আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক
, ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১০ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনিই সেই সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক যিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করানোর বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রথম দুধ মাতা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! এজন্য উনাকে ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম’ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। না‘ঊযুবিল্লাহ!
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছুওয়াইবাহ্ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিনার রদ্বা‘আহ্, মুরদ্বি‘আতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাদ্বিনাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ছহিবাতুল ইয্যাহ্ ইত্যাদি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ লক্বব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সুউচ্চ বংশীয় এবং অত্যন্ত অভিজাত পরিবারের সদস্য। জাহিলী যুগে ডাকাতরা কাফেলা থেকে ছোট ছেলে-মেয়েদেরকে ধরে এনে গোলাম-বাঁদী হিসেবে বিক্রি করে দিতো। না‘ঊযুবিল্লাহ! এমনই এক ডাকাতদল সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে ধরে এনে বাঁদী হিসেবে বিক্রি করে দেয়। যেমন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু আয়মান আলাইহাস সালাম) উনাকে শিশু বয়সে ধরে এনে বাঁদী হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছিলো। প্রকৃতপক্ষে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি কস্মিনকালেও বাঁদী ছিলেন না; বরং তিনি অত্যন্ত সুউচ্চ বংশীয় এবং অত্যন্ত অভিজাত পরিবারের সদস্য ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এটাই স্বাভাবিক। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেই মহাসম্মানিত ব্যক্তিত্বা মুবারক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করবেন, তিনি অবশ্যই অবশ্যই সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বা মুবারক হবেন। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাউছার মুবারক হাদিয়া করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাওছার মুবারক উনার লক্ষ-কোটি ব্যাখ্যা মুবারক রয়েছেন। উনাদের মধ্যে একখানা ব্যাখ্যা মুবারক হচ্ছেন, ‘খইরে কাছীর অর্থাৎ সমস্ত প্রকার ভালাই’। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত প্রকার ভালাই অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম বিষয় মুবারকগুলো হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অপরদিকে উনার সাথে যে বিষয় মুবারকগুলো সম্পৃক্ত হয়েছেন, সে বিষয় মুবারকগুলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইয়াওমুল ফীল অর্থাৎ হস্তি বাহিনী ধ্বংস হওয়ার ৫০ দিন পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব শরীফ) উনার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেই দিন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি আবূ লাহাবকে সুসংবাদ মুবারক দিয়ে বলেন, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ-এ একজন অত্যন্ত সুন্দর, ফুটফুটে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় আওলাদ (ছেলে সন্তান) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। এই সুসংবাদ মুবারক শুনে আবূ লাহাব খুশি হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার লক্ষ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ বা স্বাধীন করে দিয়ে বলে যে, ‘আপনি যান আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভাতিজা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করান। আপনি এখন থেকে আযাদ বা মুক্ত অর্থাৎ স্বাধীন। এমনকি তখন সে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে মূল্যবান একখানা আংটিও হাদিয়া করে।’
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন- “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আবূ লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে- পানি! পানি! পিপাসা! পিপাসা! তাকে পানি দেওয়া হচ্ছে তার বৃদ্ধাঙ্গুল ও শাহাদাত আঙ্গুল দুই আঙ্গুলের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে। (সামান্য পানি দেওয়া হচ্ছে। সে পান করলো। এতে তার এক সাপ্তাহের যে আযাবটা মনে হলো দূর হয়ে গেছে। এটা দেখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ উনি উম্মতকে তা’লীম দেওয়ার জন্য বলেন-) আমি বললাম, এই কাট্টা কাফের আবূ লাহাবকে ঠা-া পানি দেওয়া হচ্ছে কী কারণ? আবূ লাহাব বললো, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে মুক্ত করার কারণে এই ফায়দা পাচ্ছি। কেননা তিনি আপনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (তারীখে ইয়াকুবী ১/৩৬২)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে- আবূ লাহাব একটা কাট্টা কাফের, চির জাহান্নামী। কিন্তু তারপরেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ মুবারক শুনে খুশি মুবারক প্রকাশ করে সে তার দুই আঙ্গুল দ্বারা ইশারা দিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ করে দিয়েছিলো। আর সেই দিনটি ছিলেন, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার)। এই কারণে প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ সপ্তাহে ১ দিন তার শাহাদাত ও বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝখান থেকে ঠান্ডা শীতল পানি প্রবাহিত হয়। এটাই সে চুষে চুষে পান করে। ফলে তার এক সাপ্তাহের আযাব হালকা হয়ে যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যদি তাই হয়, তাহলে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি যে সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করিয়েছেন, তাহলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল? এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া যত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক, পবিত্রতা মুবারক রয়েছেন, সমস্ত কিছুরই মালিক হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুগ্ধ মুবারক পান করিয়েছিলেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত দুধ মুবারক পান করান। এছাড়া তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র চাচা সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম) উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সালামাহ্ ইবনে আব্দিল আসাদ আল মাখযূমী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও সম্মানিত দুগ্ধ মুবারক পান করিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (নিসাউ হাওলির রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬৬ নং পৃষ্ঠা)
দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক যখন অল্প, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি সবসময় নিয়মিতভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিতেন এবং উনার খোঁজ-খবর মুবারক নিতেন, উনার প্রতি অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করতেন। আর দুনিয়াবী দৃষ্টিতে যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পরিণত বয়স মুবারক-এ উপনীত হন, তখনও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি নিয়মিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিতেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মাতা আলাইহাস সালাম হিসেবে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক করতেন এবং তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ-এ গ্রহণ করার পর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সব সময় আসা-যাওয়া মুবারক করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে সব সময় অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনিও উনাকে সব সময় অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (যাখায়েরুল ঊক্ববা ২৫৯, আল ওয়াফা বি আহ্ওয়ালিল মুস্ত¡ফা ১/১৭৭-১৭৮, ইস্তী‘আব ১/২৮ ইত্যাদি)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি নিয়মিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের নিকট আসা-যাওয়া মুবারক করতেন। আর উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়মিত বিভিন্ন পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্য-দ্রব্য, নগদ অর্থসহ অনেক কিছু হাদিয়া-তোহফাহ মুবারক দিতেন। মাঝে মাঝে ছাগল, দুম্বা, উট ইত্যাদিও হাদিয়া-তোহফাহ্ মুবারক দিতেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও এই ধারাবাহিকতা জারী থাকেন। এমনকি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক করার পরও তিনি নিয়মিত সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার খোঁজ-খবর মুবারক নিতেন এবং উনাকে নিয়মিত বিভিন্ন পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্য-দ্রব্য, নগদ অর্থ এবং গৃহপালিত পশুসহ অনেক কিছু হাদিয়া-তোহফাহ্ মুবারক দিতেন। সুবহানাল্লাহ! এই ধারা ৭ম হিজরী শরীফ-এ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা পর্যন্ত অব্যাহত থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক করেন, তখন তিনি সব সময় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার জন্য খাদ্য-দ্রব্য, পোশাক-পরিচ্ছদ মুবারকসহ বিভিন্ন কিছু হাদিয়া-তোহফাহ মুবারক পাঠাতেন। ৭ম হিজরী শরীফ-এ খায়বর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সংবাদ মুবারক পাওয়া পর্যন্ত উনাকে বিভিন্ন হাদিয়া-তোহফাহ্ (খাদ্য-দ্রব্য, অর্থ-সম্পদ) এবং পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি পাঠানোর বিষয়টি অব্যাহত ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ আলাইহিস সালাম উনার খোঁজ-খবর নেন। সুবহানাল্লাহ! তখন বলা হয় যে, তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার পূর্বেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, উনি কি উনার নিকটাত্মীয়-স্বজন কাউকে রেখে গেছেন? তখন বলা হয় যে, উনার নিকটাত্মীয়-স্বজন কেউ অবশিষ্ট নেই।” (উসদুল গ¦বাহ্ ১/১৫, ইছাবাহ্ ৭/৫৪৮, আল কামিল ফিত তারীখ ১/১৪৭ ইত্যাদি)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি ৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৬ই রজবুল হারাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! আর উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত মাসরূহ্ আলাইহিস সালাম তিনি উনার ২ মাস ১৮ দিন পূর্বে অর্থাৎ ৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮শে রবীউছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!
উল্লেখ্য যে, আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের পরপরই সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সম্মানিত ঈমান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছেন কি না, এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করা সুস্পষ্ট কুফরী। যারা সন্দেহ পোষণ করবে, তারা ১ নাম্বার কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে। কারণ উনার ঈমান নিয়ে সন্দেহ পোষণ করার অর্থই হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একজন কাফিরের দুধ পান করেছেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! এরূপ আক্বীদাহ্ পোষণ করা কাট্টা কুফরী ও চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। যারা এরূপ বলবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃতুদণ্ড।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বেমেছাল শান-মান মুবারক বুঝে উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার তাওফীক্ব আমাদেরকে দান করুন। আমীন!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন ঘুম বা বিশ্রামের জন্য সুন্নতী চকি
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল হাদিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২৭ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ্ ছামিনাহ আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ উমরী মুবারক
২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ মুবারক
২০ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ মুবারক
১৯ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহ মুবারক
১১ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)