সম্পাদকীয়-১
ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ চক্রের বিরুদ্ধে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। ইনশাআল্লাহ!
, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ক্ষুদ্রঋণ এটি একটি দুষ্টচক্র, যা একবার শুরু হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত, উচ্চ সুদের হার, অপর্যাপ্ত তদারকি, ঋণের অর্থের অপব্যবহার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পারিবারিক সংকটের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এই ঋণচক্র সৃষ্টির প্রধান কারণ। অনেক সময় ঋণগ্রহীতারা ঋণের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করে অনুৎপাদনশীল খাতে, যেমন দৈনন্দিন ব্যয় বা ভোগে ব্যয় করে ফেলে, যা তাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর (গঋও) মধ্যে প্রতিযোগিতার অভাব বা একচেটিয়া প্রবণতাও অনেক সময় উচ্চ সুদের হার বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ঋণচক্রকে আরও ত্বরান্বিত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পরিবারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ একাধিক উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করে, যা তাদের ঋণের বোঝাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। অনেক ক্ষেত্রে, একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার ঋণ পরিশোধের জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা ’ডাবল বোরোইং’ বা ’মাল্টিপল বোরোইং’ নামে পরিচিত। এই প্রবণতা ঋণচক্রকে আরও জটিল করে তোলে, কারণ ঋণগ্রহীতাকে একই সাথে একাধিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অনেক পরিবার একাধিক ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার সদস্য হয়ে পড়ে এবং এক সংস্থার ঋণ পরিশোধ করতে অন্য সংস্থার ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ঋণের বোঝা যখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন ঋণগ্রহীতা তার সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হয়, যা তাকে আরও দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পরিবারগুলোর মধ্যে ১০% থেকে ৩০% পরিবার ঋণচক্রের শিকার হতে পারে, যা ক্ষুদ্রঋণের ইতিবাচক প্রভাবকে অনেকটাই মøান করে দেয়। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করে। ঋণের আকার, ঋণগ্রহীতার আয়, এবং অপ্রত্যাশিত ব্যয়ের পরিমাণ ঋণচক্রের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্ষুদ্রঋণের ঋণচক্র ঋণগ্রস্ত পরিবারের উপর বহুমুখী এবং ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। এর প্রভাব কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং সামাজিক, মানসিক, এবং স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। ঋণচক্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রভাব হলো অর্থনৈতিক। পরিবারের উপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে, যা তাদের সঞ্চয়ের ক্ষমতাকে হ্রাস করে এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে দেয়। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের পরিবর্তে, ঋণের কিস্তি পরিশোধ করাই তাদের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে পরিণত হয়।
অনেক সময় পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পারিবারিক সম্পদ, যেমন জমি, গবাদি পশু, বা গহনা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের ঘটনাও বিরল নয়, যা তাদের আরও দরিদ্র করে তোলে। ঋণের কারণে অনেক পরিবার তাদের পুষ্টির মান কমাতে বাধ্য হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, অনেকেই উচ্চ সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়, যা তাদের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তোলে।
ইউনুস প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার বিপক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখে কৃত্রিম দারিদ্র সৃষ্টির জন্য (পরোক্ষভাবে) তাদের দায়ী করলেও ওই ব্যাংকওয়ালা পুঁজিপতিরা এবং পুঁজিবাদের পশ্চিমা গুরুরা কিন্তু তার উপর সামান্যও নারাজ হচ্ছেন না। এটা এজন্যই যে, সে যাই বলুন বা করুন না কেন তাদের হাতিয়ার ‘সুদ’-কেই সে তিনি অস্ত্র হিসাবে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, এদেশের গ্রামীণ মুসলিম সমাজের মানুষেরা আর্থিক দিক থেকে অসচ্ছল হলেও তারা কিন্তু দ্বীন ইসলামকে ভালবাসেন প্রাণ দিয়ে। এখানকার অধিকাংশ নারী চিরাচরিতভাবেই পর্দার বিধান পালনে অভ্যস্ত এবং সকল বেহায়াপনার বিরোধী। অথচ এ নারীদেরকেই বেপর্দা করেছে ক্ষুদ্রঋণদাতা এনজিওরা। লক্ষ লক্ষ বেকার যুবককে ঋণ না দিয়ে তারা কেন শুধু নারীদেরকেই বেছে নিচ্ছে সে প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না। নারীগণ পর্দায় থেকেও তো সাধ্যমত কাজকর্মের মাধ্যমে সংসারের খরচ নির্বাহে পুরুষের সহযোগিতা করতে পারে, কিন্তু আয়-রোজগারের জন্য তাদেরকে বেপর্দা হতে হবে কেন? নারীদের ঋণ দিতে চাইলে তা ওই ঘরের কোন পুরুষের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় না? এ ধরনের অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে অনেকের এবং এসব কারণেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে ইসলামবিদ্বেষী ও সমাজবিদ্বেষী বলেই দেশবাসী সাব্যস্ত করছেন। সবাই এর অবসান চান।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাজারের ৯৮ ভাগ শাকসবজি ও ৭০ ভাগ খাবারে কীটনাশক ডিজিটাল বা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাইলে আগে স্মার্ট খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী হাসপাতালে নানা সংকট বেসরকারী হাসপাতাল অত্যন্ত ব্যয় বহুল জনগণের জন্য উভয় সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












