যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
আর আপনি তাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্র্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এই বিশেষ বিশেষ দিন মুবারকসমূহ উনাদের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল ও শুকুরগুজার বান্দা-বান্দী-উম্মত উনাদের জন্য সম্মানিত আয়াত তথা নিদর্শন মুবারক রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
, ০৭ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর আপনি তাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিন মুবারক সম্পর্র্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয়ই এিই বিশেষ বিশেষ দিন মুবারকসমূহ উনাদের মধ্যে প্রত্যেক ধৈর্য্যশীল ও শুকুরগুজার বান্দা-বান্দী-উম্মত উনাদের জন্য সম্মানিত আয়াত তথা নিদর্শন মুবারক রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আইয়্যামুল্লাহ্ তথা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ’ বলে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ উনাদেরকে উনার সাথে নিসবত করে, উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ বিশেষ দিনসমূহ উনাদের ইজ্জত-সম্মান, শান-মান, মর্যাদা-মর্তবার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের নিকট স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে ‘বাইতুল্লাহ’ তথা ‘মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক’ বলে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ইজ্জত-সম্মান, শান-মান, মর্যাদা-মর্তবার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িানতবাসী সকলের নিকট স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! আবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে ‘কালামুল্লাহ’ তথা ‘মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালাম মুবারক’ বলে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার ইজ্জত-সম্মান, শান-মান, মর্যাদা-মর্তবার বিষয়টি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িানতবাসী সকলের নিকট স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ শি‘য়ার বা নির্দশন মুবারক, অত্যন্ত সম্মানিত বিষয় এবং পালনীয় বিষয়, যেমন মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ শি‘য়ার বা নিদর্শন মুবারক, অত্যন্ত সম্মানিত বিষয় এবং উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে তাওয়াফ করতে হয়, উনার দিকে মুখ করে নামায পড়তে হয় আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে তিলাওয়াত করতে হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনাদেরকে যেমন ইজ্জত-সম্মান মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা ফরয, তেমনিভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদেরকেও ইজ্জত-সম্মান করা, তা’যীম-তাকরীম করা, পালন করা ফরয। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত শি‘য়ার মুবারকসমূহ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের মানহানী করো না অর্থাৎ সম্মান-ইজ্জত করো, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত ‘আইয়্যাশ ইবনে আবী রবী‘আহ মাখ্যূমী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই উম্মত ততদিন পর্যন্ত খায়ের-বরকত, কল্যাণের উপর থাকবে, যতদিন পর্যন্ত তারা এই সম্মানিত বিষয় মুবারকসমূহ উনাদের, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের যথাযথ ইজ্জত-সম্মান করবে, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করবে। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর যখন তারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উনাদের ইহানত করবে, মানহানী করবে, অবমাননা করবে, তখন তারা হালাক হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! একদিকে ধ্বংস থেকে বাঁচা যেমন ফরয, অন্যদিকে মহান আল্লাহ পাক উনার হাক্বীক্বী মা’রিফাত-মুহব্বত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করাটাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র যাকাত একটি ফরয ইবাদত ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় বা মধ্যম ভিত্তি। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র যাকাত উনার নামে অপছন্দনীয় ও নিম্নমানের মাল বা বস্তু দান করা হারাম ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ নিম্নমানের মাল বা বস্তু পবিত্র যাকাত হিসেবে দেয়া স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে প্রতারণা করা এবং পবিত্র যাকাত উনাকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার শামিল; যা নিঃসন্দেহে রিয়া ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সিবতু রসূল আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব। উনাকে মুহব্বতকারীদের জন্য সুসংবাদ আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের জন্য জাহান্নাম।
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহভীতি। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে উনার নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ হতে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার নাম তাক্বওয়া। আর পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের রোযা উনার দ্বারা সেই তাক্বওয়া হাছিল হয়ে থাকে।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হচ্ছেন মুয়াসাহ বা সহানুভূতির মাস।’ সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে সিন্ডিকেট করে বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র যাকাত আদায় করা যেরূপ ফরয; তদ্রুপ সঠিক স্থানে পবিত্র যাকাত পৌঁছানোও ফরয এবং পবিত্র যাকাত কবুল হওয়ার কারণ। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র যাকাত দেয়ার উত্তম ও সঠিক স্থান হলো- ‘রাজারবাগ দরবার শরীফস্থ মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’। সুবহানাল্লাহ!
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ!
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই। বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট। যে যত বেশি দুনিয়া ত্যাগ করতে পারবে সে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত-মারিফত, নিসবত-কুরবত হাছিল করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস লাভ করার পরও যারা নিজেদের গুণাহখতা ক্ষমা করাতে পারবেনা, তাদের জন্য আফসুস।
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে – সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)