আরাকান আর্মির হামলায় নাফ নদে শত শত রোহিঙ্গার মৃত্যু
, ১০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৬ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিদেশের খবর
আল ইহসান ডেস্ক:
মিয়ানমারে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের ওপর আবারও দমন-নিপীড়ন শুরু হয় ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে। এবার শুধু সেনাবাহিনীই নয়, নির্যাতন অভিযানে যুক্ত হয় সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মিও। উভয়ের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাজারো রোহিঙ্গা নাফ নদ পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলার শিকার হয়। ওই হামলায় শত শত রোহিঙ্গা প্রাণ হারান।
গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বেড়ে যায়, যা সেখানে বসবাসরত রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর জন্য গভীর নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে। উন্মুক্ত সূত্রের তথ্যে জানা যায়, এ সময়ে অন্তত ১ হাজার ৬৩৩ সংঘর্ষ হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪০৯টি বিমান হামলা এবং ২৭৪টি আর্টিলারি হামলা। নির্ভরযোগ্য তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এসব অভিযানে কমপক্ষে ৩৭৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাখাইনের পশ্চিমা সামরিক কমান্ড দখলে নেয় আরাকান আর্মি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাজারো রোহিঙ্গা মংডু শহরের পশ্চিমে নাফ নদ তীরে জড়ো হয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই বিকেলে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলায় সম্ভবত শত শত মানুষ মারা যান।
এক প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গা জানান, “যারা পথে ও গ্রামে ছিলেন তারা আটকা পড়েন, আর যারা নদীর তীরে ছিলেন তারাও ফেঁসে যান। সে সময় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ নদীর ধারে জড়ো ছিলেন। আমরা যেখানে লুকিয়ে ছিলাম, সেখান থেকে সর্বত্র মৃতদেহ দেখা যাচ্ছিলো। ”
একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বলেন, বাংলাদেশের দিকে যেতে থাকা একটি নৌকায় ড্রোন হামলায় তার সঙ্গে থাকা তিন শিশুসহ ৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। যদিও আরাকান আর্মি এ হামলার দায় ‘মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ ওপর চাপিয়েছে, কিন্তু বেঁচে ফেরা রোহিঙ্গারা দাবি করেছেন, হামলাকারী ড্রোনগুলো আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে এসেছে, যেখানে সেনা উপস্থিত ছিলো না।
এর পরের দিন ৬ আগস্টও পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর ড্রোন হামলা অব্যাহত ছিলো। একজন বর্ণনা করেন, ‘আমরা ৫০ জন নিয়ে একটি নৌকায় ছিলাম। ড্রোন হামলায় চার শিশুসহ ৩৮ জন নিহত হন। ’
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে ২০২৫ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত সাত হাজার ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক সেনাদের হাতে নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সংঘাত বাড়ার পর কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘ অনুমান করেছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সৌদিতে শিল্পখাতের বিদেশি কর্মীদের ইকামা ফি বাতিল
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট: দূষিত বাতাসে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শীতকালীন ঝড়ে গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভারতকে স্থায়ী শিক্ষা দিয়েছে পাকিস্তান -শেহবাজ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জন্মহার বাড়াতে চীনে অভিনব সব ব্যবস্থা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যোদ্ধাদের সাধারণ অস্ত্রের সামনেই টিকতে পারেনি দখলদারদের কোটি কোটি টাকার সামরিক যান।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৬১ ইসরায়েলি সন্ত্রাসী সেনার আত্মহত্যার স্বীকারোক্তি!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত শতাধিক
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নিজ আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো পাকিস্তান
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিললো একই পরিবারের ৩০ জনের মরদেহ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ভারতকে বাদ দিয়ে ইন্টারনেটের বিকল্প ব্যবস্থা করলো বাংলাদেশ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












