মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ‘আমি লক্ষ্য করেছি আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোর বিষয়টি। অতএব, আমি আপনার আকাঙ্খিত সম্মানিত ক্বিবলা উনার প্রতিই আপনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি, যা আপনি পছন্দ করেন। অতএব, আপনি পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফ উনার দিকে নূরুর রহমাহ বা মুখ মুবারক ফিরিয়ে নামায আদায় করুন।’
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ১৫ই রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি মুসলমানদের সম্মানিত ক্বিবলা পরিবর্তন দিবস। সুবহানাল্লাহ!
তাই, এই মহাসম্মানিত দিবস যথাযথ তা’যীম, তাকরীম, জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপন করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এই মহাসম্মানিত দিবসে পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে এ পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত আলোচনা মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং এ মুবারক দিবস পালনে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
, ১৫ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আর এই ১৫ই রজবুল হারাম শরীফেই মুসলমানদের সম্মানিত ক্বিবলা পরিবর্তন করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “আমি লক্ষ্য করেছি আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোর বিষয়টি। অতএব, আমি আপনার আকাঙ্খিত সম্মানিত ক্বিবলা উনার প্রতিই আপনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি, যা আপনি পছন্দ করেন। অতএব, আপনি পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফ উনার দিকে নূরুর রহমাহ বা মুখ মুবারক ফিরিয়ে নামায আদায় করুন। আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন, উহার দিকে মুখ ফিরান এবং যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তারাও নিশ্চিতভাবে জানে যে, ইহা তাদের রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে প্রেরিত হক্ব বা সত্য। তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবহিত।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হিজরী দ্বিতীয় সনের পবিত্র ১৫ই রজবুল হারাম শরীফ ক্বিবলা পরিবর্তন হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র হিজরত মুবারক করার পর ১৬ মাস ৩ দিন মুসলমান উনারা পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেন। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থানকালীন পবিত্র কা’বা শরীফ ও পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনাদের উভয়কে সামনে রেখে নামায আদায় করতেন। পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে হিজরত মুবারক করার পর পবিত্র কা’বা শরীফ একদিকে ও পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ অন্যদিকে পড়ে যায়; তাই তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেন। তবে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চাচ্ছিলেন যেন হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ক্বিবলাই আমাদের ক্বিবলা হয়। অবশেষে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে সম্মানিত ক্বিবলা উনাকে পরিবর্তন করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘মাওয়াহিব ও সাবীলুর রাশাদ’ নামক কিতাবে উল্লেখ রয়েছে- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত বারা ইবনে মাখ্রূর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বিছাল শরীফ গ্রহণের পর উনার বাড়িতে তাশরীফ মুবারক নেন। হযরত বারা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পুত্রের নাম ছিলো হযরত বাশার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। উনার মাতা তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খাবার প্রস্তুত করতে শুরু করলেন। ইত্যবসরে পবিত্র যুহর নামায উনার সময় হলো। উপস্থিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে তিনি পবিত্র যুহর উনার নামায পড়া শুরু করলেন। দু’রাকায়াত নামায শেষ হতেই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র ওহী মুবারক নিয়ে এলেন যে, এখন বাইতুল্লাহ শরীফ পবিত্র ক্বিবলা। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তৎক্ষণাৎ সম্পূর্ণ জামায়াতসহ পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দিকে চেহারা বা মুখ মুবারক ফিরিয়ে অবশিষ্ট দু’রাকায়াত নামায আদায় করলেন। তখন থেকে বনী সালমার ওই মসজিদকে মসজিদে যুলক্বিবলাতাইন বা দু’কিবলা বিশিষ্ট মসজিদ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওই মসজিদে পবিত্র যুহর নামায উনার দু’রাকায়াত পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার দিকে এবং অবশিষ্ট দু’রাকায়াত পবিত্র মসজিদুল হারাম শরীফ উনার দিকে মুখ করে আদায় করেছেন। ওই নামাযে হযরত ইবাদ বিন বাশার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শরীক ছিলেন। পবিত্র নামায শেষে তিনি গৃহে গমনের পর একস্থানে দেখতে পেলেন যে, বনী হারিছার লোকেরা পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ উনার দিকে মুখ করে আছর উনার নামায আদায় করছেন। তিনি তখন চিৎকার করে বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! আমি পবিত্র যুহর উনার নামায আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে পবিত্র কা’বা শরীফ মুখী হয়ে আদায় করেছি। উনার কথা শুনে সমস্ত নামাযীগণ! তৎক্ষনাৎ পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উনার দিকে পবিত্র চেহারা বা মুখ মুবারক ফিরালেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যখন সম্মানিত ক্বিবলা পরিবর্তন হলো তখন যারা ইহুদী ও মুনাফিক তারা চু- চেরা ক্বীল-ক্বাল শুরু করলো। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করেন- আপনি এতদিন যে ক্বিবলা উনার অনুসরণ করেছেন তাকে এ উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করেছি যাতে আমি জানতে পারি কে আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়? মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়া ইহসান করে যাকে সৎ পথে পরিচালিত করবেন তারা ব্যতীত অন্যান্যদের নিকট ইহা নিশ্চয়ই কঠিন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এরূপ নন যে, তোমাদের পবিত্র ঈমান উনাকে বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ ঐতিহাসিক সুমহান মহাপবিত্র ১৫ই রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। পাশাপাশি সম্মানিত ক্বিবলা পরিবর্তন দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই, এই মহাসম্মানিত দিবস যথাযথ তা’যীম, তাকরীম, জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপন করা সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এই মহাসম্মানিত দিবসে পবিত্র মাহফিলসমূহের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে এ পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ সম্পর্কিত আলোচনা মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সুন্নত তরীক্বা অনুযায়ী পরস্পর-পরস্পরকে সালাম আদান-প্রদান করা। যা ইহকাল ও পরকালে বেমেছাল রহমত-বরকত ও সাকীনা লাভের কারণ হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ উনাকে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীল-অশালীন হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












