আপনি কি জানেন, যে কোন বিদেশী পণ্য ব্যবহার করা মানেই ইসরাইলকে সাহায্য করা?
, ০৩ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৫ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আমেরিকা ততক্ষণ মুসলমানদের ক্ষতি করতে অর্থ খরচ করতে পারবে, যতক্ষণ সারাবিশ্বজুড়ে তার ডলারে চাহিদা থাকবে। আর ডলারের চাহিদা তখনই হবে, যখন আমরা প্রচুর আমদানি করবো। আমদানি করা মানে মানে বিদেশী পণ্য ক্রয় করা, সেটা যে দেশেরই হোক না কেন। ইউরোপ-আমেরিকা, ভারত, চীন, মিডলইস্ট কিংবা এশিয়া যেখান থেকেই আমরা পণ্য ক্রয় করি, বাংলাদেশের সীমানার বাইরে থেকে কিছু ক্রয় করতে হলে আমাদেরকে ডলারের স্মরণাপন্ন হতে হয়। এজন্য ভারত থেকে পণ্য কিনতে হলে আমাকে আগে আমেরিকা থেকে ডলার কিনতে হয়, চীন থেকে পণ্য কিনতে হলেও আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডলার কিনতে হয়, মিডলইস্ট থেকে তেল/গ্যাস কিনতে হলে আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডলার কিনতে হয়, অর্থাৎ দেশের বাইরে থেকে কিছু কিনতে হলে আগে আমেরিকা থেকে টাকা দিয়ে ডলার কিনে, তারপর সেই ডলার দিয়ে আরেক দেশ থেকে পণ্য কিনতে হয়ে। অর্থাৎ আমরা যত বেশি বিদেশী পণ্য ব্যবহার করবো, আমদানি নির্ভর হবো, তত বেশি আমেরিকান ডলারের চাহিদা তৈরী হবে, আর যত বেশি আমেরিকান ডলারের চাহিদা তৈরী হবে, আমেরিকা বিশ্বজুড়ে তার অপব্যয়ের খরচ তত পুষিয়ে নিতে পারবে।
এজন্য দেখবেন, নানান ছুতোয় আমাদেরকে প্রতিনিয়ত আমদানিতে আগ্রহী করা হয়। বাংলাদেশে মাটির নিচে প্রচুর জ্বালানি সম্পদ থাকার পরও সেগুলো তুলতে দেয়া হয় না। যেমন- তেল, গ্যাস, কয়লা এগুলো বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ না করে বিদেশ থেকে আমদানি করতে বলা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে প্রচুর পাথর থাকার পরও ভারত থেকে আমদানি করা হয়। এক্ষেত্রে পশ্চিমা ফান্ডিং এ পরিচালিত কিছু বিদেশী এনজিও পরিবেশবাদের নাম দিয়ে কাজ করে। তাদের দাবী আমাদের দেশের কয়লা, পাথর উত্তোলন করলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। অর্থাৎ পরিবেশের দোহাই দিয়ে এরা আমদানিতে আমাদের অভ্যস্ত করতে চায়, আর আমাদনি করা মানেই ডলারের চাহিদা তৈরী হওয়া।
এরপর দেখবেন, আমাদের পশ্চিমা অপসংস্কৃতিতে অভ্যস্ত করার একটা অপপ্রয়াস সব সময় চলমান থাকে। বিদেশী সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হওয়া মানেই বিদেশী পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি। আর বিদেশী পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি মানেই ডলারের চাহিদা ঠিক রাখা।
মনে রাখবেন, বর্তমানে মার্কিন সম্রাজ্যবাদের অন্যতম শক্তি হচ্ছে ডলার। ডলারের পতন হলে আমেরিকান সম্রাজ্যবাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। তাই আমরা যদি আমদানি হ্রাস করে ডলারের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারতাম, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি এমনিতেই কমে আসতো, এবং তার সম্রাজ্যবাদের পতন ঘটতো, সে যত্রতত্র দ্বীন ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী কর্মকা-ে সহায়তা করতে পারতো না।
তাই বর্তমানে আমেরিকাকে দুর্বল করতে ডলারের ব্যবহার হ্রাস করতে, বিদেশী পণ্য বর্জন করে দেশী পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়া খুব জরুরী।
-আবরার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৫)
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বেপর্দা হওয়া লা’নত ও হালাকীর কারণ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
একটা আদেশ মুবারক অমান্য করে আরেকটা মান্য করা জায়িয নেই
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর (৩)
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ফরয
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (২)
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












