মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাদেরকে (উম্মাহকে) আমার বিশেষ বিশেষ দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দিন।’ সুবহানাল্লাহ!
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে শাওওয়াল শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যেই বিশেষ দিনটি হলো আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক উনার বরকতময় দিন। যা সকলের জন্যই ঈদ বা খুশির দিনও বটে। সুবহানাল্লাহ! জিন-ইনসান এই বিশেষ বিশেষ দিনগুলো পালন করতঃ তার হিস্সা লাভ করে নাজাত, সাকীনা ও মাগফিরাত লাভ করে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, অত্যন্ত গুরুত্ব, মুহব্বত ও তা’যীমের সাথে বরকতময় এ দিবস পালন করা।
, ২০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার এবং আওলাদে রসূল ও আহলু বাইত শরীফ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম ও হযরত মুজীরাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীম (শাদী) মুবারক দিবস সুমহান ১৯শে শাওওয়াল শরীফ উপলক্ষে এক নছীহত মুবারকে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ পেশ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখাছ্ছুল খাছ ওলীআল্লাহ উনাদের সেই বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি হলো উনাদের বিবাহ-শাদী বা নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার দিন বা মুহূর্ত। যা মূলত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ মুবারকে ও অনুসরণের নিমিত্তে সম্পাদিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেমন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী। উম্মতের পক্ষে এর সমস্ত কারণ কোনোদিন অনুধাবন করা সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সপ্তম হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নব্বই বছর বয়স মুবারক পর্যন্ত শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক করেননি। হিদায়েত, নছীহত ও তাজদীদী কাজে ব্যস্ত থাকায় মুবারক শাদী বা নিসবাতুল আযীম মুবারক অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সময় করে উঠতে পারেননি। মূল বিষয় হলো, মুবারক নির্দেশ পাওয়া যায়নি বলে শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার কথা উনার বিবেচনায় আসেনি। তিনি একজন মহান মুজাদ্দিদ। আপন ইচ্ছায় উনার শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক অনুষ্ঠিত হবে সেটা কী করে সম্ভব?
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবারক দীদারে একদিন বললেন: “হে আমার প্রিয়তম আওলাদ! হে সপ্তম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ! আপনি তো দ্বীন যিন্দা করলেন, আপনি আমার প্রায় সব সুন্নতই পালন করলেন। কিন্তু একটি বিশেষ সুন্নত এখনো বাকি রয়ে গেছে?” বিশেষ সাক্ষাত মুবারক শেষ হওয়ার পর সুলত্বানুল হিন্দ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবতে থাকলেন কোন সুন্নত এখনো পালন করা হয়নি? অবশেষে তিনি বুঝে নিলেন যে, এখন পর্যন্ত উনার শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক করা হয়ে উঠেনি। নির্দেশ মুবারক মতে অবিলম্বে তিনি আপন নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন করলেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখাছছুল খাছ ওলীআল্লাহ বা মুজাদ্দিদ উনাদের সমস্ত কাজের নেপথ্যে থাকে গভীর হিকমত, যা সাধারণের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত অনুযায়ী সকল আখাছছুল খাছ আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের সমগ্র হায়াত মুবারকই বরকত ও রহমতপূর্ণ; তবে বিশেষ খাছ কিছু রাত ও দিন যেমন- পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ, পবিত্র শাদী বা নিসবাতুল আযীম মুবারক, পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ এছাড়াও আরো কিছু বিশেষ বিশেষ দিন ও রাত রহমতের; যেদিন অসংখ্য অগণিত রহমত নাযিল করা হয়, মানুষকে ক্ষমা করা হয়, নাজাত দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সেই বিশেষ বিশেষ মুবারক দিনগুলো যাঁরা পালন করেন, যাঁরা তা’যীম-তাকরীম করেন, যাঁরা উপস্থিত হন তাদের উপরও রহমত, সাকীনা নাযিল করেন। মূলত, সে দিনগুলো তাদের জন্য নাজাতের উসীলা হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, এরূপ বিশেষ বিশেষ দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব, আদব, মুহব্বত ও তা’যীমের সাথে পালন করা।
-০-
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুজ জামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বান্দা-বান্দী ও উম্মত তথা কুল-কায়িনাতের জন্য যেরূপ রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ইত্যাদি লাভের কারণ; তদ্রƒপ উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর উনার যাঁরা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ, নায়িব ও ওয়ারিছ যামানার মহান মুজাদ্দিদ উনারাও কুল-কায়িনাতের জন্য রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ইত্যাদি লাভের কারণ। অর্থাৎ আখাছ্ছুল খাছ হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যমীনে আগমন ও অবস্থান আমভাবেই তো যমীনবাসীর জন্য রহমতস্বরূপই, তবে উনাদের এমন কতক বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত বা সময় রয়েছে, যে সময়ে উনাদের ছোহবত মুবারক লাভ ও খিদমতকারীরা আরো বেশি পরিমাণে রহমত বরকত লাভ করে থাকেন। ফলে তাদের জন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নৈকট্য বা রেযামন্দি মুবারক লাভ নিশ্চিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার এবং আওলাদে রসূল ও আহলু বাইত শরীফ হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার এবং হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম ও হযরত মুজীরাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীম (শাদী) মুবারক দিবস সুমহান ১৯শে শাওওয়াল শরীফ উপলক্ষে এক নছীহত মুবারকে তিনি উপরোক্ত ক্বওল শরীফ পেশ করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখাছ্ছুল খাছ ওলীআল্লাহ উনাদের সেই বিশেষ বিশেষ মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি হলো উনাদের বিবাহ-শাদী বা নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার দিন বা মুহূর্ত। যা মূলত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ মুবারকে ও অনুসরণের নিমিত্তে সম্পাদিত হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেমন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয় স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী। উম্মতের পক্ষে এর সমস্ত কারণ কোনোদিন অনুধাবন করা সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সপ্তম হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নব্বই বছর বয়স মুবারক পর্যন্ত শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক করেননি। হিদায়েত, নছীহত ও তাজদীদী কাজে ব্যস্ত থাকায় মুবারক শাদী বা নিসবাতুল আযীম মুবারক অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সময় করে উঠতে পারেননি। মূল বিষয় হলো, মুবারক নির্দেশ পাওয়া যায়নি বলে শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক উনার কথা উনার বিবেচনায় আসেনি। তিনি একজন মহান মুজাদ্দিদ। আপন ইচ্ছায় উনার শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক অনুষ্ঠিত হবে সেটা কী করে সম্ভব?
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবারক দীদারে একদিন বললেন: “হে আমার প্রিয়তম আওলাদ! হে সপ্তম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ! আপনি তো দ্বীন যিন্দা করলেন, আপনি আমার প্রায় সব সুন্নতই পালন করলেন। কিন্তু একটি বিশেষ সুন্নত এখনো বাকি রয়ে গেছে?” বিশেষ সাক্ষাত মুবারক শেষ হওয়ার পর সুলত্বানুল হিন্দ, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবতে থাকলেন কোন সুন্নত এখনো পালন করা হয়নি? অবশেষে তিনি বুঝে নিলেন যে, এখন পর্যন্ত উনার শাদী মুবারক বা নিসবাতুল আযীম মুবারক করা হয়ে উঠেনি। নির্দেশ মুবারক মতে অবিলম্বে তিনি আপন নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন করলেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখাছছুল খাছ ওলীআল্লাহ বা মুজাদ্দিদ উনাদের সমস্ত কাজের নেপথ্যে থাকে গভীর হিকমত, যা সাধারণের পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত অনুযায়ী সকল আখাছছুল খাছ আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের সমগ্র হায়াত মুবারকই বরকত ও রহমতপূর্ণ; তবে বিশেষ খাছ কিছু রাত ও দিন যেমন- পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ, পবিত্র শাদী বা নিসবাতুল আযীম মুবারক, পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ এছাড়াও আরো কিছু বিশেষ বিশেষ দিন ও রাত রহমতের; যেদিন অসংখ্য অগণিত রহমত নাযিল করা হয়, মানুষকে ক্ষমা করা হয়, নাজাত দেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সেই বিশেষ বিশেষ মুবারক দিনগুলো যাঁরা পালন করেন, যাঁরা তা’যীম-তাকরীম করেন, যাঁরা উপস্থিত হন তাদের উপরও রহমত, সাকীনা নাযিল করেন। মূলত, সে দিনগুলো তাদের জন্য নাজাতের উসীলা হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, এরূপ বিশেষ বিশেষ দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব, আদব, মুহব্বত ও তা’যীমের সাথে পালন করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অসংখ্য অগণিত পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমায়ে ত্বইয়্যিবাহ শরীফ বিদ্যমান রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কালিমা শরীফ অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে- পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলামসহ অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা। যা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












