পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-“হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হিসাব গ্রহণের পূর্বে নিজের হিসাব করো। ”
ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্মসমালোচনার জন্য ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ অতীব জরুরী।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- ইলমে তাছাওউফ অর্জন করত ইখলাছ ও কামালিয়াত হাছিল তথা খ্বাালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিলে মুহাসাবা তথা দৈনন্দিন আমলের প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে লিপিবদ্ধ।
, ০৯ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খ্বাালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-“হে ঈমানদারগণ! মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করার মতো ভয় করুন এবং মুসলমান না হয়ে ইন্তিকাল করবেন না। ” অর্থাৎ ঈমানদার দাবীদার প্রত্যেককে হাক্বীক্বী মুসলমান হতে হবে। আর হাক্বীক্বী মুসলমান হতে হলে সকলকে ইখলাছ হাছিল করতে হবে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তাদেরকে (ঈমানদার) শুধু এ নির্দেশ মুবারকই দেয়া হয়েছে যে, তারা যেন খালিছভাবে অর্থাৎ পবিত্র ইখলাছ উনার সাথে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করে। ” অর্থাৎ প্রত্যেককে প্রতিটি আমল ইখলাছের সাথে করতে হবে। আর ইখলাছ হাছিল করতে হলে ইলমে তাছাওউফ অর্জন করতে হবে। এজন্য কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত হতে হবে। বাইয়াত হয়ে উনার মুবারক নির্দেশনা অনুযায়ী যিকির-ফিকির, রিয়াজত-মাশাক্কাত ও ছোহবত ইখতিয়ার করে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী যাবতীয় আমল সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে ইখলাছ ও কামালিয়াত খুব সহজেই হাছিল হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে হয় বা করা আবশ্যক। আর এজন্য প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্ম সমালোচনা অতীব জরুরী। ইলমে তাছাওউফ উনার পরিভাষায় যাকে ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ বলা হয়। ইলমে তাছাওউফ-এ পুরুষ-মহিলা প্রত্যেক সালিকের জন্য মুহাসাবা আবশ্যক আমল। আর সহজভাবে এবং নিয়মিতভাবে মুহাসাবা সম্পন্ন করার জন্যই দৈনন্দিন আমলের প্রতিবেদন লিপিবদ্ধ করতে হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলত, ইলমে তাছাওউফ অর্জন করত ইখলাছ ও কামালিয়াত হাছিল তথা খ্বাালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিলে মুহাসাবা তথা দৈনন্দিন আমলের প্রতিবেদন লিপিবদ্ধ করা অতীব জরুরী একটি বিষয়। যা প্রত্যেক সালিকের জন্য ফরয-ওয়াজিব। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-“হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হিসাব গ্রহণের পূর্বে নিজের হিসাব করো। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-“উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ওই আমল উত্তম যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা কম হোক না কেন। ” অর্থাৎ বান্দা-উম্মত প্রত্যেককে কম হোক বা বেশি হোক প্রতিটি আমল নিয়মিত করতে হবে। পাশাপাশি মুহাসাবা তথা নিজের আমলের হিসাব নিজেকেই করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলমে তাছাউফ উনার সালিকদের জন্য কতিপয় বিষয় অতীব জরুরী তথা বাধ্যতামূলক। সেগুলো যথাযথভাবে সম্পাদন করা আবশ্যক। যেমন- (১) সালিককে মুবারক নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিকভাবে, দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ‘ফালইয়াফরহূ’ তথা মীলাদ শরীফ পাঠ করা এবং আনজুমান মজলিস করা আবশ্যক। (২) তারতীব অনুযায়ী মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করা আবশ্যক। (৩) কিতাবে উল্লেখ করা হয়, যে সালিক নিজস্ব তরীক্বার শাজরা শরীফ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় সে অকর্মণ্য। তাই নিয়মিত শাজরা শরীফ পাঠ করাও আবশ্যক। (৪) আক্বীদা বিশুদ্ধ করা ঈমানদারদের পূর্ব শর্ত বিধায় আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে ছহীহ আক্বীদাহ সমৃদ্ধ কিতাবাদী সংগ্রহ, পাঠ ও প্রচার করা প্রত্যেক সালিকদের জন্য আবশ্যক। (৫) সিলসিলার জন্য শারীরিক ও আর্থিক খিদমত করা প্রত্যেক সালিকের জন্য আবশ্যক, যা রিয়াজত-মাশাক্কাত স্বরূপ। বিধায় প্রত্যেক সালিককে একদিকে শারীরিক খিদমতের আনজাম দিতে হবে। অপর দিকে আর্থিক খিদমতে আনজাম দিতে হবে। এছাড়া আরো কতিপয় জরুরী বিষয় রয়েছে যা সরাসরি মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার এবং তালীম-তালকীন গ্রহণের মাধ্যমে জেনে নিতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক সালিকের দায়িত্ব হলো সালিকের উপর অর্পিত আবশ্যকীয় কর্তব্যসমূহ যথাযথভাবে পালন করে কামালিয়াত হাছিলের কোশেশ করা। যারা কর্তব্য বা দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করবেনা তারা কামিয়াবী হাছিল করবে কিভাবে? তারা সিলসিলার খিদমত করবে কিভাবে? তারা নিয়ামত হাছিল করবে কিভাবে? সর্বোপরি ইহকাল-পরকালে তাদের নাজাতই বা কিভাবে লাভ হবে? কাজেই, সকলকে তার কর্তব্যসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং তার মুহাসাবা করত প্রতিদিন লিখতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্ম সমালোচনার জন্য ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ অতীব জরুরী। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- ইলমে তাছাওউফ অর্জন করত ইখলাছ ও কামালিয়াত হাছিল তথা খ্বাালিক, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিলে মুহাসাবা তথা দৈনন্দিন আমলের প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে লিপিবদ্ধ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম উম্মাহ সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করা। কেননা উনারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মাক্বাম মুবারকে অনন্যা। যে বা যারা বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করে উনাদের যত বেশি তা’যীম-তাকরীম, সম্মান করবে এবং উনাদের অনুসরণ -অনুকরণ করার কোশেশ করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকেও ততখানি মর্যাদা দান করবেন অর্থাৎ সেও মর্যাদাবান হয়ে যাবে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক অন্তরে থাকা কল্যাণের কারণ। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে অন্তরের অন্তস্থল হতে খালিছভাবে মুহব্বত করে উনাদেরকে সার্বিকভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। তাই, সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সমস্ত কিছু থেকে; এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক এবং সর্বোত্তম হুসনে যন বা সুধারণা পোষণ করা।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ! অতএব, প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা ও জিন-ইনসান সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসরণে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ যথাযথভাবে পালন করা। যা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক, ইহকালে রহমত-বরকত এবং পরকালে নাযাত-নিসবত লাভের কারণ হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই জিন-ইনসানরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় এবং কাফির-মুশরিকদের যুলুম-নির্যাতন থেকে বাঁচতে চায়, তাহলে তাদের জন্য ফরয হলো- সর্বাবস্থায় সম্পূর্ণরূপে পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনে মশগুল হয়ে মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিক্বামত হওয়া এবং কাফির তথা ইহুদী, মুশরিক, বৌদ্ধ, মজুসী, নাছারা, বেদ্বীন, বদদ্বীন, ফাসিক-ফুজ্জারদের অনুসরণ ও অনুকরণ থেকে পরিপূর্ণরূপে বিরত থাকা। .
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুবাশশির বা সুসংবাদদাতা। যারা খুশি প্রকাশের লক্ষ্যে উনার দিকে রুজু হয় তাদের জন্য তিনি সুসংবাদ প্রদান করেন আর যারা রুজু হয় না তাদের ভয় প্রদর্শন বা সতর্ক করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাযির-নাযির হিসেবে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে উনার দিকে হাক্বীক্বীভাবে রুজু হওয়া।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে, প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত নামায অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে ইখলাছের সাথে সময়মত আদায় করা।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা, পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা, পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করা এবং উনার আলোচনা মুবারক করা ফযীলত, বরকত ও মর্যাদা হাছিলের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি। তাই সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- হালাল ও নেক কাজে দায়েমীভাবে মশগুল হওয়া এবং সর্বপ্রকার হারাম ও বদ কাজ হতে সর্বদা বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে প্রসারিত করেন তাকেই হিদায়েত দান করেন। কিভাবে হিদায়েত লাভ করা যাবে আর কি কারণে হিদায়েত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে সে বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করতে হলে কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার ব্যতীত কারো জন্য কোন বিকল্প নেই।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার জমীনে তাশরীফ মুবারক আনার কারণে যে খুশি মুবারক প্রকাশ করা হয় উনাকেই সংক্ষেপে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বা ফালইয়াফরহূ শরীফ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেয়ে আনন্দিত হওয়া এবং অন্তরের অন্তঃস্থল হতে মুহব্বতের সাথে শুকুর গুজারীর সাথে খুশি প্রকাশ করা।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












