ইন্দোনেশিয়ার বাঁশের মসজিদ
, ০৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১১ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
বিভিন্ন বর্ণনায় দেখা যায়, মূল মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল ৯ মিটার করে। চারপাশের সাধারণ বাড়িঘরের মতো করেই এ মসজিদটি নির্মিত হয়। নির্মাণের সময় মসজিদের চতুর্দিকে বেড়া বানানো হয় স্থানীয়ভাবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত এক ধরনের মোটা বাঁশ। আর পাতলা করে কাটা বাঁশের লম্বা লম্বা টুকরা (স্ট্র্যাপ) দিয়ে নির্মিত হয়েছে মসজিদের চাল বা ওপরের অংশ। মসজিদ ঘরের চার কোনায় চারটি কাঁঠালগাছের কা- পিলার বা পালা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মসজিদের ওপর ঐতিহ্যগতভাবে ঝোলানো আছে মোটা গাছের কা- খোদাই ও রূপান্তর করে বানানো বিশেষ ধরনের ঢাল জাতীয় বস্তু। প্রথম দিকে মসজিদটির মেঝেতে স্থানীয় নদীর তলদেশ থেকে সংগৃহীত এক ধরনের পাথর বিছানো হয়েছিল। পরে মুসল্লিদের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করে বিশেষ ধরনের লাল কাদামাটি দিয়ে মেঝেটি লেপটে দেয়া হয়। সংরক্ষণের কথা চিন্তা করে বর্তমানে মেঝেতে কার্পেট বিছানো হয়েছে এবং ভিটির চারদিকে পাথর বসানো হয়েছে।
মসজিদেরই এক পাশে রয়েছে এই দ্বীপে সর্বপ্রথম ইসলাম প্রচারে ভূমিকা রাখা ধর্মীয় নেতা গাউস আবদুল রাজ্জাকের মাজার। আর ৩০০ বছর আগে এই মসজিদ নির্মাণে অবদান রাখা অন্তত দুজন ছুফী সাহেবের কবর রয়েছে মসজিদের পেছনে ডান দিকে এবং সামনের বাম দিকে নির্মিত দুটি কুঁড়েঘরের ভেতর। এ ছাড়া মসজিদ চত্বরে বেশ কিছু পুরোনো কবর রয়েছে, যেখানে এই এলাকার সম্মানিত ইসলাম প্রচারক ও দেশ-বিদেশের বুযূর্গগণ আছেন।
বর্তমানে এলাকার মুসল্লিরা মূল মসজিদটির আশপাশে নির্মিত বেশ কিছু আধুনিক মসজিদে নিয়মিত নামায আদায় করলেও কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে মসজিদটি সবার কাছে সমাদৃত। ঈদ উদযাপন ও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ (১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) মসজিদ ও মসজিদ চত্বরে নানা ধরনের দ্বীনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তবে এসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হলে মানতে হয় স্থানীয় রীতিনীতি, যার অন্যতম হলো স্থানীয়ভাবে তাঁতে বোনা এক ধরনের বিশেষ পোশাক পরিধান করা। এ বিশেষ পোশাকটি স্থানীয়ভাবে ‘শাসাক’ নাম পরিচিত।
দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ নানা ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে এই দ্বীপে আসে এবং ৩০০ বছরের পুরোনো বাঁশের তৈরি মসজিদটি দেখে বিস্মিত হয়। উল্লেখ্য, এ মসজিদকে ভিত্তি করে দ্বীন ইসলাম প্রচারের কারণে পরবর্তীকালে লুম্বক দ্বীপে ১০০১টি মসজিদ নির্মিত হয়। তাই লুম্বক দ্বীপের আরেক নাম ‘হাজার মসজিদের দ্বীপ’, যার মূলে রয়েছে বাঁশের তৈরি ‘বায়ান বালেক মস্ক’ বা লুম্বকের বায়ান বালেক বাঁশের মসজিদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষ আর পিঁপড়ার শক্তি প্রায় সমান!
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শীতে মিষ্টি আলু কেন খাবেন
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অনলাইনে নামজারি করতে যা জানতে হবে
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোন রক্তের গ্রুপের মানুষের বুদ্ধি বেশি? গবেষণায় মিলল উত্তর
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কালোজিরায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ, জানুন রহস্য
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য ৬শ’ বছরের ‘মাচাইন মসজিদ’
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ক্যাঙ্গারু কোর্ট কি, কোথা থেকে এলো এই নাম?
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সরকারি ছুটি নির্ধারণ হয় কিভাবে, সব ছুটি কি সবাই পায়?
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শীতকালে স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
এক হাতঘড়ি বিক্রি হলো ২১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকায়!
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সমুদ্রের তলদেশের আশ্চর্য্য প্রাণী
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কীভাবে এলো রক্তের গ্রুপ?
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












