুন্নত তরীক্বা অনুযায়ী পরস্পর-পরস্পরকে সালাম আদান-প্রদান করা। যা ইহকাল ও পরকালে বেমেছাল রহমত-বরকত ও সাকীনা লাভের কারণ হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ উনাকে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীল-অশালীন হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












