সুন্নত মুবারক তা’লীম
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রের ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ দিক-নির্দেশনা মুবারক
, ১১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৭ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২০ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ২৬শে শাওওয়াল শরীফ ১৪৪১ হিজরী ইয়াওমুল জুমু’আহ্ শরীফ; পবিত্র জুমু’আহ শরীফ উনার আলোচনা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা একটা স্বপ্নের কথা বলেছিলাম। জুমু’আহতে বলা হয়নি। রাতে (২৩শে শাওওয়াল শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ বা মঙ্গলবার রাত্রে) বলা হয়েছিলো। যে, আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম, যিনি আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনাকে। তিনি অনেক বড় বুযূর্গ, ওলী আল্লাহ। তিনি একটা বড় মজলিশ করতেছেন। অনেক বড় মজলিশ! সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করতেছিলেন- এটা যে করা হয়েছে, এটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
কিভাবে করতে হবে, এটার একটা প্ল্যান-প্রোগ্রাম করতে হবে। আমি কিন্তু সেখানে ছিলাম না। আমি দূরে ছিলাম। আমাদের একজন লোক সে ছিলো। তখন আমার মহাসম্মানিত শায়েখ আলাইহিস সালাম তিনি আমার কথা জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কোথায়? ঐ ব্যক্তি বললেন, উনি আছেন একখানে। একটা প্ল্যান করতেছেন। আমি তখন আসলাম। উনার সামনে আসলে, তিনি বললেন, এটার কোনো প্ল্যান-পরিকল্পনা করা হয়েছে কি? যে, কিভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়ানো যাবে? আমি বললাম, আমি কোশেশ করতেছি, চেষ্টা করতেছি। তিনি আলোচনা করলেন। আলোচনা হয়ে গেল। এরপর তিনি বাহিরে বের হয়ে আসলেন। মজলিশ শেষ হলো। বাহির হয়ে কোথাও যাবেন, আমিও উনার সাথে। কিন্তু আমি বের হয়ে দেখলাম, তিনি আর সেখানে নেই। ওখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব-মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
ঐ দিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ব্যতিক্রম দেখলাম। দেখলাম, তিনি অনেক উঁচু এবং অনেক লম্বা। আমি উনার সাথে কিছু দূর আসার পরে, তিনি আমাকে বলতেছেন যে, আসলে এই বিষয়টা রূহানী জগতে খুব আলোচিত হচ্ছে। এই সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রটা সারা পৃথিবী ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন কিভাবে, তাহলে প্ল্যান করতে হবে। তিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) রেখে বললেন, তাহলে তাড়াতাড়ী করতে হবে। একটা প্ল্যান-পরিকল্পনা করে তারপর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে। একটা প্ল্যান-পরিকল্পনা করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে হবে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আমাকে বললেন, আমি শুনলাম। আমি বললাম, হ্যাঁ, করবো। এখন উনাদের রহমত-বরকত, ছাকিনা ছাড়া সেটা সম্ভব না, আমি সেটা বললাম। যখন স্বীকার করলাম, তিনি খুব খুশি হলেন। এরপরে তিনি অদৃশ্য হয়ে গায়েব হয়ে গেলেন। ” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন, মুত্বহ্হার, মুত্বাহির, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তাওয়াল্লুক-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ এবং সর্বোত্তম বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন! (তথ্য সূত্র: আদ্ দুরারুল মুখতারাহ্)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইস্তিঞ্জার আদব ও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সম্পর্কে (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রয়োজনে ছুরি এবং চাকু দিয়ে খাবার কেটে খাওয়াও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুতা-মোজা ঝেড়ে পরিস্কার করে পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চামড়ার মোজা পরিধান করা খাছ সুন্নত মুবারক
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০৩)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০২)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘পনির’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খাছ সুন্নতী না’লাইন বা স্যান্ডেলের বর্ণনা (০১)
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত খাছ সুন্নতী বিছানা মুবারক উনার বর্ণনা
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ তো অবশ্যই বরং হারাম-নাজায়িযের অন্তর্ভুক্ত
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












