ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল মুসলিমীন, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাক্বাম মুবারক
, ১৯ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০১ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
اِنَّ هٰذا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ
অর্থ: এই ইলিম (হাদীছ শরীফ) হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন। কাজেই লক্ষ করুন কার কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণ করছেন। (মুকাদ্দিমাতুল ছহীহ মুসলিম-১/১৪, সুনানুদ দারেমী-১/১২৪, আত তামহীদ-১/৪৬)
২. আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত সুফিয়ান সাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَلْاِسْنَادُ سِلَاحُ الْمُؤْمِنِ اِذَا لَـمْ يَكُنْ مَّعَهٗ سِلَاحٌ فَبِاَىِّ شَىْءٍ يُّقَاتِلُ
অর্থ: সনদ মু’মিনের হাতিয়ার। সুতরাং তার কাছে যদি হাতিয়ারই না থাকে তাহলে সে কি দ্বারা জিহাদ করবে বা মোকাবেলা করবে। (আদবুল ইমলা ওয়াল ইসতিমলা ১/৮, সিয়ারু আলামীন নুবালা ৭/২৭৩)
৩. আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَلْاِسْنَادُ مِنَ الدِّيْنِ لَوْلَا الْاِسْنَادُ لَقَالَ مَنْ شَاءَ مَاشَاءَ
অর্থ: সনদ হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন, যদি সনদ না হতো, তাহলে যে কেউ যা ইচ্ছা তা বলতে পারতো। (মুকাদ্দিমাতুস ছহীহ মুসলিমীন-১/১৫, জারাহ ওয়া তা’দীল-২/১২১৬)
৪. হযরত ালেহ ইবনে আহমদ তিনি বলেন-
اِنَّ الْحَدِيْثَ بِلَا اِسْنَادٍ لَيْسَ بِشَىْءٍ وَاِنَّ الْاِسْنَادَ دَرَجُ الْـمَتَنِ بِهٖ يُوْصَلُ اِلَيْهَا
অর্থ: সনদবিহীন হাদীছ শরীফ গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা সনদ মতনের সিড়ি স্বরূপ। যার মাধ্যমে তা পর্যন্ত পৌঁছা যায়। (আল কিফায়া ফি ইলমির রেওয়ায়াহ- ১/৩৯৩)
সনদ বাস্তবে এ উম্মতে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বৈশিষ্ট্য। পূর্বের কোন উম্মতের এ বৈশিষ্ট্য অর্জিত হয়নি যে, উনাদের উম্মতের আলিমগণ উনাদের নবী আলাইহিস সালাম পর্যন্ত সনদের সম্পর্ক জুড়েছেন। মহান আল্লাহ পাক এ জ্ঞানের মাধ্যমে উম্মতে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ও উনাদের ইমাম উনাদেরকে অনেক মর্যাদা দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদ এবং তার গুরুত্ব:
সনদ দুই প্রকার:
(১) নিকটবর্তী সনদ: এমন সনদকে বলা হয়, যা যুগ হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী। অর্থাৎ যার রাবীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।
(২) দূরবর্তী সনদ: ঐ সনদকে বলা হয়, যা যুগ হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে দূরে। অর্থাৎ ঐ সনদ যার বর্ণনাকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী।
নিকটবর্তী সনদের দৃষ্টান্ত:
حدثنا ابو الوليد قال حدثنا شعبة قال اخبرنى عبد الله بن عبد الله بن جبير رضى الله تعالى عنه قال سمعت انسا رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال اية الايمان حب الانصار واية النفاق بغض الانصار (رواه البخارى)
দূরবর্তী সনদের দৃষ্টান্ত:
حدثنا يحى بن حبيب الحارثى حدثنا خالد يعنى ابن الحارث حدثنا شعبة عن حضرت عبد الله بن عبد الله عن حضرت انس رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم انه قال حب الانصار اية الايمان وبغضهم اية النفاق (رواه المسلم)
উভয় হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফরমানের কথা চিন্তা করলে পাওয়া যাবে উভয়টা এক; কিন্তু রাবীদের গণনা ভিন্ন। ইমাম বুখারী উনার সনদে চারজন রাবী রয়েছে। ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সনদে পাঁচজন। তাই ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সনদের রাবীর সংখ্যা কম হওয়ার কারণে নিকটবর্তী সনদ। আর ইমাম মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সনদে রাবী বেশি হওয়ার কারণে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী সনদ।
হুকুম: হাদীছ শরীফ উনার জমহুর ইমামদের নিকট নিকটবর্তী সনদের মান দূরবর্তী সনদের চেয়ে বেশী। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগ নিকটে হয়ে থাকে।
মুহাদ্দিছীনে কিরামগণ উনারা সর্বদা নিকটবর্তী সনদ অর্জনে সচেষ্ট থাকতেন। এজন্য উনারা দূরে দূরে সফর করতেন এবং সেক্ষেত্রে ছাত্রদেরকে উৎসাহিত করতেন।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মুশরিকরা
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৫৬)
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অকাট্য দলীল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে “গান-বাজনা” হারাম সাব্যস্ত হয়েছে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)